শনিবার | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo ইবিতে শহীদ ওসমান হাদি ও দীপু দাশ স্মরণে শান্তি প্রার্থনা Logo ফাউন্ডেশন ফর ডাঃ আব্দুল হাই মেধাবৃত্তিতে অংশ নিল ২২৫ শিক্ষার্থী Logo ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত Logo সাতক্ষীরায় জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল Logo সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার: ন্যায়বিচারের আশ্বাস Logo প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত: জাবিসাস Logo হাদি হত্যা ও হামলা-ভাঙচুর; জাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি Logo চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা

কোথায় আছেন ওয়াসার সেই বিতর্কিত এমডি তাকসিম এ খান

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৯১ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ সরকার শাসনামলে আলোচিত-সমালোচিত চরিত্র ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর ছয় দফায় তার মেয়াদ বাড়ে। সবশেষ তার নিয়োগের সময় জানা যায়, গত ১২ বছরে ওয়াসার এমডির বেতন বেড়েছে ৪২১ শতাংশ।

অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগ থাকার পরও বারবার তাকে এই পদেই রাখে সরকার। এসময় তাকসিম এ খান এমন অসাধারণ কিছু করেননি, যাতে তার ক্ষমতার মেয়াদ বেড়েছে। এ নিয়ে নানা সময়ে হয়েছে সমালোচনা। তারপরেও বহাল তবিয়তেই ছিলেন তাকসিম।

সেই তাকসিম গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই আছেন লাপাত্তা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার পতনের পর একদিনও নিজ দপ্তরে আসেননি তিনি। তিনি দেশে আছেন, নাকি পরিবারের কাছে বিদেশে চলে গেছেন সেটিও নিশ্চিত করা যায়নি।

বলে রাখা ভালো, তাকসিম এ খান, তার স্ত্রী ও সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে পারেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে যেকোনো পন্থায় হোক, বিতর্কিত এই তাকসিমকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অভিযোগ রয়েছে, গত ১৫ বছরে ঢাকা ওয়াসায় একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তাকসিম এ খান। ওয়াসা আইন অনুযায়ী, ঢাকা ওয়াসা পরিচালিত হওয়ার কথা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। তবে অনেক ক্ষেত্রেই বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে ঢাকা ওয়াসাকে পরিচালনা করেছেন তাকসিম। এ নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের ঘটনাও ঘটে। এতে তাকসিমের কিছুই হয়নি। বরং তার অনিয়ম, অপচয় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ায় সরে যেতে হয় সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে।

ঢাকা ওয়াসার একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ঢাকা ওয়াসা কার্যালয়ে আসেননি তাকসিম এ খান। তিনি গুলশানে ওয়াসার চেয়ারম্যানের বাসভবনেও নেই। এখন কোথায় আছেন, সেটাও জানা যায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার উপপ্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এস এম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন, আমার সঙ্গে ১ আগস্ট এমডির সঙ্গে শেষ দেখা হয়। এরপর তার সঙ্গে আর কথাও হয়নি। তিনি কোথায় আছেন, এই বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

এর আগে, গতকাল রোববার (১১ আগস্ট) কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, তাকসিমের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলে নেমে আসতো খড়্গ। কারণ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হতো। কয়েকজন চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে আদালতের আদেশ নিয়ে আসার পরও চাকরি করতে দেওয়া হয়নি।

ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মাসিক বেতন বর্তমানে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে সবাই যখন বিপাকে, তখন একলাফে তার বেতন বাড়ানো হয়েছিল পৌনে ২ লাখ টাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক

কোথায় আছেন ওয়াসার সেই বিতর্কিত এমডি তাকসিম এ খান

আপডেট সময় : ০৮:৩২:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকার শাসনামলে আলোচিত-সমালোচিত চরিত্র ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর ছয় দফায় তার মেয়াদ বাড়ে। সবশেষ তার নিয়োগের সময় জানা যায়, গত ১২ বছরে ওয়াসার এমডির বেতন বেড়েছে ৪২১ শতাংশ।

অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগ থাকার পরও বারবার তাকে এই পদেই রাখে সরকার। এসময় তাকসিম এ খান এমন অসাধারণ কিছু করেননি, যাতে তার ক্ষমতার মেয়াদ বেড়েছে। এ নিয়ে নানা সময়ে হয়েছে সমালোচনা। তারপরেও বহাল তবিয়তেই ছিলেন তাকসিম।

সেই তাকসিম গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই আছেন লাপাত্তা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার পতনের পর একদিনও নিজ দপ্তরে আসেননি তিনি। তিনি দেশে আছেন, নাকি পরিবারের কাছে বিদেশে চলে গেছেন সেটিও নিশ্চিত করা যায়নি।

বলে রাখা ভালো, তাকসিম এ খান, তার স্ত্রী ও সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে পারেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে যেকোনো পন্থায় হোক, বিতর্কিত এই তাকসিমকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অভিযোগ রয়েছে, গত ১৫ বছরে ঢাকা ওয়াসায় একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তাকসিম এ খান। ওয়াসা আইন অনুযায়ী, ঢাকা ওয়াসা পরিচালিত হওয়ার কথা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। তবে অনেক ক্ষেত্রেই বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে ঢাকা ওয়াসাকে পরিচালনা করেছেন তাকসিম। এ নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের ঘটনাও ঘটে। এতে তাকসিমের কিছুই হয়নি। বরং তার অনিয়ম, অপচয় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ায় সরে যেতে হয় সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে।

ঢাকা ওয়াসার একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ঢাকা ওয়াসা কার্যালয়ে আসেননি তাকসিম এ খান। তিনি গুলশানে ওয়াসার চেয়ারম্যানের বাসভবনেও নেই। এখন কোথায় আছেন, সেটাও জানা যায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার উপপ্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এস এম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন, আমার সঙ্গে ১ আগস্ট এমডির সঙ্গে শেষ দেখা হয়। এরপর তার সঙ্গে আর কথাও হয়নি। তিনি কোথায় আছেন, এই বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

এর আগে, গতকাল রোববার (১১ আগস্ট) কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, তাকসিমের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলে নেমে আসতো খড়্গ। কারণ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হতো। কয়েকজন চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে আদালতের আদেশ নিয়ে আসার পরও চাকরি করতে দেওয়া হয়নি।

ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মাসিক বেতন বর্তমানে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে সবাই যখন বিপাকে, তখন একলাফে তার বেতন বাড়ানো হয়েছিল পৌনে ২ লাখ টাকা।