শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাইফুলের উপর হামলার অভিযোগ Logo হার্ভার্ডের সম্মাননা পেলেন রাবির আইআর বিভাগের ৭ শিক্ষার্থী Logo নিখোঁজের ৫ ঘন্টার পুকুর থেকে প্রতিবন্ধীর মরদেহ উদ্ধার Logo ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার প্রতিবাদে রাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo সাম্য হত্যা বিচারের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ Logo চুয়াডাঙ্গায় ৪৪ দিনের তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডে শীর্ষে Logo আলমডাঙ্গায় চার প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দামুড়হুদায় ধান শুকানোর সময় ছাঁদ থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু Logo হাসনাতদের বেলায় ঠান্ডা পানি স্প্রে;জবি শিক্ষার্থীদের বেলায় টিয়ার শেল,সাউন্ড গ্রেনেড,লাঠি চার্জ Logo দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা জবি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের, পুলিশের বিচার দাবি

শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের দমনে নির্দেশনা দেননি : জয়

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:০২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৩১ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের দমনে নির্দেশনা দেননি, পুলিশই অতিরিক্ত ফোর্স নামিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।  

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা সরকারের লোকেরা বেআইনি কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমার মা ভুল কিছু করেননি। তার সরকারের লোকেরা বেআইনি কাজ করেছেন।

তার মানে এই নয় যে- আমার মায়ের নির্দেশেই এ কাজগুলো করেছে। যারা এসবের জন্য দায়ী, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। ’

ছাত্র আন্দোলনে প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। এর দায়ে শেখ হাসিনার বিচারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা, রয়টার্সের এমন প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, ‘গ্রেপ্তারের হুমকিতে আমার মা আগেও কখনো ভয় পাননি। তিনি ভুল কিছু করেননি। ’

এদিকে ছাত্র আন্দোলন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নিলে গত ৫ আগস্ট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়ে যান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনি পদত্যাগ করেননি বলে দাবি করেছেন তার ছেলে জয়।

রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমার মা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। সেই সময়টাই তিনি পাননি। একটি বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হতে থাকায় আর সময় ছিল না। সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ’

এদিকে রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ভেঙে দেওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এই প্রক্রিয়াকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে মন্তব্য করেছেন জয়। আবার এই সরকারকেই আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছন তিনি। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে বলেও রয়টার্সকে জানিয়েছেন জয়।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন করতে বিএনপিকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে আমি আগ্রহী। ’

প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হতে চান জানিয়ে জয় আরও বলেন, ‘চলতি মেয়াদ শেষে এমনিতেই আমার মা রাজনীতি থেকে অবসরে যেতেন। যদি দল আমাকে চায়, আমি অবশ্যই সেটা বিবেচনায় রাখবো। ’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাইফুলের উপর হামলার অভিযোগ

শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের দমনে নির্দেশনা দেননি : জয়

আপডেট সময় : ১১:২৪:০২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের দমনে নির্দেশনা দেননি, পুলিশই অতিরিক্ত ফোর্স নামিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।  

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা সরকারের লোকেরা বেআইনি কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমার মা ভুল কিছু করেননি। তার সরকারের লোকেরা বেআইনি কাজ করেছেন।

তার মানে এই নয় যে- আমার মায়ের নির্দেশেই এ কাজগুলো করেছে। যারা এসবের জন্য দায়ী, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। ’

ছাত্র আন্দোলনে প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। এর দায়ে শেখ হাসিনার বিচারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা, রয়টার্সের এমন প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, ‘গ্রেপ্তারের হুমকিতে আমার মা আগেও কখনো ভয় পাননি। তিনি ভুল কিছু করেননি। ’

এদিকে ছাত্র আন্দোলন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নিলে গত ৫ আগস্ট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়ে যান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনি পদত্যাগ করেননি বলে দাবি করেছেন তার ছেলে জয়।

রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমার মা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। সেই সময়টাই তিনি পাননি। একটি বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হতে থাকায় আর সময় ছিল না। সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ’

এদিকে রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ভেঙে দেওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এই প্রক্রিয়াকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে মন্তব্য করেছেন জয়। আবার এই সরকারকেই আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছন তিনি। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে বলেও রয়টার্সকে জানিয়েছেন জয়।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন করতে বিএনপিকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে আমি আগ্রহী। ’

প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হতে চান জানিয়ে জয় আরও বলেন, ‘চলতি মেয়াদ শেষে এমনিতেই আমার মা রাজনীতি থেকে অবসরে যেতেন। যদি দল আমাকে চায়, আমি অবশ্যই সেটা বিবেচনায় রাখবো। ’