নিউজ ডেস্ক:
বৃদ্ধাকে হাতকড়া পড়িয়ে বাড়ি থেকে বের করে আনছে পুলিশ। তোলা হচ্ছে গাড়িতে। প্রতিবেশীদের চোখ কপালে! এ কী কাণ্ড! কী করেছেন অ্যানি? কেন ধরে নিয়ে যাচ্ছে? এই বয়সে কী এমন অপরাধ করতে পারেন একজন? এ সব কৌতুহলের সামনে দিয়ে পুলিশের গাড়ির দিকে এগিয়ে চলা বৃদ্ধার চোখে মুখে কিন্তু ভয়ের বা ভেঙে পড়ার ছাপ দূরে থাক, উল্টে হাসিতে উদ্ভাসিত, খুশিতে আত্মহারা।
কারণটা জানা গেল কিছুক্ষণেই। অ্যানির অনেক দিনের সাধ, যদি কয়েকটা দিন জেলখানায় কাটানো যায়। কিন্তু জেলে যেতে তো তেমন কোন অপরাধ করতে হবে! অ্যানির সাধ পূরণ হয়নি। নিজের এই অদ্ভুত ইচ্ছে কোন দিনই মেটাতে পারেননি। দেখতে দেখতে ৯৯ বছর বয়স হয়ে গেল। এখন সেঞ্চুরির দোরগড়ায় দাঁড়িয়ে। যে কোন দিন মৃত্যু তাঁকে ডেকে নিতে পারে। তাই এর আগেই যদি জীবনের শেষ ইচ্ছেটা পূরণ করা যেত! এমন আক্ষেপ প্রতি দিনই কুরে কুরে খাচ্ছিল নেদারল্যান্ডসের এই নাগরিককে।
অবশেষে নাতনির হাত ধরেই পূর্ণ হল অ্যানির স্বপ্ন। তার ইচ্ছা পূর্ণ করতে পুলিশের কাছে নাতনি অনুরোধ করেন, যদি কয়েক ঘণ্টার জন্য তাদের জেল শেয়ার করতে দেন দাদিকে। এমন প্রস্তাব শুনে প্রথমে তো হাসিতে উড়িয়ে দেন থানার পুলিশ কর্তারা। মজার ছলে নিলেও পরে প্রায় শতায়ু দাদি এই ভারী অদ্ভুত ইচ্ছেটা একেবারে ফেলে দেননি তাঁরা। নাতনির কথা মতো অ্যানিকে হাতকড়া পরিয়ে কয়েক মিনিট জেলে রাখা হয়। হাতে হাতকড়া পড়ে, জেলের গরাদ দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন অ্যানি।
অ্যানির কারাবাসের কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন পুলিশ। রাতারাতি ভাইরাল হয়ে ওঠেন অ্যানি। ফেসুবক পেজে অভিনন্দনের বন্যা। কেউ কমেন্ট করলেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী বন্দি এই দাদি”। কেউ বা লিখলেন, “এর পরের ইচ্ছাটা কী হবে সেই চিন্তায় আছি সবাই।