শিরোনাম :
Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা Logo ৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণ-অবস্থান

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:১৫:২৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে প্রায় ১১০ পয়েন্টে গন-অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে হাজারো মানুষ। গত শুক্রবার (১২ জুলাই ) বিকাল ৪ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নেয় প্রায় কয়েক হাজার মানুষ।

তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ এই গণ-অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করে। আয়োজনে তিস্তা নদীর দুই পাড়ের মানুষ অংশ নেয়।

এবং তারা এই অবস্থানের পক্ষে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হাক্কানী বলেন, দেশের বিভিন্ন অংশে প্রায় ৪লাখ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। অথচ আমাদের তিস্তা পাড়ের মানুষের জন্য কোনো মেগা প্রকল্প নাই। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। আর নয় ভারত-চীনের রশি টানাটানি, আমরা চাই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

তিস্তা নদী অববাহিকার রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নিয়ে এই অবস্থানের সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে। কর্মসূচীতে অবস্থান নেওয়া বক্তারা বলেন, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সাথে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। সারাবছর তিস্তার পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ করতে হবে। তিস্তা নদীর আশেপাশের নদীগুলোর সাথে তিস্তার পানিপ্রবাহ ঠিক করতে হবে। এবং ভুমিদস্যুদের হাত থেকে নদী খনন ও দখলমুক্ত করতে হবে।

এছাড়াও নদীর বুকে ও তীরে গড়ে ওঠা সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা। তিস্তার ভাঙন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ, নদী ভাঙনের শিকার ভূমিহীন, গৃহহীন ও মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসনের দাবিও জানান তারা। তিস্তা মহা-পরিকল্পনায় তিস্তা নদী ও নদীর তীরবর্তী কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষক সমবায় সমিতি গঠন, কৃষিভিত্তিক কলকারখানা গড়ে তোলা এবং মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তাপাড়ের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করারও দাবি জানান উপস্থিত বক্তারা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি 

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণ-অবস্থান

আপডেট সময় : ০১:১৫:২৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে প্রায় ১১০ পয়েন্টে গন-অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে হাজারো মানুষ। গত শুক্রবার (১২ জুলাই ) বিকাল ৪ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নেয় প্রায় কয়েক হাজার মানুষ।

তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ এই গণ-অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করে। আয়োজনে তিস্তা নদীর দুই পাড়ের মানুষ অংশ নেয়।

এবং তারা এই অবস্থানের পক্ষে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হাক্কানী বলেন, দেশের বিভিন্ন অংশে প্রায় ৪লাখ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। অথচ আমাদের তিস্তা পাড়ের মানুষের জন্য কোনো মেগা প্রকল্প নাই। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। আর নয় ভারত-চীনের রশি টানাটানি, আমরা চাই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

তিস্তা নদী অববাহিকার রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নিয়ে এই অবস্থানের সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে। কর্মসূচীতে অবস্থান নেওয়া বক্তারা বলেন, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সাথে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। সারাবছর তিস্তার পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ করতে হবে। তিস্তা নদীর আশেপাশের নদীগুলোর সাথে তিস্তার পানিপ্রবাহ ঠিক করতে হবে। এবং ভুমিদস্যুদের হাত থেকে নদী খনন ও দখলমুক্ত করতে হবে।

এছাড়াও নদীর বুকে ও তীরে গড়ে ওঠা সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা। তিস্তার ভাঙন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ, নদী ভাঙনের শিকার ভূমিহীন, গৃহহীন ও মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসনের দাবিও জানান তারা। তিস্তা মহা-পরিকল্পনায় তিস্তা নদী ও নদীর তীরবর্তী কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষক সমবায় সমিতি গঠন, কৃষিভিত্তিক কলকারখানা গড়ে তোলা এবং মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তাপাড়ের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করারও দাবি জানান উপস্থিত বক্তারা।