বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল

আবারও রোহিঙ্গা শুমারি শুরু !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আবারও শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা শুমারি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য (আরাকান) থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেওয়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানতে একযোগে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে শুরু হয়েছে এই শুমারি। আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এবারের রোহিঙ্গা শুমারি চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত।

কক্সবাজার জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে সকাল থেকে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া ও টেকনাফে এ শুমারি শুরু হয়েছে। একই দিন চট্টগ্রামের লোহাগড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালী এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলীকদমেও এ শুমারি শুরু হয়েছে।

ওয়াহিদুর রহমান বলেন, “মিয়ানামারের সীমান্তরক্ষী নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনার পর গত বছরে ৯ অক্টোবর দেশটির সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান শুরু করলে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা নিয়ে আন্তর্জাতিকসহ বিভিন্ন সংস্থা একেক রকম কথা বলছে। সরকার একইসঙ্গে তিন জেলায় শুমারি শুরু করা ছাড়াও কক্সবাজারের নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরগুলোর (উখিয়ার কুতুপালংয়ে একটি ও টেকনাফের নয়াপাড়ায় একটি) বাইরে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাসকারী অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদেরও শুমারি হবে। শুমারি চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। তবে কাজের ওপর নির্ভর করে সময় আরো বাড়ানো হতে পারে।

তিনি আরও জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে যারা পালিয়ে এসে সীমান্তবর্তী উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। তারা জেলার রামু, চকরিয়া ও কক্সবাজার সদরে আশ্রয় নিয়েছে বলে নানা সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। জেলার অন্য তিন উপজেলায় নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়া পাঁচ উপজেলায় শুমারি শুরু হয়েছে।

শুমারির কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে এরইমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠিত হয়েছে। জেলা কমিটিতে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা কমিটিতে স্থানীয় ইউএনওদের কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে শুমারিতে অংশ নেওয়া প্রতি দলে দু’জন করে ১৭০টি দল কাজ করছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

আবারও রোহিঙ্গা শুমারি শুরু !

আপডেট সময় : ০৫:২৫:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আবারও শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা শুমারি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য (আরাকান) থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেওয়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানতে একযোগে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে শুরু হয়েছে এই শুমারি। আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এবারের রোহিঙ্গা শুমারি চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত।

কক্সবাজার জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে সকাল থেকে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া ও টেকনাফে এ শুমারি শুরু হয়েছে। একই দিন চট্টগ্রামের লোহাগড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালী এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলীকদমেও এ শুমারি শুরু হয়েছে।

ওয়াহিদুর রহমান বলেন, “মিয়ানামারের সীমান্তরক্ষী নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনার পর গত বছরে ৯ অক্টোবর দেশটির সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান শুরু করলে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা নিয়ে আন্তর্জাতিকসহ বিভিন্ন সংস্থা একেক রকম কথা বলছে। সরকার একইসঙ্গে তিন জেলায় শুমারি শুরু করা ছাড়াও কক্সবাজারের নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরগুলোর (উখিয়ার কুতুপালংয়ে একটি ও টেকনাফের নয়াপাড়ায় একটি) বাইরে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাসকারী অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদেরও শুমারি হবে। শুমারি চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। তবে কাজের ওপর নির্ভর করে সময় আরো বাড়ানো হতে পারে।

তিনি আরও জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে যারা পালিয়ে এসে সীমান্তবর্তী উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। তারা জেলার রামু, চকরিয়া ও কক্সবাজার সদরে আশ্রয় নিয়েছে বলে নানা সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। জেলার অন্য তিন উপজেলায় নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়া পাঁচ উপজেলায় শুমারি শুরু হয়েছে।

শুমারির কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে এরইমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠিত হয়েছে। জেলা কমিটিতে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা কমিটিতে স্থানীয় ইউএনওদের কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে শুমারিতে অংশ নেওয়া প্রতি দলে দু’জন করে ১৭০টি দল কাজ করছে।