শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

জমে উঠেছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনী লড়াই

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:১৩:৫২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮১৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

ঝিনাইদহে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই আ’লীগ নেতা মনোনায়পত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিকারী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী কনক কান্তি দাসের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের নেতা এম হারুন অর রশিদের ফের ভোটযুদ্ধ হতে যাচ্ছে।

এর আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন, জেলা আ’লীগের ধর্ম বিষায়ক সম্পাদক সাকে পৌর চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খোকা ও সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম হারুন অর রশিদসহ ৪ জন মনোনায়নপত্র দাখিল করেন। দলীয় সমাঝোতায় গত ২২ সেপ্টেম্বর আনিছুর রহমান খোকা এবং গতকাল রোববার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন মনোনায়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। যে কারনে গত ৫ বছর আগে অনুষ্ঠিত সেই পুরানো দুই প্রার্থী এবারো জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতায় লিপ্ত হয়েছেন।

নির্বাচন নিয়ে আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস বলেন, তিনি আশা করেন এবারের নির্বাচনে তেমন কোন প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়ায় জয়লাভ করবেন। তিনি জানান দলের যে দু’জন প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মনোনায়ন দাখিল করেছিলেন, তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সাথে ওই দুই জন নেতাসহ দলিয় নেতৃবৃন্দ তার পক্ষে কাজ করছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম হারুন অর রশিদ বলেন, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তিনি সামন্য ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারো তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি আরো বলেন গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচন যদি সেই ভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে তিনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন বলে জোর দাবি রাখেন।

উল্লেখ্য হারুন অর রশিদ এর আগেএকাধিকবার পৌরসভা ও উপজেলা পরিষধ নির্বাচনে দাড়িয়ে পরাজিত হন। ঝিনাাইদহ জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদ বলেন দলিয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করছেন এবং দুইজন সিনিয়র নেতা তাদের মনোনায়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যে কারনে তাদের দলিয় প্রার্থীর জয়লাভের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদি।

এদিকে জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য পদে ৩ জন মনোনায়ন পত্র প্রত্যাহার করেছে। ফলে এখন সাধারণ সদস্য পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

জমে উঠেছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনী লড়াই

আপডেট সময় : ১২:১৩:৫২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

ঝিনাইদহে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই আ’লীগ নেতা মনোনায়পত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিকারী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী কনক কান্তি দাসের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের নেতা এম হারুন অর রশিদের ফের ভোটযুদ্ধ হতে যাচ্ছে।

এর আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন, জেলা আ’লীগের ধর্ম বিষায়ক সম্পাদক সাকে পৌর চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খোকা ও সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম হারুন অর রশিদসহ ৪ জন মনোনায়নপত্র দাখিল করেন। দলীয় সমাঝোতায় গত ২২ সেপ্টেম্বর আনিছুর রহমান খোকা এবং গতকাল রোববার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন মনোনায়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। যে কারনে গত ৫ বছর আগে অনুষ্ঠিত সেই পুরানো দুই প্রার্থী এবারো জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতায় লিপ্ত হয়েছেন।

নির্বাচন নিয়ে আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস বলেন, তিনি আশা করেন এবারের নির্বাচনে তেমন কোন প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়ায় জয়লাভ করবেন। তিনি জানান দলের যে দু’জন প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মনোনায়ন দাখিল করেছিলেন, তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সাথে ওই দুই জন নেতাসহ দলিয় নেতৃবৃন্দ তার পক্ষে কাজ করছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম হারুন অর রশিদ বলেন, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তিনি সামন্য ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারো তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি আরো বলেন গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচন যদি সেই ভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে তিনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন বলে জোর দাবি রাখেন।

উল্লেখ্য হারুন অর রশিদ এর আগেএকাধিকবার পৌরসভা ও উপজেলা পরিষধ নির্বাচনে দাড়িয়ে পরাজিত হন। ঝিনাাইদহ জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদ বলেন দলিয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করছেন এবং দুইজন সিনিয়র নেতা তাদের মনোনায়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যে কারনে তাদের দলিয় প্রার্থীর জয়লাভের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদি।

এদিকে জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য পদে ৩ জন মনোনায়ন পত্র প্রত্যাহার করেছে। ফলে এখন সাধারণ সদস্য পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।