1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
এবারও আইন ছাড়াই নির্বাচন কমিশন! | Nilkontho
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | শুক্রবার | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
ঘুষের মামলায় গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে পরোয়ানা ধাপে ধাপে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে সরকার: হাসান আরিফ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ন্যূনতম সংস্কারের পরেই নির্বাচন চায় জামায়াত- অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার গুমের সঙ্গে জড়িতরা রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব চ্যালেঞ্জ কাপ জিতে মৌসুম শুরু বসুন্ধরা কিংসের একদিনেই নেই ১৭ উইকেট, ভারতের পর বেকায়দায় অস্ট্রেলিয়া আয়ারল্যান্ডের কিলদারে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত সরে গেলেন গেটজ, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মেয়র আতিক কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই: জামায়াত আমির ‘ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার’ ৮ ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি রোববার শপথ নিচ্ছেন সিইসি ও ইসিরা থাইল্যান্ডসহ ৫ দেশে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কবার্তা সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার ধাক্কা, দুই জেলে নিখোঁজ সবজির বাজারে শীতের আমেজ, আলুর দামে অস্বস্তি চার দিনের সফরে ঢাকায় বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি সড়ক থেকে সরলেন আন্দোলনকারীরা, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক জীবননগর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম গ্রেফতার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

এবারও আইন ছাড়াই নির্বাচন কমিশন!

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সংবিধানে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা থাকলেও চার দশকের বেশি সময় ধরে কোনো সরকারই সেদিকে হাঁটছে না। রাষ্ট্রপতি অনুসন্ধান কমিটি (সার্চ কমিটি) গঠন ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করলেও এ ক্ষেত্রে সব সময় সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটে। এবারও একই প্রক্রিয়ায় ইসি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
আইনের বদলে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠন করা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলছেন, আইন না থাকায় ইসি গঠনের পুরো সুফল পাবে সরকার। তাঁরা বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনও একটি অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। এই কমিশন দু-একটি ছাড়া সব ক্ষেত্রেই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন কমিশনার নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে। এ বিষয়ে প্রণীত আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু রাষ্ট্রপতি একটি উদ্যোগ নিয়েছেন, সেহেতু এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বরং রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।’ তিনি মনে করেন, রাষ্ট্রপতি সঠিক ও যোগ্য লোকদের নিয়ে কমিশন গঠন করবেন এবং তাঁরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন।
আইনজ্ঞ ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে বর্তমান কমিশন হয়েছিল এবং আগামী কমিশনও একই প্রক্রিয়ায় হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আইন বা বিধি নেই। তাঁদের মতে, প্রজ্ঞাপন দিয়ে আইনের উদ্দেশ্য পূরণ হয় না।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আইন যখন নেই, তখন সর্বসম্মতিতে একটি সিদ্ধান্ত হলে তা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু বারবার এটা হতে পারে না। আইনের কাজ অন্যভাবে না করাই শ্রেয়। তা ছাড়া, আইন থাকলে এভাবে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ লাগত না এবং রাজনৈতিক অবিশ্বাসের প্রশ্ন উঠত না।

সাখাওয়াত হোসেনের মতে, রাষ্ট্রপতি যখন কোনো উদ্যোগ নেন, তখন ধরে নেওয়া হয় যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বা তাঁর অনুরোধে তিনি এটা করছেন অথবা তাঁর উদ্যোগে সরকার বা সরকারপ্রধানের আপত্তি নেই। এখানে সরকারের বড় ধরনের প্রভাব থাকার সুযোগ থাকে, আইন বা বিধি থাকলে যেটা অনেক কম থাকত।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে। এর আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিষয়টি ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনের একটি রূপরেখা তৈরি করে তা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে বলেছেন, রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত তাঁরা মেনে নেবেন।

এই প্রেক্ষাপটে কাল রোববার রাষ্ট্রপতি সংলাপের আয়োজন করেছেন। সংলাপের বিষয়বস্তু নির্বাচন কমিশন গঠন হলেও এখনো অনুসন্ধান কমিটি হয়নি। আগের দফায় অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে সংলাপের আয়োজন করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, রাষ্ট্রপতি অনুসন্ধান কমিটি নিয়েই আলোচনা শুরু করবেন।

এদিকে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন কিছুটা সরগরম হয়ে উঠেছে। মাঠের রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়া বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনের ইস্যুতে কিছুটা আলোচনায় এসেছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তবে বিএনপির একটি অংশ এবং নাগরিক সমাজের অনেকেই রাজনৈতিক বাস্তবতা পর্যালোচনা করে বলছেন, এর মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে তাঁরা তিন বছর ধরে দুই মেরুতে অবস্থান করা প্রধান দুটি দলের অনমনীয় মনোভাবে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন।

সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে নতুন আইন প্রণয়নের কোনো বিকল্প আছে বলে কেউ মনে করেন না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা দায়িত্বে থাকার সময় দুই দফায় সরকারের কাছে এই আইন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু সরকার তা আমলে নেয়নি।

শামসুল হুদা এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, সংবিধানে বলা আছে, কমিশন গঠনের জন্য আইন করতে হবে। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে কোনো সরকার সেটা মানছে না। এই না মানাটা সঠিক কোনো পদ্ধতি হতে পারে না। তিনি বলেন, এমনকি এটা নিয়ে আদালতেও প্রশ্ন উঠতে পারে। আদালত থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা এলে সেটা নিশ্চয়ই সরকার মেনে নেবে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত সবাইকে রাষ্ট্রপতির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। তিনি ভালো কিছু করেও ফেলতে পারেন। ভালো কিছু হয়ে গেলে সেটা হবে আপাতত ভালো। তবে দরকার স্থায়ী ও গ্রহণযোগ্য একটি পদ্ধতির।

নির্বাচন কমিশন গঠনের অতীত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তিন মেয়াদে (১৯৯০, ১৯৯৬ ও ২০০৭) নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে তেমন বিতর্ক হয়নি। এর বাইরে বাকি কমিশনগুলো একতরফাভাবে সরকারের ইচ্ছায় নিয়োগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি এ কে এম সাদেকের নেতৃত্বাধীন কমিশন রাজনৈতিক চাপে এক বছরের কম সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এ ছাড়া ২০০৫ সালে নিয়োগ পাওয়া এম এ আজিজের নেতৃত্বাধীন কমিশন বিদায় নিতে বাধ্য হয় দেড় বছরের মাথায়। তারও আগে ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসকের পতনের পর নিয়োগের ১০ মাসের মাথায় পদত্যাগ করেন তখনকার সিইসি বিচারপতি সুলতান হোসেন খান।

এ ছাড়া দুজন সিইসি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। ১৯৯৫ সালে মাগুরার একটি আসনে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে পদত্যাগ করেন তখনকার সিইসি বিচারপতি মো. আবদুর রউফ। ওই নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০০০ সালের ৮ মে পদত্যাগ করেন তখনকার সিইসি মোহাম্মদ আবু হেনা। ওই সময় আওয়ামী লীগ সরকার উপজেলা নির্বাচন আইন করে দেশব্যাপী নির্বাচন করার অনুরোধ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু আবু হেনা এক বছরের মাথায় জাতীয় নির্বাচন করতে হবে বলে উপজেলা নির্বাচন করতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবু হেনা পদত্যাগ করেন। অবশ্য এ ঘটনার পর ওই মেয়াদে আর উপজেলা নির্বাচন হয়নি। এরপর সিইসি এম এ সাঈদের নিয়োগ নিয়ে বিএনপি শুরুতে আপত্তি তুললেও পরে মেনে নেয় এবং ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করে।

এ পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া ১১ জন সিইসির মধ্যে সাতজনই ছিলেন বিচারপতি। ১৯৯৬ পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া সবাই বিচারপতি। তারপর থেকে এ পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া পাঁচজনের মধ্যে একজন ছিলেন বিচারপতি। বাকিরা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। বর্তমান সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশন গঠন হয় অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে। যদিও বিএনপি তখন ইসি গঠনের চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ওপরই বেশি জোর দিয়েছিল।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা বহুলাংশে ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। তাঁর মতে, সাংবিধানিক নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ আইন প্রণয়ন ও সঠিক অনুসন্ধান কমিটি করা হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন পাওয়ার পথ সুগম হবে।

বদিউল আলম মজুমদার এ-ও মনে করেন, সবচেয়ে স্বাধীন কমিশনের পক্ষেও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব নয়, যদি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়তা না করে। কাজী রকিবউদ্দীন কমিশনের পক্ষে ২০১২-১৩ সালের নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্যভাবে করা সম্ভব হলেও ২০১৪ সাল থেকে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি মূলত প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারীর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কারণে।

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:২১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৮
  • ১১:৫৩
  • ৩:৪২
  • ৫:২১
  • ৬:৩৭
  • ৬:২২

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০