নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা পৃথক স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে গাঁজা, ভারতীয় বুপ্রেরনফাইন ইনজেকশন, ফেনসিডিলসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হলেও পালিয়ে যান একজন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া দাসপাড়ার মৃত নিরাপদ দাসের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী শ্রী বাবুল দাস (৫৫) ও একই ইউনিয়নের চকপাড়ার আলী আহম্মদের ছেলে আব্দুল আল মামুন (৪০)। এ ঘটনায় আলুকদিয়ার দাসপাড়ার মৃত বিমল চন্দ্র দাসের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী শ্রী প্রশান্ত দাস (৩০) পালিয়ে যান।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিয়তউল্লাহ, পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন ফোর্স নিয়ে আলুকদিয়ার দাসপাড়ায় প্রশান্ত দাসের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রশান্ত দাস বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেও তাঁর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পলাতক প্রশান্ত দাসের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা এবং গ্রেপ্তারকৃত বাবুল দাসের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাসহ তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে, একই অভিযানিক টিম গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দাসপাড়ার বাবলু দাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩২ বোতল ফেনসিডিল, ১ কেজি গাঁজাসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। অপর দিকে, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সাদিকুর রহমানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা আলুকদিয়ার চকপাড়ায় আব্দুল আল মামুনের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় ১ অ্যাম্পুল ভারতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আব্দুল আল মামুনকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।