শিরোনাম :
Logo বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা Logo সিন্ডিকেটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo ফিটনেসবিহীন কুবির বিআরটিসি বাসে আগুন Logo চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo খুুবি উপাচার্যের সাথে হিট প্রজেক্টপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় Logo চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিটি স্তরে সেবা গ্রহীতাদের স্বস্তি Logo নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন  Logo নারী হেনস্থা ও সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ Logo চাঁদপুর মডেল থানায় ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ইবি’র দুই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে কমিটি পুনর্গঠন

নৌকা ডুবে মৃত ময়মনসিংহের ১২ জনকে একসঙ্গে জানাজা ও দাফন করা হয়েছে।

  • আপডেট সময় : ০৬:০৫:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০
  • ৮৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার মদনে হাওড়ে নৌকা ডুবে মৃত ময়মনসিংহের ১২ জনকে একসঙ্গে জানাজা ও দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কোণাপাড়া ঈদগাহ মাঠে তাদের জানাজা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

মৃতরা হলেন- মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহর মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, তার দুই ছেলে হাফেজ মাহবুবুর রহমান আসিফ, মাহমুদুর রহমান, ভাগনে রেজাউল করিম, ভাতিজা জোবায়ের, জোনায়েদ, ভাতিজি লুবনা, জুলফা, চরখরিচা গ্রামের ইসা মিয়া, তার ছেলে শামীম, কোনাপাড়া গ্রামের মাদরাসাশিক্ষক আজাহারুল ইসলাম, হামিদুল, সাইফুল ইসলাম রতন, জহিরুল ইসলাম, চরগোবিন্দপুরের তালেব মেম্বারের ছেলে শহিদুল, গৌরীপুরের ধোপাজাঙ্গালিয়া গ্রামের শফিকুর রহমান ও তার ছেলে সামাআন।

বুধবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মরদেহ মাদরাসা প্রাঙ্গণে আনা হয়। ওই সময় মৃতদের পরিবার ও স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারি ওঠে চারপাশ। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের পর আনন্দ ভ্রমণে যায় ময়মনসিংহ সদরের মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মাদরাসা প্রধান মাওলানা মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে নেত্রকোনার মদন উপজেলার ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত উচিতপুর হাওরের উদ্দেশ্যে বের হয় ৪৮ জনের একটি দল। এ দলের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর। উচিতপুর পৌঁছে সেখানকার নৌ-ঘাট ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই হাওরে ডুবে যায় তাদের নৌকাটি। খবর পেয়ে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

স্থানীয়রা জানায়, অতিরিক্ত যাত্রী ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে ডুবে যায় নৌকাটি। এ ঘটনায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভবানীপুর, কোনাপাড়া, খরিচা ও গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। বাকি দুইজন গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা।

নিহত লুবনা ও জুলফার মামাতো ভাই ইমন বলেন, ফুটফুটে দুটি মেয়ে। মুখদুটো সারাক্ষণ চোখের সামনে ভেসে উঠে। এমন মৃত্যু কখনো কল্পনা করিনি। পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা নেই।

ময়মনসিংহ সদরের ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃত ১৭ জনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

নৌকা ডুবে মৃত ময়মনসিংহের ১২ জনকে একসঙ্গে জানাজা ও দাফন করা হয়েছে।

আপডেট সময় : ০৬:০৫:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার মদনে হাওড়ে নৌকা ডুবে মৃত ময়মনসিংহের ১২ জনকে একসঙ্গে জানাজা ও দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কোণাপাড়া ঈদগাহ মাঠে তাদের জানাজা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

মৃতরা হলেন- মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহর মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, তার দুই ছেলে হাফেজ মাহবুবুর রহমান আসিফ, মাহমুদুর রহমান, ভাগনে রেজাউল করিম, ভাতিজা জোবায়ের, জোনায়েদ, ভাতিজি লুবনা, জুলফা, চরখরিচা গ্রামের ইসা মিয়া, তার ছেলে শামীম, কোনাপাড়া গ্রামের মাদরাসাশিক্ষক আজাহারুল ইসলাম, হামিদুল, সাইফুল ইসলাম রতন, জহিরুল ইসলাম, চরগোবিন্দপুরের তালেব মেম্বারের ছেলে শহিদুল, গৌরীপুরের ধোপাজাঙ্গালিয়া গ্রামের শফিকুর রহমান ও তার ছেলে সামাআন।

বুধবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মরদেহ মাদরাসা প্রাঙ্গণে আনা হয়। ওই সময় মৃতদের পরিবার ও স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারি ওঠে চারপাশ। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের পর আনন্দ ভ্রমণে যায় ময়মনসিংহ সদরের মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মাদরাসা প্রধান মাওলানা মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে নেত্রকোনার মদন উপজেলার ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত উচিতপুর হাওরের উদ্দেশ্যে বের হয় ৪৮ জনের একটি দল। এ দলের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর। উচিতপুর পৌঁছে সেখানকার নৌ-ঘাট ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই হাওরে ডুবে যায় তাদের নৌকাটি। খবর পেয়ে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

স্থানীয়রা জানায়, অতিরিক্ত যাত্রী ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে ডুবে যায় নৌকাটি। এ ঘটনায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভবানীপুর, কোনাপাড়া, খরিচা ও গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। বাকি দুইজন গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা।

নিহত লুবনা ও জুলফার মামাতো ভাই ইমন বলেন, ফুটফুটে দুটি মেয়ে। মুখদুটো সারাক্ষণ চোখের সামনে ভেসে উঠে। এমন মৃত্যু কখনো কল্পনা করিনি। পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা নেই।

ময়মনসিংহ সদরের ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃত ১৭ জনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে।