বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক

নৌকা ডুবে মৃত ময়মনসিংহের ১২ জনকে একসঙ্গে জানাজা ও দাফন করা হয়েছে।

  • আপডেট সময় : ০৬:০৫:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০
  • ৯২১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার মদনে হাওড়ে নৌকা ডুবে মৃত ময়মনসিংহের ১২ জনকে একসঙ্গে জানাজা ও দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কোণাপাড়া ঈদগাহ মাঠে তাদের জানাজা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

মৃতরা হলেন- মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহর মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, তার দুই ছেলে হাফেজ মাহবুবুর রহমান আসিফ, মাহমুদুর রহমান, ভাগনে রেজাউল করিম, ভাতিজা জোবায়ের, জোনায়েদ, ভাতিজি লুবনা, জুলফা, চরখরিচা গ্রামের ইসা মিয়া, তার ছেলে শামীম, কোনাপাড়া গ্রামের মাদরাসাশিক্ষক আজাহারুল ইসলাম, হামিদুল, সাইফুল ইসলাম রতন, জহিরুল ইসলাম, চরগোবিন্দপুরের তালেব মেম্বারের ছেলে শহিদুল, গৌরীপুরের ধোপাজাঙ্গালিয়া গ্রামের শফিকুর রহমান ও তার ছেলে সামাআন।

বুধবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মরদেহ মাদরাসা প্রাঙ্গণে আনা হয়। ওই সময় মৃতদের পরিবার ও স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারি ওঠে চারপাশ। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের পর আনন্দ ভ্রমণে যায় ময়মনসিংহ সদরের মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মাদরাসা প্রধান মাওলানা মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে নেত্রকোনার মদন উপজেলার ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত উচিতপুর হাওরের উদ্দেশ্যে বের হয় ৪৮ জনের একটি দল। এ দলের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর। উচিতপুর পৌঁছে সেখানকার নৌ-ঘাট ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই হাওরে ডুবে যায় তাদের নৌকাটি। খবর পেয়ে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

স্থানীয়রা জানায়, অতিরিক্ত যাত্রী ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে ডুবে যায় নৌকাটি। এ ঘটনায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভবানীপুর, কোনাপাড়া, খরিচা ও গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। বাকি দুইজন গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা।

নিহত লুবনা ও জুলফার মামাতো ভাই ইমন বলেন, ফুটফুটে দুটি মেয়ে। মুখদুটো সারাক্ষণ চোখের সামনে ভেসে উঠে। এমন মৃত্যু কখনো কল্পনা করিনি। পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা নেই।

ময়মনসিংহ সদরের ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃত ১৭ জনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক

নৌকা ডুবে মৃত ময়মনসিংহের ১২ জনকে একসঙ্গে জানাজা ও দাফন করা হয়েছে।

আপডেট সময় : ০৬:০৫:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার মদনে হাওড়ে নৌকা ডুবে মৃত ময়মনসিংহের ১২ জনকে একসঙ্গে জানাজা ও দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কোণাপাড়া ঈদগাহ মাঠে তাদের জানাজা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

মৃতরা হলেন- মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহর মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, তার দুই ছেলে হাফেজ মাহবুবুর রহমান আসিফ, মাহমুদুর রহমান, ভাগনে রেজাউল করিম, ভাতিজা জোবায়ের, জোনায়েদ, ভাতিজি লুবনা, জুলফা, চরখরিচা গ্রামের ইসা মিয়া, তার ছেলে শামীম, কোনাপাড়া গ্রামের মাদরাসাশিক্ষক আজাহারুল ইসলাম, হামিদুল, সাইফুল ইসলাম রতন, জহিরুল ইসলাম, চরগোবিন্দপুরের তালেব মেম্বারের ছেলে শহিদুল, গৌরীপুরের ধোপাজাঙ্গালিয়া গ্রামের শফিকুর রহমান ও তার ছেলে সামাআন।

বুধবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মরদেহ মাদরাসা প্রাঙ্গণে আনা হয়। ওই সময় মৃতদের পরিবার ও স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারি ওঠে চারপাশ। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের পর আনন্দ ভ্রমণে যায় ময়মনসিংহ সদরের মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মাদরাসা প্রধান মাওলানা মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে নেত্রকোনার মদন উপজেলার ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত উচিতপুর হাওরের উদ্দেশ্যে বের হয় ৪৮ জনের একটি দল। এ দলের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর। উচিতপুর পৌঁছে সেখানকার নৌ-ঘাট ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই হাওরে ডুবে যায় তাদের নৌকাটি। খবর পেয়ে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

স্থানীয়রা জানায়, অতিরিক্ত যাত্রী ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে ডুবে যায় নৌকাটি। এ ঘটনায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভবানীপুর, কোনাপাড়া, খরিচা ও গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। বাকি দুইজন গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা।

নিহত লুবনা ও জুলফার মামাতো ভাই ইমন বলেন, ফুটফুটে দুটি মেয়ে। মুখদুটো সারাক্ষণ চোখের সামনে ভেসে উঠে। এমন মৃত্যু কখনো কল্পনা করিনি। পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা নেই।

ময়মনসিংহ সদরের ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃত ১৭ জনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে।