মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার Logo চাঁদপুর-৩ আসনে গনফোরাম মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবরের মনোনয়ন দাখিল Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম বেপারী Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন Logo চুয়াডাঙ্গা ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কাপছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি Logo চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জনাব, মো: শরীফুজ্জামান শরীফ এর মনোনয়ন ফর্ম জমা Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অ্যাড. শাহজাহান মিয়া Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মতলব উত্তর উপজেলা শাখার শপথ অনুষ্ঠান Logo আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত’ : প্রধান উপদেষ্টা Logo পলাশবাড়ী চৌমাথায় সৌন্দর্যহীন ফাঁকা জায়গা, নান্দনিক উন্নয়নের দাবি স্থানীয়দের

অর্ধকোটি টাকার বসতবাড়ী-ফসলের ক্ষতি : দুশ্চিন্তায় চাষী!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০১:০৯:৫৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে আবারও শিলাবৃষ্টির তান্ডব : তিতুদহ-গিরিশনগরসহ ২৮ গ্রামে
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে আবারও শিলাবৃষ্টি তান্ডব চালিয়েছে। এতে বেড়েছে আরও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। মৌসুমী ফলের মুকুল ঝরে পড়ায় ফলন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। হঠাৎ অতি শিলাবৃষ্টির কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্য তিন উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কম হলেও সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ২৮টি গ্রামের মানুষের ফসলের আবাদসহ বসতবাড়ি বৃষ্টি-ঝড়ের তান্ডবে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এছাড়াও আম, লিচু, জামের মুকুল, কাঁঠাল, কলা ও পেঁপেসহ নানা ধরনের ফলের ক্ষতির চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ৪০মি. হতে সন্ধ্যা ৬টা ২মি. পর্যন্ত দেশের অন্যান্য জায়গার মত চুয়াডাঙ্গার সমস্ত জায়গাতে এই শিলাবৃষ্টি অধিকহারে বর্ষিত হয়। তবে অন্যান্য এলাকার তুলনায় তিতুদহ, সড়াবাড়ীয়া, গিরিশনগর, ৬২আড়ীয়া, চাঁদপুর, গোবরগাড়া, খাসপাড়া, গড়াইটুপি, তেঘরী, বাটিকাডাঙ্গা, খাড়াগোদা, জামালপুরস্ ্ইউপির সমস্ত গ্রামে অতি ভারি আকারে শিলা বর্ষন হয়।
তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে গিরিশনগর, গোবরগাড়া, সিলিন্দিপাড়া ও বিত্তিরদাঁড়ী গ্রামের মানুষের মধ্যে। এখানকার মানুষের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষেরই টিনের তৈরি ঘর। যার ফলে দেখা গেছে, ঘরের প্রতিটি টিনই ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। এখন সেই ঝাঁঝরা দিয়ে স্পষ্ট আকাশ দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নই অনেকের রান্না ঘরের টালি, খাবার প্লেট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
এদিকে, কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা জানায় বর্তমানে তাদের রোপন করা ধানের ফসলে পরিপূর্ণ রুপ ধারণ করবে বা কাঁচ থোঢ় (ধানের বাইল) বের হবে তবে উপর থেকে ২শ’ থেকে ৩শ’ গ্রাম ওজনের শিল পড়ার কারণে এবছর ধানের ফসলে ব্যাপকহারে ক্ষতিতে পড়ে যাবো। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যে ভুট্রার ফসলে পাঁক ধরায় অনেকে বাড়িতে তাদের কাঙ্খিত ফসল তুলতে পারলেও অনেকে এই শিলাবৃষ্টির কারণে জমির এই পাঁকা ভুট্রা নিয়ে পড়তে হবে অনেক ভুগাত্তিতে। অনেকে বলেন, প্রতিবছর আমরা আমাদের এই জমি থেকে বিঘা প্রতি প্রায় ২০ মণ হারে ধান উৎপাদন করি কিন্তু এবছর এই শিলাবৃষ্টির ফলে ১০ মণ ধানের ও আশা করতে পারছিনা। এছাড়া মাঠের বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, আলু, টমেটো, লাউসহ নানা ধরনের সবজির উপর শিলা পড়ার কারনে দু-এক দিনের মধ্যে সেগুলোতে পচন ধরে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে বলে জানান বড়শলুয়ার গ্রামের কয়েকজন সাধারণ কৃষক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার

অর্ধকোটি টাকার বসতবাড়ী-ফসলের ক্ষতি : দুশ্চিন্তায় চাষী!

আপডেট সময় : ০১:০৯:৫৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯

চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে আবারও শিলাবৃষ্টির তান্ডব : তিতুদহ-গিরিশনগরসহ ২৮ গ্রামে
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে আবারও শিলাবৃষ্টি তান্ডব চালিয়েছে। এতে বেড়েছে আরও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। মৌসুমী ফলের মুকুল ঝরে পড়ায় ফলন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। হঠাৎ অতি শিলাবৃষ্টির কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্য তিন উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কম হলেও সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ২৮টি গ্রামের মানুষের ফসলের আবাদসহ বসতবাড়ি বৃষ্টি-ঝড়ের তান্ডবে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এছাড়াও আম, লিচু, জামের মুকুল, কাঁঠাল, কলা ও পেঁপেসহ নানা ধরনের ফলের ক্ষতির চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ৪০মি. হতে সন্ধ্যা ৬টা ২মি. পর্যন্ত দেশের অন্যান্য জায়গার মত চুয়াডাঙ্গার সমস্ত জায়গাতে এই শিলাবৃষ্টি অধিকহারে বর্ষিত হয়। তবে অন্যান্য এলাকার তুলনায় তিতুদহ, সড়াবাড়ীয়া, গিরিশনগর, ৬২আড়ীয়া, চাঁদপুর, গোবরগাড়া, খাসপাড়া, গড়াইটুপি, তেঘরী, বাটিকাডাঙ্গা, খাড়াগোদা, জামালপুরস্ ্ইউপির সমস্ত গ্রামে অতি ভারি আকারে শিলা বর্ষন হয়।
তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে গিরিশনগর, গোবরগাড়া, সিলিন্দিপাড়া ও বিত্তিরদাঁড়ী গ্রামের মানুষের মধ্যে। এখানকার মানুষের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষেরই টিনের তৈরি ঘর। যার ফলে দেখা গেছে, ঘরের প্রতিটি টিনই ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। এখন সেই ঝাঁঝরা দিয়ে স্পষ্ট আকাশ দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নই অনেকের রান্না ঘরের টালি, খাবার প্লেট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
এদিকে, কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা জানায় বর্তমানে তাদের রোপন করা ধানের ফসলে পরিপূর্ণ রুপ ধারণ করবে বা কাঁচ থোঢ় (ধানের বাইল) বের হবে তবে উপর থেকে ২শ’ থেকে ৩শ’ গ্রাম ওজনের শিল পড়ার কারণে এবছর ধানের ফসলে ব্যাপকহারে ক্ষতিতে পড়ে যাবো। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যে ভুট্রার ফসলে পাঁক ধরায় অনেকে বাড়িতে তাদের কাঙ্খিত ফসল তুলতে পারলেও অনেকে এই শিলাবৃষ্টির কারণে জমির এই পাঁকা ভুট্রা নিয়ে পড়তে হবে অনেক ভুগাত্তিতে। অনেকে বলেন, প্রতিবছর আমরা আমাদের এই জমি থেকে বিঘা প্রতি প্রায় ২০ মণ হারে ধান উৎপাদন করি কিন্তু এবছর এই শিলাবৃষ্টির ফলে ১০ মণ ধানের ও আশা করতে পারছিনা। এছাড়া মাঠের বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, আলু, টমেটো, লাউসহ নানা ধরনের সবজির উপর শিলা পড়ার কারনে দু-এক দিনের মধ্যে সেগুলোতে পচন ধরে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে বলে জানান বড়শলুয়ার গ্রামের কয়েকজন সাধারণ কৃষক।