শিরোনাম :
Logo ইবি প্রক্টরের মেয়াদ বাড়লো আরও এক বছর Logo উপাচার্যের দায়িত্বগ্রহণের এক বছর পূর্তিতে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo কয়রায় নৌবাহিনী ও পুলিশের যৌথ চেকপোস্ট Logo বালু খেকদের কবলে কয়রা নদী :ভাঙ্গনে ক্ষোভ বাড়ছে, ব্যবস্থা নেই প্রশাসনের  Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন দাবা ও টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ Logo মতলব উত্তর সাদুল্লাপুর ও বাগানবাড়ি ইউনিয়নে জাকের পার্টির জনসভা Logo পলাশবাড়ীতে ব্রিজের নিচে মিললো ভাস্যমান মরদেহ Logo চাঁদপুর পুলিশ লাইন্স ও সদর মডেল থানা পরিদর্শনে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি Logo চাঁদপুরে এমআরপিসি কমিটির দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo “বার্ষিক মূল্যায়নে ইবি উপাচার্যের প্রাপ্ত নম্বর ১০ এর মধ্যে ২.৪৫”

বাংলাদেশের রাজনীতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে বিএনপি’র প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান

  • আপডেট সময় : ১১:২২:২৫ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯
  • ৭৭২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার অপচেষ্টা পরিহার করে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে দেশের রাজনীতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করা উচিত বিএনপির।
তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির প্রতি আহবান জানাবো, মিথ্যাচারের মাধ্যমে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা পরিহার করুন এবং দেশের রাজনীতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করুন।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত দলের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপিসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান আরো বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং রিজভী আহমেদসহ বিএনপির নেতারা প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দিনে দিনে অবনতির দিকে যাচ্ছে।
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) দু’টি কেবিন অনেকদিন ধরে বরাদ্দ, এমনকি এখনো খালি রাখা আছে। কিন্তু তিনি সেখানে যাবেন না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের জীবন সংকটে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতাল বা বাসার কাছে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়নি। বিএসএমএমইউতে নেয়া হয়েছে। বিদেশী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার প্রশংসা করেছেন। কিন্তু বেগম জিয়া সেখানে যাবেন না। এটা কার দায়।’
বেগম জিয়াকে প্রয়োজনে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের ‘নির্মীয়মান কারাগারে বেগম জিয়াকে স্থানান্তর পরিকল্পনা’ এমন বক্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, বেগম জিয়াকে পুরান কারাগারে সুব্যবস্থায় রাখলে তারা বলেন ‘পরিত্যক্ত জায়গা’ আর নতুন কারাগারে নেয়ার কথা বললে বলেন ‘নির্মীয়মান কারাগার’।
তিনি বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে কোথায় রাখতে হবে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বেগম জিয়াকে? পাঁচতারা হোটেলে?
বিএনপির রাজনীতি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নির্ভর হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথা নতুন কিছু নয়।এই ব্যথা হয়েছিল আরো ১৫ থেকে ২০ বছর আগে। এই হাঁটুর ব্যথা নিয়েই তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রী এবং দু’বার বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপার্সনেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, তাই এটি তার (খালেদা জিয়া) নতুন কোন রোগ নয়, পুরান রোগ। তারপরও সরকার তার পরিপূর্ণ শারীরিক সুস্থতার জন্য সম্পূর্ণ আন্তরিক। তার জন্য কারাগারে সার্বক্ষণিক ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিস্ট ও নার্সের পাশাপাশি কারাবিধি ভেঙ্গে তার পছন্দের গৃহপরিচারিকাকেও তার সঙ্গে রাখা হয়েছে।
ড. হাছান আরো বলেন, তার (খালেদা জিয়া) জন্য উন্নত বিছানা, ফ্রিজ, টিভি ও আলাদা রান্নাঘরও রাখা হয়েছে। তারপরও তার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির রাজনীতি করাটা সত্যি দুঃখজনক।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলের সাহায্যে ক্ষমতা দখল করে দেশে কারফিউতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকাল বিকেল মিথ্যাচার করতে পারছেন। গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র নেই বলে চিৎকার করতে পারছেন !

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি প্রক্টরের মেয়াদ বাড়লো আরও এক বছর

বাংলাদেশের রাজনীতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে বিএনপি’র প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান

আপডেট সময় : ১১:২২:২৫ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার অপচেষ্টা পরিহার করে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে দেশের রাজনীতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করা উচিত বিএনপির।
তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির প্রতি আহবান জানাবো, মিথ্যাচারের মাধ্যমে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা পরিহার করুন এবং দেশের রাজনীতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করুন।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত দলের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপিসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান আরো বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং রিজভী আহমেদসহ বিএনপির নেতারা প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দিনে দিনে অবনতির দিকে যাচ্ছে।
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) দু’টি কেবিন অনেকদিন ধরে বরাদ্দ, এমনকি এখনো খালি রাখা আছে। কিন্তু তিনি সেখানে যাবেন না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের জীবন সংকটে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতাল বা বাসার কাছে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়নি। বিএসএমএমইউতে নেয়া হয়েছে। বিদেশী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার প্রশংসা করেছেন। কিন্তু বেগম জিয়া সেখানে যাবেন না। এটা কার দায়।’
বেগম জিয়াকে প্রয়োজনে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের ‘নির্মীয়মান কারাগারে বেগম জিয়াকে স্থানান্তর পরিকল্পনা’ এমন বক্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, বেগম জিয়াকে পুরান কারাগারে সুব্যবস্থায় রাখলে তারা বলেন ‘পরিত্যক্ত জায়গা’ আর নতুন কারাগারে নেয়ার কথা বললে বলেন ‘নির্মীয়মান কারাগার’।
তিনি বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে কোথায় রাখতে হবে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বেগম জিয়াকে? পাঁচতারা হোটেলে?
বিএনপির রাজনীতি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নির্ভর হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথা নতুন কিছু নয়।এই ব্যথা হয়েছিল আরো ১৫ থেকে ২০ বছর আগে। এই হাঁটুর ব্যথা নিয়েই তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রী এবং দু’বার বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপার্সনেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, তাই এটি তার (খালেদা জিয়া) নতুন কোন রোগ নয়, পুরান রোগ। তারপরও সরকার তার পরিপূর্ণ শারীরিক সুস্থতার জন্য সম্পূর্ণ আন্তরিক। তার জন্য কারাগারে সার্বক্ষণিক ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিস্ট ও নার্সের পাশাপাশি কারাবিধি ভেঙ্গে তার পছন্দের গৃহপরিচারিকাকেও তার সঙ্গে রাখা হয়েছে।
ড. হাছান আরো বলেন, তার (খালেদা জিয়া) জন্য উন্নত বিছানা, ফ্রিজ, টিভি ও আলাদা রান্নাঘরও রাখা হয়েছে। তারপরও তার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির রাজনীতি করাটা সত্যি দুঃখজনক।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলের সাহায্যে ক্ষমতা দখল করে দেশে কারফিউতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকাল বিকেল মিথ্যাচার করতে পারছেন। গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র নেই বলে চিৎকার করতে পারছেন !