শিরোনাম :
Logo কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার Logo বিএনপি-সিপিসির সমঝোতা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করবে Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই: ইরান Logo যেসব অঞ্চলে সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আশঙ্কা Logo অসুস্থ্য যুব নেতা রফিকুল ইসলামে পাশে দাঁড়ালেন উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যান সংগঠন Logo ইনকাম ট্যাক্স অফিসে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একজন আন্দোলন করছেন: রিজভী Logo চার ইস্যুতে জাতীয় স্বার্থবিরোধী তৎপরতা বন্ধের দাবি সাম্যবাদী আন্দোলনের Logo প্রয়াত জামায়াত নেতার কবর জিয়ারত করলেন শফিকুর রহমান Logo ৮ আগস্ট ‘বিপ্লব বেহাত দিবস’ পালনের ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের Logo ২৫০০ ফিট উচ্চতা থেকে ফিরে এলো বাংলাদেশি বিমান

জীবননগরে প্রশাসনের নাকের ডোগায় জুয়া!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:০৮:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ জানুয়ারি ২০১৯
  • ৭২৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:জীবননগর শহরের মেইন বাসস্ট্রান্ডে প্রশাসনের নাকের ডোগায় বসে প্রকাশ্য চলছে জুয়া খেলা। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জীবননগর শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডের আরজের মাংস খানায় চলছে বাহারি রকমারির টিকিট বিক্রির নামে জুয়া খেলা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রশাসনে একাধিকবার বলা সত্বেও কোন প্রতিকার হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন ভোর থেকে চলে আরজের মাংসের দোকানে মাংস বিক্রি আর সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেই জমে ওঠে মাংসের দোকানে বাহারি রকমারি জিনিসপত্র দিয়ে সাজিয়ে রাখা টিকিট বিক্রির নামে জুয়া খেলা। ১০ টাকা টিকিটের মূল্যে করা হলেও সেখানে হাতেগুনে কয়েকজন পায়। তাছাড়া এ খেলায় ১০ জন সদস্য না হলে খেলাটি চালু করা হয় না। এ খেলার নেশায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে অনেকে। তাছাড়া যে স্থানে খেলাটি হয়ে থাকে সেখান দিয়ে প্রতিনিয়িত যাতায়াত করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেক ছাত্র আছে যারা স্কুল কলেজ চলাকালীন সময়ে ওখানে এসে খেলাধুলা করে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা খেলাটি বন্ধ করার জন্য বেশ কিছুদিন চেষ্টা করলেও ক্ষমতাসীন কিছু নেতাদের জন্য তা আর হয়ে ওঠেনি। তাছাড়া প্রশাসনকে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও কোন সুরাহ হয়নি।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর শহরের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা জুয়ার আসরটির সাথে জড়িত আছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান। তার দাপটেই লটারির টিকিট বিক্রির নামে ব্যবসা করে যাচ্ছেন মাগুরার একটি ছেলে। তিনি জানান, আমি এখানে লটারি খেলা করি, আর মালামাল ক্রয় করি আনিসুরের কাছ থেকে। তাছাড়া এ খেলায় তেমন কোন সমস্যা হয় না। এটা আমরা বেশির ভাগ গ্রামেই করে থাকি এবং এটা কোন জুয়া খেলা না, এটা ভাগ্য পরীক্ষা। এদিকে খেলাটি বন্ধ করার জন্য আরজ মাংস ঘরের আরজকে বললে তিনি বলেন, আমি ঘরটি আনিসুরের নিকট ভাড়া নিয়েছি। আমার মাংস বিক্রি হয়ে গেলে চলে যায়। এরপর ওরা খেলা করায় আমি তাদের একাধিকবার নিষেধ করেছি কিন্তু তারা শোনেনি। এদিকে সরকারী রাস্তার ড্রেনের উপর আনিসুর দখল করে ঘর নির্মাণ করে কিভাবে ভাড়া দেয়? শুধু তাই নয় খোলামেলা অবস্থায় যন্ত্রতন্ত্রভাবে পরিত্যাক্ত মাংস বিক্রি করা হলেও নেওয়া হচ্ছে না তার কোন পদক্ষেপ। অভিযুক্ত আনিসুরের দাবি, তিনি কোন জুয়া খেলার সাথে জড়িত নয় তাছাড়া বাসস্ট্যান্ডে যে খেলা করা হয় এটি কোন খারাপ কিছু না।
এ বিষয়ে জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বাসস্ট্যান্ডে জুয়া খেলার বিষয়টি আমি শুনেছি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, মাঝে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। আবার যদি খেলাটি হয় তা হলে ব্যবস্থা নিব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার

জীবননগরে প্রশাসনের নাকের ডোগায় জুয়া!

আপডেট সময় : ১২:০৮:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ জানুয়ারি ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:জীবননগর শহরের মেইন বাসস্ট্রান্ডে প্রশাসনের নাকের ডোগায় বসে প্রকাশ্য চলছে জুয়া খেলা। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জীবননগর শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডের আরজের মাংস খানায় চলছে বাহারি রকমারির টিকিট বিক্রির নামে জুয়া খেলা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রশাসনে একাধিকবার বলা সত্বেও কোন প্রতিকার হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন ভোর থেকে চলে আরজের মাংসের দোকানে মাংস বিক্রি আর সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেই জমে ওঠে মাংসের দোকানে বাহারি রকমারি জিনিসপত্র দিয়ে সাজিয়ে রাখা টিকিট বিক্রির নামে জুয়া খেলা। ১০ টাকা টিকিটের মূল্যে করা হলেও সেখানে হাতেগুনে কয়েকজন পায়। তাছাড়া এ খেলায় ১০ জন সদস্য না হলে খেলাটি চালু করা হয় না। এ খেলার নেশায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে অনেকে। তাছাড়া যে স্থানে খেলাটি হয়ে থাকে সেখান দিয়ে প্রতিনিয়িত যাতায়াত করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেক ছাত্র আছে যারা স্কুল কলেজ চলাকালীন সময়ে ওখানে এসে খেলাধুলা করে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা খেলাটি বন্ধ করার জন্য বেশ কিছুদিন চেষ্টা করলেও ক্ষমতাসীন কিছু নেতাদের জন্য তা আর হয়ে ওঠেনি। তাছাড়া প্রশাসনকে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও কোন সুরাহ হয়নি।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর শহরের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা জুয়ার আসরটির সাথে জড়িত আছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান। তার দাপটেই লটারির টিকিট বিক্রির নামে ব্যবসা করে যাচ্ছেন মাগুরার একটি ছেলে। তিনি জানান, আমি এখানে লটারি খেলা করি, আর মালামাল ক্রয় করি আনিসুরের কাছ থেকে। তাছাড়া এ খেলায় তেমন কোন সমস্যা হয় না। এটা আমরা বেশির ভাগ গ্রামেই করে থাকি এবং এটা কোন জুয়া খেলা না, এটা ভাগ্য পরীক্ষা। এদিকে খেলাটি বন্ধ করার জন্য আরজ মাংস ঘরের আরজকে বললে তিনি বলেন, আমি ঘরটি আনিসুরের নিকট ভাড়া নিয়েছি। আমার মাংস বিক্রি হয়ে গেলে চলে যায়। এরপর ওরা খেলা করায় আমি তাদের একাধিকবার নিষেধ করেছি কিন্তু তারা শোনেনি। এদিকে সরকারী রাস্তার ড্রেনের উপর আনিসুর দখল করে ঘর নির্মাণ করে কিভাবে ভাড়া দেয়? শুধু তাই নয় খোলামেলা অবস্থায় যন্ত্রতন্ত্রভাবে পরিত্যাক্ত মাংস বিক্রি করা হলেও নেওয়া হচ্ছে না তার কোন পদক্ষেপ। অভিযুক্ত আনিসুরের দাবি, তিনি কোন জুয়া খেলার সাথে জড়িত নয় তাছাড়া বাসস্ট্যান্ডে যে খেলা করা হয় এটি কোন খারাপ কিছু না।
এ বিষয়ে জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বাসস্ট্যান্ডে জুয়া খেলার বিষয়টি আমি শুনেছি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, মাঝে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। আবার যদি খেলাটি হয় তা হলে ব্যবস্থা নিব।