বৃহস্পতিবার | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর Logo সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীবিকা উন্নয়নে কয়রায় প্রকল্প সভা অনুষ্ঠিত Logo মিথাইল ও বিষাক্ত স্পিরিট অপব্যবহার রোধে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক সভা Logo সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo দেবহাটায় সাসের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত Logo নানা আয়োজনে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন Logo দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করা বসতবাড়ি ভোগদখল জমিজমা নিমিষেই বেদখল Logo আন্তর্জাতিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ‘এডুরম’ উদ্বোধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল

মেহেরপুরে মোবাইল কোর্টে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বিনষ্ট ও বালু জব্দ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:০৮:৫৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

রক্ষা পেলো শত শত বিঘা ফসলি জমি
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ঘাসের মাঠ এলাকায় কয়েকমাস ধরে আবাদি জমি বিলিন করে ৫০ থেকে ৬০ ফুট গভীর করে খনন করে বালু উত্তোলন করেছেন ওই এলাকার কয়েকজন অসাধু বালু ব্যবসায়ী। ফলে এলাকার পার্শ্ববর্তী জমি ধ্বসের আশঙ্কাসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছিলো। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার দু’দিন ধরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩টি ড্রাম ড্রেজার বিনষ্ট ও উত্তোলনকৃত এক লাখ ৩৯ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করেছে সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সামিউল হক। তবে অভিযানের ঘটনা জানতে পেরে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সামিউল হক জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযোগ পেয়ে বুধবার বিকাল এবং বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গিয়ে দেখা যায় ওই গ্রামের ওসমান গনি, ইমাদুল ইসলাম, বাদশা মন্ডল ও সমিল মন্ডল ড্রাম ড্রেজার ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রেখেছেন। তাৎক্ষনিকভাবে ওসমান গনি, ইমাদুল ইসলাম ও এনামুল হকের ড্রাম ড্রেজার ঘটনাস্থলে পেয়ে সেগুলো বিনষ্ট করা হয় এবং সকলের স্তুপ করে রাখা ১ লাখ ৩৯ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত বালু পরবর্তীতে নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করে ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে। তিনি আরো জানান, বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর আওতায় ওই তিনটি অবৈধ ড্রাম ড্রেজার বিনষ্ট করা হয়েছে এবং বালুগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এদিকে এলাকাবাসীরা জানান, এর আগেও তাদের জরিমানা করা হয়েছিল, তবুও তারা থেমে থাকেনি। এ ধরণের নজরদারী অব্যাহত থাকলে বালু উত্তোলনকারীদের হাত থেকে ফসলী জমি রক্ষাসহ এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর

মেহেরপুরে মোবাইল কোর্টে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বিনষ্ট ও বালু জব্দ

আপডেট সময় : ১২:০৮:৫৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

রক্ষা পেলো শত শত বিঘা ফসলি জমি
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ঘাসের মাঠ এলাকায় কয়েকমাস ধরে আবাদি জমি বিলিন করে ৫০ থেকে ৬০ ফুট গভীর করে খনন করে বালু উত্তোলন করেছেন ওই এলাকার কয়েকজন অসাধু বালু ব্যবসায়ী। ফলে এলাকার পার্শ্ববর্তী জমি ধ্বসের আশঙ্কাসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছিলো। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার দু’দিন ধরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩টি ড্রাম ড্রেজার বিনষ্ট ও উত্তোলনকৃত এক লাখ ৩৯ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করেছে সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সামিউল হক। তবে অভিযানের ঘটনা জানতে পেরে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সামিউল হক জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযোগ পেয়ে বুধবার বিকাল এবং বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গিয়ে দেখা যায় ওই গ্রামের ওসমান গনি, ইমাদুল ইসলাম, বাদশা মন্ডল ও সমিল মন্ডল ড্রাম ড্রেজার ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রেখেছেন। তাৎক্ষনিকভাবে ওসমান গনি, ইমাদুল ইসলাম ও এনামুল হকের ড্রাম ড্রেজার ঘটনাস্থলে পেয়ে সেগুলো বিনষ্ট করা হয় এবং সকলের স্তুপ করে রাখা ১ লাখ ৩৯ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত বালু পরবর্তীতে নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করে ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে। তিনি আরো জানান, বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর আওতায় ওই তিনটি অবৈধ ড্রাম ড্রেজার বিনষ্ট করা হয়েছে এবং বালুগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এদিকে এলাকাবাসীরা জানান, এর আগেও তাদের জরিমানা করা হয়েছিল, তবুও তারা থেমে থাকেনি। এ ধরণের নজরদারী অব্যাহত থাকলে বালু উত্তোলনকারীদের হাত থেকে ফসলী জমি রক্ষাসহ এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে না।