ক্লাসে ছাত্র ছাত্রী নেই নাম তার স্কুল !

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:২৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট ২০১৮
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বেণীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মরিয়ম নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের উপস্থিত ছিল শুন্যের কোঠায়। অন্যান্য ক্লাসেও উপস্থিতি হতাশাজনক। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: উসমান গনি স্কুল দুটি আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে এই দুর্দশার চিত্র পান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: উসমান গনি খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, স্কুল চলাকালীন সময়ে বেণীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মরিয়ম নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীতে কোন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীকেই পাওয়া যায় নি। এই দুর্দশা দেখে তিনি ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বেণীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকল শ্রেনীতে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার খুবই কম ছিলো। এর মধ্যে ১০ম শ্রেনীর ১৬২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউই উপস্থিত ছিলো না। নবম শ্রেনীতে ৯৮ জনের মধৌ ছিল ২২ জন। ৮ম শ্রেনীতে ২০২ জনের মধ্যে ছিল মাত্র ৫২ জন। অপরদিকে মরিয়ম নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়েও ১০ম শ্রেণীর কোন শিক্ষার্থীকে ক্লাস রুমে পান নি তিনি। দীর্ঘদিন ক্লাস না নেওয়ায় শ্রেণী কক্ষ অপরিচ্ছন্ন ও গুমোট অন্ধকার দেখা যায়। এছাড়াও কাঁচেরকোল ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ও শিক্ষার মান নাজুক থাকায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। স্কুল চলাকালীন কাঁচেরকোল বাজারের বেশ কয়েকটি চায়ের দোকানে ছাত্রদের কেরাম বোর্ড খেলতে দেখে হতাশা প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: উসমান গনি। তাৎক্ষনিক চায়ের দোকানী মাহফুজ ও রাসেলের দোকান থেকে ৪টি কেরাম বোর্ড জব্দ করে ওই বাজারের সকল দোকানে কেরাম বোর্ড খেলা বন্ধ ঘোষনা করেন তিনি। এই দুর্দশার চিত্র তিনি শিক্ষা বোর্ডকে জানাবেন বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ক্লাসে ছাত্র ছাত্রী নেই নাম তার স্কুল !

আপডেট সময় : ১১:২৯:২৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট ২০১৮

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বেণীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মরিয়ম নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের উপস্থিত ছিল শুন্যের কোঠায়। অন্যান্য ক্লাসেও উপস্থিতি হতাশাজনক। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: উসমান গনি স্কুল দুটি আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে এই দুর্দশার চিত্র পান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: উসমান গনি খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, স্কুল চলাকালীন সময়ে বেণীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মরিয়ম নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীতে কোন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীকেই পাওয়া যায় নি। এই দুর্দশা দেখে তিনি ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বেণীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকল শ্রেনীতে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার খুবই কম ছিলো। এর মধ্যে ১০ম শ্রেনীর ১৬২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউই উপস্থিত ছিলো না। নবম শ্রেনীতে ৯৮ জনের মধৌ ছিল ২২ জন। ৮ম শ্রেনীতে ২০২ জনের মধ্যে ছিল মাত্র ৫২ জন। অপরদিকে মরিয়ম নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়েও ১০ম শ্রেণীর কোন শিক্ষার্থীকে ক্লাস রুমে পান নি তিনি। দীর্ঘদিন ক্লাস না নেওয়ায় শ্রেণী কক্ষ অপরিচ্ছন্ন ও গুমোট অন্ধকার দেখা যায়। এছাড়াও কাঁচেরকোল ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ও শিক্ষার মান নাজুক থাকায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। স্কুল চলাকালীন কাঁচেরকোল বাজারের বেশ কয়েকটি চায়ের দোকানে ছাত্রদের কেরাম বোর্ড খেলতে দেখে হতাশা প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: উসমান গনি। তাৎক্ষনিক চায়ের দোকানী মাহফুজ ও রাসেলের দোকান থেকে ৪টি কেরাম বোর্ড জব্দ করে ওই বাজারের সকল দোকানে কেরাম বোর্ড খেলা বন্ধ ঘোষনা করেন তিনি। এই দুর্দশার চিত্র তিনি শিক্ষা বোর্ডকে জানাবেন বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।