শিরোনাম :
Logo আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।” Logo বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিতারা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের দোয়া ও আলোচনা সভা Logo যবিপ্রবিতে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় সাবেক চার ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়া’র ৮০ তম জন্মদিন পালিত Logo ইবিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন Logo শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতির সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo খালেদা জিয়ার জন্মদিনে উপলক্ষ্যে বেরোবিতে ছাত্রদলের দোয়া-মাহফিল Logo সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস

মেহেরপুরে মায়ের কোলে সন্তানকে দেওয়ার নির্দেশ আদালতের

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:১৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর প্রতিনিধি ॥ দিনভর নানা অঘটন ঘটনের পর ৪ বছরের শিশু রাফিকে তার মায়ের জিম্মায় ফিরিয়ে দেওয়া হলো। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদাতে বিচারক মহিবুল হক শিশু রাফিকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়ার রায় দেওয়ার পর বিকালের দিকে পুলিশ আদালতের নির্দেশনায় মায়ের কাছে তুলে দেন। এর আগে ঘটে নানা ধরনের অঘটন। জানাগেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার বশন্তপুর গ্রামের ছমির আলীর মেয়ে মৌসুমী খাতুনের সাথে মেহেরপুর শহরের থানা পাড়ার আঃ সাত্তারের ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারী পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে জন্ম নেয় রাফি। এদিকে বিবাহিত জীবনে নানা কারণে তাদের মাঝে মনমালিন্য হয় এবং জাহাঙ্গীর তার স্ত্রী মৌসুমীকে তালাক দেয়। সন্তান রাফি থেকে যায় তার পিতার কাছে। এদিকে স্ত্রী’র দায়ের করা এক মামলায় জাহাঙ্গীর বেশ কিছু দিন কারাভোগ করে। এদিকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তালাকের ঘটনার পর মৌসুমী তার সন্তানকে ফিরে পেতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের কারেন। মঙ্গলবার ঐ মামলার শুনানী শেষে আদালত শিশু রাফিকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক শিশু রাফিকে নিয়ে তার মা সহ নিকট আত্মীয়রা ইজি বাইকে ওঠার পর পর পিতা সহ তার লোকজন তাকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। শিশু রাফি তার মায়ের পরিবর্তে পিতার কাছে যাবে বলে কান্নাকাটি শুরু করে। পরে কোর্ট পুলিশ শিশু রাফি ও পিতা জাহাঙ্গীর’কে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এসময় তার মা মৌমুসী বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে ম্যাজেস্ট্রেট, পুলিশ সহ বিপুল পরিমান সাধারণ মানুষ রাফিকে তার মায়ের কাছে যাবার কথা বললেও সে কান্নাকাটি করে এবং পিতার কাছে যাবে বলে জানায়। এ নিয়ে মূলত বেলা ৩টা পর্যন্ত সকলেই এক প্রকার বিপাকে পড়ে যায়। পরে বিচারক নির্দেশনাবলি কোর্ট পুলিশের কাছেন পাঠানোর পর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ শাহিনুর রহমান শিশু রাফিকে তার মায়ের কাছে তুলে দেন। এর আগে এ ঘটনা নিয়ে কোর্ট এলাকা মূলত কান্ন আর আহাজারিতে ভরে ওঠে। কখনো শিশুর কান্না, কখনো তার মা মৌসুমী, নানী, ছোট মামার কান্না, আবার কখনো পিতা জাহাঙ্গীর তার ফুফু সহ অন্যদের কান্নাকাটি এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। মা মৌসুমী একাধিকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।”

মেহেরপুরে মায়ের কোলে সন্তানকে দেওয়ার নির্দেশ আদালতের

আপডেট সময় : ১১:৫৮:১৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮

মেহেরপুর প্রতিনিধি ॥ দিনভর নানা অঘটন ঘটনের পর ৪ বছরের শিশু রাফিকে তার মায়ের জিম্মায় ফিরিয়ে দেওয়া হলো। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদাতে বিচারক মহিবুল হক শিশু রাফিকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়ার রায় দেওয়ার পর বিকালের দিকে পুলিশ আদালতের নির্দেশনায় মায়ের কাছে তুলে দেন। এর আগে ঘটে নানা ধরনের অঘটন। জানাগেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার বশন্তপুর গ্রামের ছমির আলীর মেয়ে মৌসুমী খাতুনের সাথে মেহেরপুর শহরের থানা পাড়ার আঃ সাত্তারের ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারী পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে জন্ম নেয় রাফি। এদিকে বিবাহিত জীবনে নানা কারণে তাদের মাঝে মনমালিন্য হয় এবং জাহাঙ্গীর তার স্ত্রী মৌসুমীকে তালাক দেয়। সন্তান রাফি থেকে যায় তার পিতার কাছে। এদিকে স্ত্রী’র দায়ের করা এক মামলায় জাহাঙ্গীর বেশ কিছু দিন কারাভোগ করে। এদিকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তালাকের ঘটনার পর মৌসুমী তার সন্তানকে ফিরে পেতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের কারেন। মঙ্গলবার ঐ মামলার শুনানী শেষে আদালত শিশু রাফিকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক শিশু রাফিকে নিয়ে তার মা সহ নিকট আত্মীয়রা ইজি বাইকে ওঠার পর পর পিতা সহ তার লোকজন তাকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। শিশু রাফি তার মায়ের পরিবর্তে পিতার কাছে যাবে বলে কান্নাকাটি শুরু করে। পরে কোর্ট পুলিশ শিশু রাফি ও পিতা জাহাঙ্গীর’কে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এসময় তার মা মৌমুসী বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে ম্যাজেস্ট্রেট, পুলিশ সহ বিপুল পরিমান সাধারণ মানুষ রাফিকে তার মায়ের কাছে যাবার কথা বললেও সে কান্নাকাটি করে এবং পিতার কাছে যাবে বলে জানায়। এ নিয়ে মূলত বেলা ৩টা পর্যন্ত সকলেই এক প্রকার বিপাকে পড়ে যায়। পরে বিচারক নির্দেশনাবলি কোর্ট পুলিশের কাছেন পাঠানোর পর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ শাহিনুর রহমান শিশু রাফিকে তার মায়ের কাছে তুলে দেন। এর আগে এ ঘটনা নিয়ে কোর্ট এলাকা মূলত কান্ন আর আহাজারিতে ভরে ওঠে। কখনো শিশুর কান্না, কখনো তার মা মৌসুমী, নানী, ছোট মামার কান্না, আবার কখনো পিতা জাহাঙ্গীর তার ফুফু সহ অন্যদের কান্নাকাটি এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। মা মৌসুমী একাধিকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।