উত্যক্তকারীকে অজ্ঞাত পদার্থ নিক্ষেপ : হাসপাতালে ভর্তি
আন্দুলবাড়ীয়া প্রতিনিধি: উত্যক্ত করার প্রতিবাদে ক্ষুদ্ধ গৃহবধু অজ্ঞাত পদার্থ ছুড়ে মেরে উত্যক্তকারীকে ঝলসে দিয়েছে। গতকাল শনিবার জীবননগরের আন্দুলবাড়ীয়ার ম-লপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্র্তি করা হয়েছে। জীবননগর থানার অফিসা ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। এ্যাসিড, না ডাউলের গরম পানির মধ্যে মরিচের গুড়া? চিকিৎসক বলছেন এ্যাসিডে দগ্ধ, শরীরে পোড়া গন্ধ। গৃহবধু দাবি করছেন, ডাউলের গরম পানির মধ্যে মরিচের গুড়া মিশিয়ে নিক্ষেপ করে লম্পটকে উচিত শিক্ষা দেয়া হয়েছে। এ্যসিড, না ডাউলের গরম পানির মধ্যে মরিচের গুড়া, তা জনমনে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, আন্দুলবাড়ীয়া ম-লপাড়ার রুস্তম আলী ম-লের ছেলে বাজারের বিশিষ্ট ভুষিমাল ব্যবসায়ী ২ সন্তানের জনক বিশারত আলী বিশা (৪৬) দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশী সেনেরহুদা জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আব্বাছ আলীর স্ত্রী সড়াবাড়িয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষিকা ২ সন্তানের জননী কাকলী খাতুনকে (৩৮) উত্যক্ত করে আসছিলো। গতকাল শনিবার বিকাল ৪টার দিকে বিশারত আলী বিশার স্ত্রী বাসায় অনুস্থিত থাকার সুযোগে প্রতিবেশী ওই মাদারাসা শিক্ষিকা কাকলী খাতুনকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করছিল। এ সময় কাকলী খাতুন ডাউল রান্নার গরম পানির মধ্যে মরিচের গুড়া মিশিয়ে তার গায়ে নিক্ষেপ করে। এ অজ্ঞাত পর্দাথ নিক্ষেপ করায় তার শরীরের একাংশ ঝলসে যায়। আহতর স্বজনরা তাকে গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্র্তি করে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোনিয়া আহম্মদ সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক চিকিৎসায় এ্যাসিডের পোড়া বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার শরীর থেকে এ্যসিডের পোড়া গন্ধ বের হচ্ছে। অপরদিকে, গৃহবধু কাকলী খাতুন পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করছেন, ডাউল রান্না করা গরম পানির মধ্যে মরিচের গুড়া মিশিয়ে লম্পটকে ঝলসে দিয়ে উচিত শিক্ষা দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল নিয়ে ধোয়াঁশা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার পর বিশারত আলীর ভাগ্নে জাহাঙ্গীর আলম ওই গৃহবধুর ভাই মনিরুজ্জামান মনির উপর চড়াও হয়ে টানা হেচঁড়া ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটায় বলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীগন সুত্রে জানা গেছে। ঘটনাটি আলোচিত হয়ে উঠলে বাড়ির সামনে উৎসুক জনতার ভীড় করতে থাকে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জীবননগর থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহমুদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় বাসিন্দাগনের জবানবন্দি গ্রহন করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার, ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম, প্রতিবেশী বদরুদ্দিন বুদো, আব্দুল আলিমসহ অনেকে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে অভিন্ন ভাষায় বলেন, বিশারত আলী বিশা দীর্ঘদিন যাবত ওই গৃহবধুকে উত্যক্ত করায় কয়েকবার আলোচিত সালিশ বৈঠক করা হয়েছে। তার অত্যাচারে প্রতিবেশীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সালিশ বৈঠকে বিশারত আলী ক্ষমা চেয়ে আর উত্যক্ত করবে না এমন অঙ্গীকার করায় শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ঘটনাটি আপোষ নিস্পত্তি করা হয়। সুত্র জানান, কথিত এ আপোষ মিমাংসা করার ঘটনায় কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশনকালে ওই গৃহবধুর বাড়ি থেকে গরম পানির একটি হাড়ি উদ্ধার করে জব্দ করেন। পরিদর্শনকালে শাহাপুর ক্যাম্প ইনর্চাজ এসআই বাবুল হোসেন ও টুআইসি এ এসআই মুশফিকুজ্জাঁমানসহ সঙ্গীয় র্ফোস উপস্থিত ছিলেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভায়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।