এবারের বর্ষায় বেড়েছে সাপের উপদ্রব : জেলাজুড়ে ছড়িয়েছে জ্বীন সাপ আতঙ্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার পৃথকস্থানে সাপের কামড়ে ১ জন নিহত ও ১ জন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার পৃথকস্থানে সাপের কামড়ের এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে আলমডাঙ্গা জামজামি মধুপুরের বাবলু রহমানের স্ত্রী মিলি (৩২) ও আহত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা শঙ্করচন্দ্র জালশুকা গ্রামের জহুর আলীর ছেলে বিপ্লব (১৯)। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা নুরনগর কলোনিপাড়ার মিহির উদ্দিন শেখের বসত ভিটার একটি ঘর খুঁড়ে সাপের আস্তানার সন্ধান মিলেছে। মিলেছে ছোট বড় মিলে ২০টি বিষধর কুলিম সাপ।
জানা যায়, বুধবার সকলে নিজ বাড়িতে কাজ করছিল মিলি। এ সময় একটি সাপে তাকে কামড় দেয়। তখন তাকে স্থানীয় কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে তার অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মিলির পরিবারের লোকজন মিলিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে, জালশুকার মাঠে নিজ ধানের ক্ষেতে কাজ করার সময় একটি সাপে বিপ্লবকে কামড়ে দেয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় কর্মরত চিকিৎসক জানান, বিপ্লবকে কামড় দেয়া সাপটি বিষধর না হওয়ায় বিপ্লবের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা নুরনগর কলোনিপাড়ার মিহিরউদ্দিন শেখের বসত ভিটার একটি ঘর খুড়ে সাপের আস্তানার সন্ধান মিলেছে। মিলেছে ছোট বড় মিলে ২০টি বিষধর কুলিম সাপ। গতকাল বুধবার সকালে এলাকাবাসী ও ওঁঝা সাপুড়ে মিলে এ খোড়াখুড়ি করলে আস্তানার সন্ধান মেলে। এতগুলো সাপ একবারে উদ্ধার হওয়াই এলাকার জনমনে সৃষ্টি হয়েছে সাপের কামড়ের ভয়ভীতি।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন নুরনগর কলোনীপাড়ার মৃত আক্কাচ শেখের ছেলে মহিরউদ্দিনের বসত ভিটায় গত মঙ্গলবার সকালে মহির শেখের স্ত্রী বাদলী বেগম তার শোবার ঘরের পিড়েতে সাপের খোলস দেখতে পান তখন তিনি পরিবারের লোকজনকে সাথে নিয়ে নূরনগর ঠাকুরপুর গ্রামের সাপেদের ওঁঝা ওরফে সাপুড়ে বজলুর বাড়ীতে যান। সেখানে তিনি তার ঘরে সাপ আছে কিনা জানার জন্য হাত চালান দেন, তাতে দেখা মেলে সাপেদের সন্ধান। গত পরশু সাপুড়ে সময় দিতে না পরায় গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাপুড়ে বজলু এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে বসতভিটার খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু করে। তখন ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে কখনও ৫টি কখনও ৩টি কখনও ১টি এভাবে পর্যায়ক্রমে মেলে ছোটবড় মিলে ২০টি সাপ।
এবিষয়ে মহিরের স্ত্রী বাদলী বেশিম জানান, তার বাড়ীতে ছোট ছেলে মেয়ে আছে তাদেরকে নিয়ে বাড়ীতে তারা কিভাবে বসবাস করবে। এতগুলো সাপ এক জায়গায় উদ্ধার হওয়ায় যেমনি রয়েছে মহির উদ্দিনের পরিবারের লোকজনের মধ্যে ভয়। তেমনি এলাকার মাঝে বিরাজ করছে সাপ আতঙ্ক। এদিকে, সাপুড়ে বজলু জানান, একটি সাপ ৩৬টি বাচ্চা জন্ম দিতে পারে। এখানে আরো সাপ পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন। সাপগুলোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাপুড়ে বজলু জানান, একটি সাপকে দু’মাস সময় দিবেন বড় হওয়ার জন্য এরপর তিনি সাপগুলোকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঝাপান খেলা দেখাবেন ও বিভিন্ন বাজার ঘাটে সাপ খেলা দেখিয়ে আয় করে সাবলম্বি^ হবেন।