শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

আপনাকে কি কেউ গোপনে হিংসা করে? বুঝে নিন এই ৭ উপায় এ !

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮
  • ৮৫১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

১ . সাফল্যে কে না আনন্দিত হয়? মানুষ সে আনন্দ ভাগ করে নিতে চায় নিজের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গেই। কিন্তু জানেন কি, আপনার চারপাশে থাকা মুখোশধারী এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা প্রকাশ্যে আপনার প্রশংসা করলেও আড়ালে হিংসা করেন। জীবনে ভাল থাকতে হলে তাঁদের এড়িয়ে চলা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু কী ভাবে চিনবেন তাঁদের? জেনে নিন উপায় !

২.কেউ কি অনুকরণ করেন খুব? তা হলে সাবধান। মনস্বত্ত্ব বলছে, অনুকরণকারীদের মনে লুকিয়ে থাকে গোপন হিংসার বীজ। আপনার কোনও বিষয় কারও প্রশংসনীয় মনে হলে, তিনি আপনার পথ অনুসরণ করতেই পারেন, কিন্তু অনুকরণ মোটেও স্বাভাবিক প্রবণতা নয়। তাই এড়িয়ে চলুন এই রকম মানুষদের।

৩.আপনার সামনে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন, অথচ, চোখের আড়াল হলেই নিন্দেমন্দ করেন— এমন মানুষের থেকে দূরে থাকুন। হিংসের অন্যতম নিদর্শন কিন্তু এই দু’মুখো আচরণ। আপনার সামনে নিজেদের স্বভাব লুকিয়ে রেখে আপনাকে ভুল বোঝাবে বলেই এমন মানুষজন সামনে ‘ভালমানুষ’ সেজে থাকেন। ভাল কথার আড়ালে আসলে বদনাম করেন। সতর্ক হোন এঁদের বিষয়ে।

৪.আপনার সাফল্যকে হেলাফেলা করাই এঁদের কাজ। তা করতে তাঁরা বহু উপায় আঁকড়াতে পারেন। তাই জীবনের পথে কোনও সাফল্য এলে এঁদের সঙ্গে ভাগ করার প্রয়োজনই নেই। একান্ত বলতেই হলে হেলাফেলার উত্তরও দিন বিনীত ভাবে, বুদ্ধি খাটিয়ে। আপনি যে আঘাত পেয়েছেন, তা বুঝতে দিলে, এঁরা কিন্তু খুশিই হবেন।

৫.আপনার কোনও ভুলকে ‘টার্গেট’ করাই এঁদের লক্ষ্য। যে ভুল তুচ্ছ, তাকেও নানা যুক্তিতে, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে তোলাই এঁদের কাজ। এমন কাজ দেখে সহজেই চিনুন এঁদের। ছোট ভুল নিয়ে অকারণ অশান্তি হলে রুখে দাঁড়ান। বুঝিয়ে দিন, এ সবে আপনি ডরান না, বরং তাঁদের ভুলগুলোও যে আপনার মনে থাকে, তা বুঝিয়ে দিন পারলে।

৬.আপনার সম্পর্কে গুজব ছড়াতে এঁদের জুড়ি নেই। অফিস হোক বা বন্ধুমহল— এমন দু’-এক জন থাকবে না এমন আশা করাই বৃথা। কাজেই এঁদের খুব একটা পাত্তা না নিয়ে বরং কাছের জনদের সতর্ক করে দিন এঁদের স্বভাব সম্পর্কে। অন্তত এঁরা আপনার সম্পর্কে কিছু বললে, যেন তা যাচাই করে তবেই বিশ্বাস করেন । নিজেও এঁদের কথা বিশ্বাস করবেন না।

৭.সাধারণত, সুখের দিনে মানুষের অনেক বন্ধু থাকে বিপদে তাঁদের পাশে পাওয়া যায় না। হিংসুটেরা কিন্তু আপনার বিপদের দিনের সুযোগ নিতে ছাড়ে না। বিপদে বন্ধুর ছদ্মবেশে এসে আপনাকে ভুল পথে চালনা করাই এঁদের কাজ। তাই বিপদে পড়লেও চোখ-কান খোলা রাখুন। কে প্রকৃতই বন্ধু, আর কে বন্ধুর বেশে ক্ষতি চাইছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপনাকে কি কেউ গোপনে হিংসা করে? বুঝে নিন এই ৭ উপায় এ !

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

১ . সাফল্যে কে না আনন্দিত হয়? মানুষ সে আনন্দ ভাগ করে নিতে চায় নিজের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গেই। কিন্তু জানেন কি, আপনার চারপাশে থাকা মুখোশধারী এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা প্রকাশ্যে আপনার প্রশংসা করলেও আড়ালে হিংসা করেন। জীবনে ভাল থাকতে হলে তাঁদের এড়িয়ে চলা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু কী ভাবে চিনবেন তাঁদের? জেনে নিন উপায় !

২.কেউ কি অনুকরণ করেন খুব? তা হলে সাবধান। মনস্বত্ত্ব বলছে, অনুকরণকারীদের মনে লুকিয়ে থাকে গোপন হিংসার বীজ। আপনার কোনও বিষয় কারও প্রশংসনীয় মনে হলে, তিনি আপনার পথ অনুসরণ করতেই পারেন, কিন্তু অনুকরণ মোটেও স্বাভাবিক প্রবণতা নয়। তাই এড়িয়ে চলুন এই রকম মানুষদের।

৩.আপনার সামনে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন, অথচ, চোখের আড়াল হলেই নিন্দেমন্দ করেন— এমন মানুষের থেকে দূরে থাকুন। হিংসের অন্যতম নিদর্শন কিন্তু এই দু’মুখো আচরণ। আপনার সামনে নিজেদের স্বভাব লুকিয়ে রেখে আপনাকে ভুল বোঝাবে বলেই এমন মানুষজন সামনে ‘ভালমানুষ’ সেজে থাকেন। ভাল কথার আড়ালে আসলে বদনাম করেন। সতর্ক হোন এঁদের বিষয়ে।

৪.আপনার সাফল্যকে হেলাফেলা করাই এঁদের কাজ। তা করতে তাঁরা বহু উপায় আঁকড়াতে পারেন। তাই জীবনের পথে কোনও সাফল্য এলে এঁদের সঙ্গে ভাগ করার প্রয়োজনই নেই। একান্ত বলতেই হলে হেলাফেলার উত্তরও দিন বিনীত ভাবে, বুদ্ধি খাটিয়ে। আপনি যে আঘাত পেয়েছেন, তা বুঝতে দিলে, এঁরা কিন্তু খুশিই হবেন।

৫.আপনার কোনও ভুলকে ‘টার্গেট’ করাই এঁদের লক্ষ্য। যে ভুল তুচ্ছ, তাকেও নানা যুক্তিতে, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে তোলাই এঁদের কাজ। এমন কাজ দেখে সহজেই চিনুন এঁদের। ছোট ভুল নিয়ে অকারণ অশান্তি হলে রুখে দাঁড়ান। বুঝিয়ে দিন, এ সবে আপনি ডরান না, বরং তাঁদের ভুলগুলোও যে আপনার মনে থাকে, তা বুঝিয়ে দিন পারলে।

৬.আপনার সম্পর্কে গুজব ছড়াতে এঁদের জুড়ি নেই। অফিস হোক বা বন্ধুমহল— এমন দু’-এক জন থাকবে না এমন আশা করাই বৃথা। কাজেই এঁদের খুব একটা পাত্তা না নিয়ে বরং কাছের জনদের সতর্ক করে দিন এঁদের স্বভাব সম্পর্কে। অন্তত এঁরা আপনার সম্পর্কে কিছু বললে, যেন তা যাচাই করে তবেই বিশ্বাস করেন । নিজেও এঁদের কথা বিশ্বাস করবেন না।

৭.সাধারণত, সুখের দিনে মানুষের অনেক বন্ধু থাকে বিপদে তাঁদের পাশে পাওয়া যায় না। হিংসুটেরা কিন্তু আপনার বিপদের দিনের সুযোগ নিতে ছাড়ে না। বিপদে বন্ধুর ছদ্মবেশে এসে আপনাকে ভুল পথে চালনা করাই এঁদের কাজ। তাই বিপদে পড়লেও চোখ-কান খোলা রাখুন। কে প্রকৃতই বন্ধু, আর কে বন্ধুর বেশে ক্ষতি চাইছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।