শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

আপনাকে কি কেউ গোপনে হিংসা করে? বুঝে নিন এই ৭ উপায় এ !

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

১ . সাফল্যে কে না আনন্দিত হয়? মানুষ সে আনন্দ ভাগ করে নিতে চায় নিজের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গেই। কিন্তু জানেন কি, আপনার চারপাশে থাকা মুখোশধারী এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা প্রকাশ্যে আপনার প্রশংসা করলেও আড়ালে হিংসা করেন। জীবনে ভাল থাকতে হলে তাঁদের এড়িয়ে চলা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু কী ভাবে চিনবেন তাঁদের? জেনে নিন উপায় !

২.কেউ কি অনুকরণ করেন খুব? তা হলে সাবধান। মনস্বত্ত্ব বলছে, অনুকরণকারীদের মনে লুকিয়ে থাকে গোপন হিংসার বীজ। আপনার কোনও বিষয় কারও প্রশংসনীয় মনে হলে, তিনি আপনার পথ অনুসরণ করতেই পারেন, কিন্তু অনুকরণ মোটেও স্বাভাবিক প্রবণতা নয়। তাই এড়িয়ে চলুন এই রকম মানুষদের।

৩.আপনার সামনে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন, অথচ, চোখের আড়াল হলেই নিন্দেমন্দ করেন— এমন মানুষের থেকে দূরে থাকুন। হিংসের অন্যতম নিদর্শন কিন্তু এই দু’মুখো আচরণ। আপনার সামনে নিজেদের স্বভাব লুকিয়ে রেখে আপনাকে ভুল বোঝাবে বলেই এমন মানুষজন সামনে ‘ভালমানুষ’ সেজে থাকেন। ভাল কথার আড়ালে আসলে বদনাম করেন। সতর্ক হোন এঁদের বিষয়ে।

৪.আপনার সাফল্যকে হেলাফেলা করাই এঁদের কাজ। তা করতে তাঁরা বহু উপায় আঁকড়াতে পারেন। তাই জীবনের পথে কোনও সাফল্য এলে এঁদের সঙ্গে ভাগ করার প্রয়োজনই নেই। একান্ত বলতেই হলে হেলাফেলার উত্তরও দিন বিনীত ভাবে, বুদ্ধি খাটিয়ে। আপনি যে আঘাত পেয়েছেন, তা বুঝতে দিলে, এঁরা কিন্তু খুশিই হবেন।

৫.আপনার কোনও ভুলকে ‘টার্গেট’ করাই এঁদের লক্ষ্য। যে ভুল তুচ্ছ, তাকেও নানা যুক্তিতে, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে তোলাই এঁদের কাজ। এমন কাজ দেখে সহজেই চিনুন এঁদের। ছোট ভুল নিয়ে অকারণ অশান্তি হলে রুখে দাঁড়ান। বুঝিয়ে দিন, এ সবে আপনি ডরান না, বরং তাঁদের ভুলগুলোও যে আপনার মনে থাকে, তা বুঝিয়ে দিন পারলে।

৬.আপনার সম্পর্কে গুজব ছড়াতে এঁদের জুড়ি নেই। অফিস হোক বা বন্ধুমহল— এমন দু’-এক জন থাকবে না এমন আশা করাই বৃথা। কাজেই এঁদের খুব একটা পাত্তা না নিয়ে বরং কাছের জনদের সতর্ক করে দিন এঁদের স্বভাব সম্পর্কে। অন্তত এঁরা আপনার সম্পর্কে কিছু বললে, যেন তা যাচাই করে তবেই বিশ্বাস করেন । নিজেও এঁদের কথা বিশ্বাস করবেন না।

৭.সাধারণত, সুখের দিনে মানুষের অনেক বন্ধু থাকে বিপদে তাঁদের পাশে পাওয়া যায় না। হিংসুটেরা কিন্তু আপনার বিপদের দিনের সুযোগ নিতে ছাড়ে না। বিপদে বন্ধুর ছদ্মবেশে এসে আপনাকে ভুল পথে চালনা করাই এঁদের কাজ। তাই বিপদে পড়লেও চোখ-কান খোলা রাখুন। কে প্রকৃতই বন্ধু, আর কে বন্ধুর বেশে ক্ষতি চাইছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

আপনাকে কি কেউ গোপনে হিংসা করে? বুঝে নিন এই ৭ উপায় এ !

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

১ . সাফল্যে কে না আনন্দিত হয়? মানুষ সে আনন্দ ভাগ করে নিতে চায় নিজের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গেই। কিন্তু জানেন কি, আপনার চারপাশে থাকা মুখোশধারী এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা প্রকাশ্যে আপনার প্রশংসা করলেও আড়ালে হিংসা করেন। জীবনে ভাল থাকতে হলে তাঁদের এড়িয়ে চলা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু কী ভাবে চিনবেন তাঁদের? জেনে নিন উপায় !

২.কেউ কি অনুকরণ করেন খুব? তা হলে সাবধান। মনস্বত্ত্ব বলছে, অনুকরণকারীদের মনে লুকিয়ে থাকে গোপন হিংসার বীজ। আপনার কোনও বিষয় কারও প্রশংসনীয় মনে হলে, তিনি আপনার পথ অনুসরণ করতেই পারেন, কিন্তু অনুকরণ মোটেও স্বাভাবিক প্রবণতা নয়। তাই এড়িয়ে চলুন এই রকম মানুষদের।

৩.আপনার সামনে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন, অথচ, চোখের আড়াল হলেই নিন্দেমন্দ করেন— এমন মানুষের থেকে দূরে থাকুন। হিংসের অন্যতম নিদর্শন কিন্তু এই দু’মুখো আচরণ। আপনার সামনে নিজেদের স্বভাব লুকিয়ে রেখে আপনাকে ভুল বোঝাবে বলেই এমন মানুষজন সামনে ‘ভালমানুষ’ সেজে থাকেন। ভাল কথার আড়ালে আসলে বদনাম করেন। সতর্ক হোন এঁদের বিষয়ে।

৪.আপনার সাফল্যকে হেলাফেলা করাই এঁদের কাজ। তা করতে তাঁরা বহু উপায় আঁকড়াতে পারেন। তাই জীবনের পথে কোনও সাফল্য এলে এঁদের সঙ্গে ভাগ করার প্রয়োজনই নেই। একান্ত বলতেই হলে হেলাফেলার উত্তরও দিন বিনীত ভাবে, বুদ্ধি খাটিয়ে। আপনি যে আঘাত পেয়েছেন, তা বুঝতে দিলে, এঁরা কিন্তু খুশিই হবেন।

৫.আপনার কোনও ভুলকে ‘টার্গেট’ করাই এঁদের লক্ষ্য। যে ভুল তুচ্ছ, তাকেও নানা যুক্তিতে, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে তোলাই এঁদের কাজ। এমন কাজ দেখে সহজেই চিনুন এঁদের। ছোট ভুল নিয়ে অকারণ অশান্তি হলে রুখে দাঁড়ান। বুঝিয়ে দিন, এ সবে আপনি ডরান না, বরং তাঁদের ভুলগুলোও যে আপনার মনে থাকে, তা বুঝিয়ে দিন পারলে।

৬.আপনার সম্পর্কে গুজব ছড়াতে এঁদের জুড়ি নেই। অফিস হোক বা বন্ধুমহল— এমন দু’-এক জন থাকবে না এমন আশা করাই বৃথা। কাজেই এঁদের খুব একটা পাত্তা না নিয়ে বরং কাছের জনদের সতর্ক করে দিন এঁদের স্বভাব সম্পর্কে। অন্তত এঁরা আপনার সম্পর্কে কিছু বললে, যেন তা যাচাই করে তবেই বিশ্বাস করেন । নিজেও এঁদের কথা বিশ্বাস করবেন না।

৭.সাধারণত, সুখের দিনে মানুষের অনেক বন্ধু থাকে বিপদে তাঁদের পাশে পাওয়া যায় না। হিংসুটেরা কিন্তু আপনার বিপদের দিনের সুযোগ নিতে ছাড়ে না। বিপদে বন্ধুর ছদ্মবেশে এসে আপনাকে ভুল পথে চালনা করাই এঁদের কাজ। তাই বিপদে পড়লেও চোখ-কান খোলা রাখুন। কে প্রকৃতই বন্ধু, আর কে বন্ধুর বেশে ক্ষতি চাইছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।