শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

চুয়াডাঙ্গার ৩ মাদকব্যবসায়ীসহ সারাদেশে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ১২৮!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:৫১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১ জুন ২০১৮
  • ৭৬৭ বার পড়া হয়েছে

মাদকবিরোধী অভিযানে ‘সতর্ক হওয়ার’ পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় তিন মাদকব্যবসায়ীসহ গত এক সপ্তাহে সারাদেশে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৮ জন। নিহতদের সকলেই মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদশে ১৬ মাদকব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন নয়জন। অন্যদিকে, মাদক ব্যবসায়ীদের নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে মারা গেছেন ছয়জন। এ নিয়ে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে গতকাল পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১২৮ জন।
এদিকে, চলমান মাদকবিরোধী অভিযান সম্পর্কে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য পরামর্শ আসে। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ফখরুল ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারের পাঁচটি সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। চলমান অভিযানে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করেছি।” তিনি বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযানের সময় আক্রমণ বা পাল্টা আক্রমণে যদি কেউ মারা যায় তাহলে তো কিছু করার নেই। তবে কোন নিরীহ মানুষ যেন এর শিকার না হয় সেজন্য আমরা সাবধান হতে বলেছি। সতর্ক থাকতে বলেছি।“ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা শত ছাড়িয়ে গেছে। কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের কয়েকজনের পরিবার দাবি করেছে, তাদের স্বজনকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কক্সবাজারের নেতারা সেখানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দলীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র সরকারও এসব ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সমালোচনার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, মাদক পাচারের হোতা যারা, তাদের অভিযানের আওতায় আনা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির নামও গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনের বরাতে গণমাধ্যমে আসছে। সংসদীয় কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনো বাহিনী যাতে বিতর্কে না পড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।” এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযানের সময় কিছু ক্ষেত্রে ডাকাত ধরার ঘটনা ঘটেছে। তাদের কেউ কেউ মারা গেছে। এজন্য সংখ্যায় কিছুটা এদিক সেদিক হতে পারে।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

চুয়াডাঙ্গার ৩ মাদকব্যবসায়ীসহ সারাদেশে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ১২৮!

আপডেট সময় : ১০:৪৮:৫১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১ জুন ২০১৮

মাদকবিরোধী অভিযানে ‘সতর্ক হওয়ার’ পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় তিন মাদকব্যবসায়ীসহ গত এক সপ্তাহে সারাদেশে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৮ জন। নিহতদের সকলেই মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদশে ১৬ মাদকব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন নয়জন। অন্যদিকে, মাদক ব্যবসায়ীদের নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে মারা গেছেন ছয়জন। এ নিয়ে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে গতকাল পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১২৮ জন।
এদিকে, চলমান মাদকবিরোধী অভিযান সম্পর্কে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য পরামর্শ আসে। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ফখরুল ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারের পাঁচটি সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। চলমান অভিযানে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করেছি।” তিনি বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযানের সময় আক্রমণ বা পাল্টা আক্রমণে যদি কেউ মারা যায় তাহলে তো কিছু করার নেই। তবে কোন নিরীহ মানুষ যেন এর শিকার না হয় সেজন্য আমরা সাবধান হতে বলেছি। সতর্ক থাকতে বলেছি।“ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা শত ছাড়িয়ে গেছে। কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের কয়েকজনের পরিবার দাবি করেছে, তাদের স্বজনকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কক্সবাজারের নেতারা সেখানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দলীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র সরকারও এসব ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সমালোচনার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, মাদক পাচারের হোতা যারা, তাদের অভিযানের আওতায় আনা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির নামও গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনের বরাতে গণমাধ্যমে আসছে। সংসদীয় কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনো বাহিনী যাতে বিতর্কে না পড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।” এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযানের সময় কিছু ক্ষেত্রে ডাকাত ধরার ঘটনা ঘটেছে। তাদের কেউ কেউ মারা গেছে। এজন্য সংখ্যায় কিছুটা এদিক সেদিক হতে পারে।”