শিরোনাম :
Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান

কৃষিঋণে খেলাপির পরিমাণ ৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: বড় ঋণের মতো কৃষিঋণের খেলাপির লাগাম টানা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত কৃষিঋণে খেলাপির পরিমাণ ৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। জানুয়ারিতেই খেলাপি বেড়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে খেলাপির এ অঙ্ক বাড়া ছাড়া কমছে না। মোট খেলাপির প্রায় ৯০ শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর।

এদিকে কৃষিঋণের বিতরণও বাড়ছে। অর্থবছরের ৭ মাসে ১২ হাজার ৭০২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বোরো মৌসুমে চাষাবাদের জন্য কৃষক এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন। এ মৌসুমে কৃষিঋণ বিতরণ আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, কৃষিঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়ার বিষয়টি মোটেই ইতিবাচক নয়। এ খেলাপিতে প্রকৃত কৃষকের দোষ নেই। তারা অনিয়ম-দুর্নীতি করে না, বরং কিছু অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী যোগসাজশ করে কৃষককে ফাঁসায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কৃষিঋণে খেলাপির পরিমাণ ৫ হাজার ২২২ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে ৫০ কোটি টাকা বেড়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। খেলাপির দিক দিয়ে সবার ওপরে আছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। তাদের খেলাপি ২ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। এরপরই সোনালী ব্যাংকে ১ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা; রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ৮০৮ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়েছে।

কৃষিঋণে খেলাপির বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, কৃষকের নানা ধরনের সমস্যার কারণে অনেক ঋণখেলাপি হয়ে পড়ছে। তবে তা আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। আমরা কৃষিঋণে অনেক ভালো করছি। শস্য খাতে ঋণ বিতরণে সব সময়ই আমরা প্রথম হই।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) কৃষি খাতে ১২ হাজার ৭০২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের সাত মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কৃষি খাতে ৫৪৩ কোটি টাকা বেশি বিতরণ হয়েছে। গত সাত মাসে যে পরিমাণ বিতরণ হয়েছে, তা চলতি অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬২ দশমিক ২৭ শতাংশ। একই সময়ে আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষি খাতে মোট ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিশেষায়িত ৮টি ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত ৯ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। আলোচ্য সাত মাসে এ খাতের ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৫ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। এছাড়া বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য এবার ১০ হাজার ৮১০ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জানুয়ারি পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে ৭ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ঋণের ২ দশমিক ৫ শতাংশ ঋণ পল্লী অঞ্চলে বিতরণ করতে হবে। ২০০৯ সাল থেকে এটি চালু রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিতরণ হয় প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এ বছর বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয় ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত

কৃষিঋণে খেলাপির পরিমাণ ৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নিউজ ডেস্ক: বড় ঋণের মতো কৃষিঋণের খেলাপির লাগাম টানা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত কৃষিঋণে খেলাপির পরিমাণ ৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। জানুয়ারিতেই খেলাপি বেড়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে খেলাপির এ অঙ্ক বাড়া ছাড়া কমছে না। মোট খেলাপির প্রায় ৯০ শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর।

এদিকে কৃষিঋণের বিতরণও বাড়ছে। অর্থবছরের ৭ মাসে ১২ হাজার ৭০২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বোরো মৌসুমে চাষাবাদের জন্য কৃষক এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন। এ মৌসুমে কৃষিঋণ বিতরণ আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, কৃষিঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়ার বিষয়টি মোটেই ইতিবাচক নয়। এ খেলাপিতে প্রকৃত কৃষকের দোষ নেই। তারা অনিয়ম-দুর্নীতি করে না, বরং কিছু অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী যোগসাজশ করে কৃষককে ফাঁসায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কৃষিঋণে খেলাপির পরিমাণ ৫ হাজার ২২২ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে ৫০ কোটি টাকা বেড়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। খেলাপির দিক দিয়ে সবার ওপরে আছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। তাদের খেলাপি ২ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। এরপরই সোনালী ব্যাংকে ১ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা; রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ৮০৮ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়েছে।

কৃষিঋণে খেলাপির বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, কৃষকের নানা ধরনের সমস্যার কারণে অনেক ঋণখেলাপি হয়ে পড়ছে। তবে তা আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। আমরা কৃষিঋণে অনেক ভালো করছি। শস্য খাতে ঋণ বিতরণে সব সময়ই আমরা প্রথম হই।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) কৃষি খাতে ১২ হাজার ৭০২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের সাত মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কৃষি খাতে ৫৪৩ কোটি টাকা বেশি বিতরণ হয়েছে। গত সাত মাসে যে পরিমাণ বিতরণ হয়েছে, তা চলতি অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬২ দশমিক ২৭ শতাংশ। একই সময়ে আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষি খাতে মোট ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিশেষায়িত ৮টি ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত ৯ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। আলোচ্য সাত মাসে এ খাতের ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৫ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। এছাড়া বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য এবার ১০ হাজার ৮১০ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জানুয়ারি পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে ৭ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ঋণের ২ দশমিক ৫ শতাংশ ঋণ পল্লী অঞ্চলে বিতরণ করতে হবে। ২০০৯ সাল থেকে এটি চালু রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিতরণ হয় প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এ বছর বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয় ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।