শিরোনাম :
Logo খুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রমিন, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ Logo পঞ্চগড়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন। Logo বিজয়ীর উদ্যোগে হুইল চেয়ার পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিবন্ধী Logo জাবি সাংবাদিককে হুমকি ও চাপ প্রয়োগের ঘটনায় ইবিসাসের নিন্দা ও প্রতিবাদ Logo চুয়াডাঙ্গায় টিকটকারের জুয়ার প্রচারণার বিরুদ্ধে সাদিকুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন Logo যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই Logo যুদ্ধ হলে ভারতের রাজ্য পাঞ্জাবই দাঁড়াবে পাকিস্তানের পাশে, মোদিকে কঠোর হুঁশিয়ারি Logo কাশ্মীর নিয়ে ‘আগুনে ঘি’ ঢালল বিবিসি, উত্তপ্ত বার্তা ভারতের Logo প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত Logo রাজনৈতিক দলের ঠিকানা চশমার দোকান, মাদরাসা, ঠিকাদারি অফিস

ঝিনাইদহে সাপের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবী ,আতংকে নিরুপায় পথচারিরা !

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:২৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ শহর জুড়ে সাপের ভয় দেখিয়ে জোর করে চাঁদা দাবী করছে বেদে স¤প্রদায়ের মেয়েরা। এ নিয়ে ব্যাপক আতংকে নিরুপায় পথচারিরা! সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিনাইদহ শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৬/৭ জন অপ্রাপ্ত বয়সের বেদে স¤প্রদায়ের মেয়েরা। বয়স তাদের কতই বা হবে? বড় জোর ১৩ থেকে ২৮। এই বয়সে ওদের বিয়ে হয়েছে। কারো সাথে বাচ্চা আবার কেও গর্ভবতি। পরনে ময়লা শাড়ি আর সেলোয়ার কামিজ পরা। দল বেধে ছুটছে ওরা। টার্গেট গাও গ্রাম থেকে আসা কলেজ পড়–য়া ছেলে বা মেয়ে অথবা সহজ সরল অবলা নারী। কাঠের ছোট বাক্সের মধ্য থেকে সাপের মাথা বের করে আছে। আগন্তুকের সামনে এগিয়ে ধরছে সেটি। অমনি ভয়ে চমকে উঠছে পথচারিরা। এরপর পথ আটকে দাবী করা হচ্ছে টাকা। চাহিদা মতো টাকা না দেওয়া হলে ছেলেদের সার্ট আর মেয়েদের ওড়না বা শাড়ি টেনে ধরা হচ্ছে। ছোট কাঠের বাক্সে সাপ নিয়ে চাঁদাবাজি নতুন নয়, কিন্তু বর্তমানে তা চরম পর্যায়ে পৌচেছে। পথচারী ও শহরবাসি সাপের ভয়ে ও ইজ্জত বাঁচাতে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছে। শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, পারি উন্নয়ন বোর্ড, মুজিব চত্ত¡র, পায়রা চত্বর, মুন্সি মার্কেট, পোষ্ট অফিসের মোড় ও ১০ তলার সামনের এলাকায় এদের সবচে বেশি আনাগোনা। ৬/৭ জনের দল বেঁধে এরা চাঁদাবাজি করে। লোক বুঝে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে। টহল পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সামনেই গতকাল সোমবার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা গেছে। প্রথমে টাকা চেয়ে না পেলে সাপ বের করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজের নিচে এসব বেদের বহর ঝুপরি করে দল বেঁধে বসবাস করে। এদের ঝুপরিতে মাদক থেকে টিভি ও আধুনিক সকল প্রকার সুবিধা আছে। এসব যাযাবর বেদেদের মূল আবাস সাভার ও নাটোরের সিংড়ায় বলে যানা যায়। এসব বেদে মেয়ের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, প্রতিদিন তারা ৮/৯’শ টাকা আয় করে। পুরষ ছেলেরা বাড়ি আরাম করে আর স্ত্রীরা শহর চষে বেড়ায়, এসব পরিবারের নিজ এলাকায় পাকা ঘরবাড়ি জমি ও ব্যাংকে টাকাও মজুদ আছে। এটা তাদের পেশা। আগে বেদে পরিবারের পুরুষ নারী সদস্যরা সাপ খেলা ও সাপের ওষুধ বিক্রি সহ সিঙ্গা লাগানো এবং বাতের চিকিৎসা দেওয়ার নামে গ্রামের সহজ-সরল মহিলাদের কাছ থেকে টাকা, চাল, মুরগি,শাড়ি কাপড় খাবার জোর পুর্বক আদায় করত। এখন মানুষ সচেতন হওয়ায় এসব প্রতারণা ব্যবসা ও ভুয়া চিকিৎসা ও ওঝাগিরি করতে পারে না। এখন তারা ছোট সাপ দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে জোর পুর্বক টাকা আদায় করে থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রমিন, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ

ঝিনাইদহে সাপের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবী ,আতংকে নিরুপায় পথচারিরা !

আপডেট সময় : ০৯:৩০:২৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ শহর জুড়ে সাপের ভয় দেখিয়ে জোর করে চাঁদা দাবী করছে বেদে স¤প্রদায়ের মেয়েরা। এ নিয়ে ব্যাপক আতংকে নিরুপায় পথচারিরা! সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিনাইদহ শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৬/৭ জন অপ্রাপ্ত বয়সের বেদে স¤প্রদায়ের মেয়েরা। বয়স তাদের কতই বা হবে? বড় জোর ১৩ থেকে ২৮। এই বয়সে ওদের বিয়ে হয়েছে। কারো সাথে বাচ্চা আবার কেও গর্ভবতি। পরনে ময়লা শাড়ি আর সেলোয়ার কামিজ পরা। দল বেধে ছুটছে ওরা। টার্গেট গাও গ্রাম থেকে আসা কলেজ পড়–য়া ছেলে বা মেয়ে অথবা সহজ সরল অবলা নারী। কাঠের ছোট বাক্সের মধ্য থেকে সাপের মাথা বের করে আছে। আগন্তুকের সামনে এগিয়ে ধরছে সেটি। অমনি ভয়ে চমকে উঠছে পথচারিরা। এরপর পথ আটকে দাবী করা হচ্ছে টাকা। চাহিদা মতো টাকা না দেওয়া হলে ছেলেদের সার্ট আর মেয়েদের ওড়না বা শাড়ি টেনে ধরা হচ্ছে। ছোট কাঠের বাক্সে সাপ নিয়ে চাঁদাবাজি নতুন নয়, কিন্তু বর্তমানে তা চরম পর্যায়ে পৌচেছে। পথচারী ও শহরবাসি সাপের ভয়ে ও ইজ্জত বাঁচাতে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছে। শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, পারি উন্নয়ন বোর্ড, মুজিব চত্ত¡র, পায়রা চত্বর, মুন্সি মার্কেট, পোষ্ট অফিসের মোড় ও ১০ তলার সামনের এলাকায় এদের সবচে বেশি আনাগোনা। ৬/৭ জনের দল বেঁধে এরা চাঁদাবাজি করে। লোক বুঝে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে। টহল পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সামনেই গতকাল সোমবার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা গেছে। প্রথমে টাকা চেয়ে না পেলে সাপ বের করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজের নিচে এসব বেদের বহর ঝুপরি করে দল বেঁধে বসবাস করে। এদের ঝুপরিতে মাদক থেকে টিভি ও আধুনিক সকল প্রকার সুবিধা আছে। এসব যাযাবর বেদেদের মূল আবাস সাভার ও নাটোরের সিংড়ায় বলে যানা যায়। এসব বেদে মেয়ের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, প্রতিদিন তারা ৮/৯’শ টাকা আয় করে। পুরষ ছেলেরা বাড়ি আরাম করে আর স্ত্রীরা শহর চষে বেড়ায়, এসব পরিবারের নিজ এলাকায় পাকা ঘরবাড়ি জমি ও ব্যাংকে টাকাও মজুদ আছে। এটা তাদের পেশা। আগে বেদে পরিবারের পুরুষ নারী সদস্যরা সাপ খেলা ও সাপের ওষুধ বিক্রি সহ সিঙ্গা লাগানো এবং বাতের চিকিৎসা দেওয়ার নামে গ্রামের সহজ-সরল মহিলাদের কাছ থেকে টাকা, চাল, মুরগি,শাড়ি কাপড় খাবার জোর পুর্বক আদায় করত। এখন মানুষ সচেতন হওয়ায় এসব প্রতারণা ব্যবসা ও ভুয়া চিকিৎসা ও ওঝাগিরি করতে পারে না। এখন তারা ছোট সাপ দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে জোর পুর্বক টাকা আদায় করে থাকে।