শিরোনাম :
Logo জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ শুরু Logo বেরোবির এআইএস ক্লাবের নেতৃত্বে মিজান- আলবীর  Logo চাঁদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে অবরোধে ইবি শিক্ষার্থীরা Logo বুটেক্সে টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার, অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা Logo সাজিদ হত্যার তিন মাস; ইবি শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ  Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে: আজিজুল বারী হেলাল Logo ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন Logo দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার মতবিনিময় ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

নান্দাইলে ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ শুরু ॥ শ্রমিক সঙ্কট

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:৫৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৮০৭ বার পড়া হয়েছে

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ শুরু হয়েছে। তবে শীতকে উপেক্ষা করে বীজতলা ও শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বোরো আবাদে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। জানুয়ারির ১ম সপ্তাহ থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বোরো আবাদ সম্পন্ন করা হয় এবং এই বোরো ধান কাটা হয় বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের মধ্যে। কিন্তু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলার রোপণকৃত বীজ নষ্ট হয়েছে যার ফলে বীজ চারা সঙ্কট রয়েছে। তাই চড়া দামে বীজচারা ও মুজুরি কিনে আবাদে এখন পুরো ব্যস্ত সময় পাড় করছে নান্দাইলের কৃষকগণ। শ্রমিক প্রতি রোজ ৫০০ টাকা করে অথবা প্রতি বিঘা জমিতে চারা লাগাতে ১৩শ থেকে ১৬০০ টাকা লাগছে। উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের কৃষক রুবেল জানান, গরু মহিষ না থাকায় পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করলেও মই দেওয়া যায় না। তাই মই দিতে নিজেদেরকেই ব্যবহার করতে হয়। তবে তেল ও সারের দাম কম থাকলে হয়তো চাষাবাদের খরচ পোষিয়ে উঠা সম্ভব হবে। কৃষক শামীম মিয়া জানান, শ্রমিক পাওয়া যায়না বলেই নিজেরাই বীজতলা, জমি প্রস্তুত সহ চারা রোপণ করছি। কারণ জমিতো চাষ করতে হবে তানাহলে হয় জমি নষ্ট হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ধান চাষ না করলে না খেয়ে মরতে হবে। অপরদিকে শ্রমিক হেলাল উদ্দিন বলেন, এই শীতে কাদামাটি জমিতে কাজ করলে শরীরের অবস্থা খারাপতো হতে পারে। আবার সবকিছু জিনিসের দাম বাড়তি। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে । স্থানীয় জাত ৭৫ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ২০ হাজার ২শত ২০ হেক্টর এবং হাইব্রীড ১ হাজার ৭শত ২০ হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষ অব্যহত রয়েছে। এতে করে ৮৭ হাজার ৭শত ৮৯ মে:টন ধান নান্দাইলে উৎপাদিত হবে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নান্দাইল কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। অপর দিকে চলতি বোর মৌসুমে নান্দাইলে ৪হাজার মে:টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। কৃষি অফিসার জানান বিসিআইসি ১৩জন ডিলার পৌরসভা সহ ১২ ইউনিয়নে ১১৭জন তালিকা ভূক্ত খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছে। জনগণের চাহিদা মোতাবেক তারা সার সরবরাহ করে যাচ্ছেন। উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সারা নান্দাইলে কৃষকগণ বোরো জমিতে চাষাবাদ অব্যাহত রেখেছেন। কৃষকরা বলেন পানি সেচের বিষয়টি ভালো হলে এবং নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ সহ সময়মত সার ও জমি পরিচর্যা করলে বাম্বার ফলনের আশা করা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

নান্দাইলে ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ শুরু ॥ শ্রমিক সঙ্কট

আপডেট সময় : ০৫:০৪:৫৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ শুরু হয়েছে। তবে শীতকে উপেক্ষা করে বীজতলা ও শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বোরো আবাদে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। জানুয়ারির ১ম সপ্তাহ থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বোরো আবাদ সম্পন্ন করা হয় এবং এই বোরো ধান কাটা হয় বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের মধ্যে। কিন্তু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলার রোপণকৃত বীজ নষ্ট হয়েছে যার ফলে বীজ চারা সঙ্কট রয়েছে। তাই চড়া দামে বীজচারা ও মুজুরি কিনে আবাদে এখন পুরো ব্যস্ত সময় পাড় করছে নান্দাইলের কৃষকগণ। শ্রমিক প্রতি রোজ ৫০০ টাকা করে অথবা প্রতি বিঘা জমিতে চারা লাগাতে ১৩শ থেকে ১৬০০ টাকা লাগছে। উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের কৃষক রুবেল জানান, গরু মহিষ না থাকায় পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করলেও মই দেওয়া যায় না। তাই মই দিতে নিজেদেরকেই ব্যবহার করতে হয়। তবে তেল ও সারের দাম কম থাকলে হয়তো চাষাবাদের খরচ পোষিয়ে উঠা সম্ভব হবে। কৃষক শামীম মিয়া জানান, শ্রমিক পাওয়া যায়না বলেই নিজেরাই বীজতলা, জমি প্রস্তুত সহ চারা রোপণ করছি। কারণ জমিতো চাষ করতে হবে তানাহলে হয় জমি নষ্ট হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ধান চাষ না করলে না খেয়ে মরতে হবে। অপরদিকে শ্রমিক হেলাল উদ্দিন বলেন, এই শীতে কাদামাটি জমিতে কাজ করলে শরীরের অবস্থা খারাপতো হতে পারে। আবার সবকিছু জিনিসের দাম বাড়তি। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে । স্থানীয় জাত ৭৫ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ২০ হাজার ২শত ২০ হেক্টর এবং হাইব্রীড ১ হাজার ৭শত ২০ হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষ অব্যহত রয়েছে। এতে করে ৮৭ হাজার ৭শত ৮৯ মে:টন ধান নান্দাইলে উৎপাদিত হবে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নান্দাইল কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। অপর দিকে চলতি বোর মৌসুমে নান্দাইলে ৪হাজার মে:টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। কৃষি অফিসার জানান বিসিআইসি ১৩জন ডিলার পৌরসভা সহ ১২ ইউনিয়নে ১১৭জন তালিকা ভূক্ত খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছে। জনগণের চাহিদা মোতাবেক তারা সার সরবরাহ করে যাচ্ছেন। উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সারা নান্দাইলে কৃষকগণ বোরো জমিতে চাষাবাদ অব্যাহত রেখেছেন। কৃষকরা বলেন পানি সেচের বিষয়টি ভালো হলে এবং নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ সহ সময়মত সার ও জমি পরিচর্যা করলে বাম্বার ফলনের আশা করা যায়।