নিউজ ডেস্ক:
টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ। কালো মেঘে ছেয়ে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশ।
টেস্ট সিরিজের ব্যর্থতা মেনে নিলেও ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্সে হতাশ ক্রিকেটপ্রেমীরা। ১০ উইকেট, ১০৪ ও ২০০ রানের হার কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। মাস চারেক আগে যে দলটি ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছে, সেই মাশরাফি বাহিনীর অসহায় আত্মসমর্পণ মেনে নিতে পারছে না কোনোভাবেই। দলের পারফরম্যান্স যখন এমন, তখন নাসির হোসেন, শফিউল ইসলাম সুহাশ ও তাসকিন আহমেদের বিপক্ষে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে ।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, যদি তাদের বিপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনে যাবে বিসিবি। স্পষ্ট করেই বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন গতকাল।
ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্কে তৃতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ৩৬৯ রানের বিপক্ষে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। হার মানে ২০০ রানের পর্বতসমান ব্যবধানে।
হারের ধাক্কায় যখন গোটা দল মুষড়ে পড়েছে, তখন টিম ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও টিম ম্যানেজমেন্টের অগোচরে ক্যাসিনোতে যান তিন ক্রিকেটার নাসির, তাসকিন ও শফিউল। দলের নিয়ম রাত ১০টা পর্যন্ত হোটেলের বাইরে থাকা যায়। কিন্তু তিন ক্রিকেটার হোটেলে ফিরেছেন রাত ১০টা ৩৪ মিনিটে। তিন ক্রিকেটারের এই ক্যাসিনোতে যাওয়া এবং নির্ধারিত সময়ের পর হোটেলে ফেরায় বিব্রত বিসিবি।
গতকাল বিসিবির আসন্ন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতিসহ তার প্যানেলের সদস্যরা। জমা দেওয়ার পর বিসিবি সভাপতি বলেন, আমরা অবশ্য বিষয়টি তদন্ত করব এবং প্রমাণিত হলে তাদের বিপক্ষে অ্যাকশনে যাব।
তদন্ত করার জন্য বিসিবি অপেক্ষা করছে টিম ম্যানেজারের লিখিত অভিযোগ। টিম ম্যানেজারের লিখিত অভিযোগের পরই বিষয়টি দেখবে বিসিবি বলেন সভাপতি, টিম ম্যানেজারের লিখিত রিপোর্ট আগে আসুক। যদি একজন ক্রিকেটার হতেন, তাহলে তার বিপক্ষে কঠিন পদক্ষেপ নিতাম। যেহেতু তিন ক্রিকেটার, তাই একটু সময় নিতেই হবে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মাঝপথে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল আল-আমিনকে। সুতরাং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিপক্ষে বিসিবির অবস্থান সব সময়ই কঠোর ।