শিরোনাম :
Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন

বিচারাধীন বন্দির সন্তানকে নারী পুলিশকর্মীর স্তন্যদান !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:১৮:৫৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
  • ৮০৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পেশার কারণে তাদের কঠিন হতে হয়। কিন্তু হাজার হোক তিনি তো একজন নারী।
তাই আদালতে এক বিচারাধীন আসামীর শিশুসন্তানকে ক্ষূধার জ্বালায় কাঁদতে দেখে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেননি চীনের এক নারীপুলিশ কর্মকর্তা। আদালতের কক্ষের বাইরে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে স্তন্যদান করলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ঘটনার ছবি পড়েছে গোটা বিশ্বে।

ঘটনাটি ঘটেছে চীনের শাংজি প্রদেশে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সেখানকার একটি আদালতে মামলার শুনানি চলছিল। আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন এক নারী। আদালতে কক্ষেই ছিল ওই নারীর চারমাসের শিশুসন্তান। আচমকাই ক্ষুধা পেয়ে কাঁদতে শুরু করে শিশুটি। বহু চেষ্টা করেও কান্না থামানো যায়নি।

এরপরই মায়ের অনুমতি নিয়ে শিশুটিকে আদালত কক্ষের বাইরে নিয়ে গিয়ে স্তন্যদান করেন লিনা হাও নামে চিনের সেই নারীপুলিশ কর্মকর্তা। আদালতে কক্ষের বাইরে এককোণে চেয়ার বসে শিশুটিকে যখন স্তন্যদান করছিলেন লিনা, তখন তার ছবি তোলেন সেই নারী পুলিশ কর্মকর্তার এক সহকর্মী। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও করে দেন তিনি। শেয়ার করে ছবিটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন নেটিজেনরা।

জানা গেছে, সদ্য মা হয়েছেন লিনা হাও নামে সেই চিনা নারী পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে একজন মা। তাই ওই শিশুটির মা কতটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন, সেটা আমি বুঝতে পেরেছিলাম। মনে হয়েছিল, শিশুটিকে শান্ত করার জন্য কিছু করা উচিত। ’

লিনা হাওয়ের দাবি, তার জায়গায় যদি অন্য কোনও মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা থাকতেন, তাহলে তিনিও একই কাজ করতেন। ওই শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। তাকে কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিচারক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ

বিচারাধীন বন্দির সন্তানকে নারী পুলিশকর্মীর স্তন্যদান !

আপডেট সময় : ১২:১৮:৫৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পেশার কারণে তাদের কঠিন হতে হয়। কিন্তু হাজার হোক তিনি তো একজন নারী।
তাই আদালতে এক বিচারাধীন আসামীর শিশুসন্তানকে ক্ষূধার জ্বালায় কাঁদতে দেখে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেননি চীনের এক নারীপুলিশ কর্মকর্তা। আদালতের কক্ষের বাইরে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে স্তন্যদান করলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ঘটনার ছবি পড়েছে গোটা বিশ্বে।

ঘটনাটি ঘটেছে চীনের শাংজি প্রদেশে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সেখানকার একটি আদালতে মামলার শুনানি চলছিল। আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন এক নারী। আদালতে কক্ষেই ছিল ওই নারীর চারমাসের শিশুসন্তান। আচমকাই ক্ষুধা পেয়ে কাঁদতে শুরু করে শিশুটি। বহু চেষ্টা করেও কান্না থামানো যায়নি।

এরপরই মায়ের অনুমতি নিয়ে শিশুটিকে আদালত কক্ষের বাইরে নিয়ে গিয়ে স্তন্যদান করেন লিনা হাও নামে চিনের সেই নারীপুলিশ কর্মকর্তা। আদালতে কক্ষের বাইরে এককোণে চেয়ার বসে শিশুটিকে যখন স্তন্যদান করছিলেন লিনা, তখন তার ছবি তোলেন সেই নারী পুলিশ কর্মকর্তার এক সহকর্মী। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও করে দেন তিনি। শেয়ার করে ছবিটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন নেটিজেনরা।

জানা গেছে, সদ্য মা হয়েছেন লিনা হাও নামে সেই চিনা নারী পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে একজন মা। তাই ওই শিশুটির মা কতটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন, সেটা আমি বুঝতে পেরেছিলাম। মনে হয়েছিল, শিশুটিকে শান্ত করার জন্য কিছু করা উচিত। ’

লিনা হাওয়ের দাবি, তার জায়গায় যদি অন্য কোনও মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা থাকতেন, তাহলে তিনিও একই কাজ করতেন। ওই শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। তাকে কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিচারক।