নিউজ ডেস্ক:
কথায় বলে যেদিন বউ বাড়িতে থাকে না, সেদিন নাকি ছেলেদের ‘স্বাধীনতা দিবস’। তবে একদিনের জন্য নয়, সারা জীবনের জন্য স্ত্রীর হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে চেয়েছিলেন ভারতের রাজস্থানের জয়পুরের এক যুবক।
সেজন্য বাকি জীবনটা জেলেই কাটিয়ে দেওয়ার অভিনব ফন্দিও এঁটেছিলেন তিনি।
জানা গেছে, থানায় গিয়ে বউ পেটানোর মিথ্যা গল্প ফেঁদেছিলেন সেই যুবক। বিষয়টি অবশ্য ধরে ফেলেন পুলিশের এক পদস্থ কর্মকর্তা। স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তার ফলও পেলেন হাতনাতে। বেদম প্রহারে গুরুতর আহত হয়ে এখন হাসপাতালের বেডে ওই পুলিশকর্তা।
গত বৃহস্পতিবার সকালে জয়পুরের শিপ্রাপথ থানায় হাজির হন বছর তিরিশের ওই যুবক। তাকে জেলে পোরার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন তিনি। তিনি তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেছেন। তাই তাকে যেন গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এরপরই সেই যুবকের হিসেব বদলে যায়। ইতিমধ্যেই স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে থানায় পৌঁছন তার স্ত্রীও।
বিষয়টি বুঝতে আর অসুবিধা হয়নি মানসরোবর এলাকার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেশরাজ যাদবের। পুলিশ হিসেবে নয়, বরং বন্ধুর মতোই স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সন্ধি করতে গিয়ে উলটে বিপত্তি ঘটে।
শিপ্রাপথ থানার স্টেশন হাউস অফিসার মুকেশ চৌধুরী বলেন, ‘আমচকাই এসিপির মুখে সজোড়ে ঘুসি মারেন যোগেশ। মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বেরোতে শুরু করে পুলিশ অফিসারের। ’ ঘটনায় রীতিমতো হতবাক হয়ে যান থানায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা।