বৃহস্পতিবার | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo জেলা পুশিল সুপারের সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo ধুলিহরে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা Logo মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর Logo সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীবিকা উন্নয়নে কয়রায় প্রকল্প সভা অনুষ্ঠিত Logo মিথাইল ও বিষাক্ত স্পিরিট অপব্যবহার রোধে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক সভা Logo সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo দেবহাটায় সাসের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত Logo নানা আয়োজনে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন

ঝিনাইদহ সওজের সেই বিতর্কিত নির্বাহী প্রকৌশলীর অবশেষে বদলী

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:২১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বিতর্কিত ও দুর্নীবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানকে হবিগঞ্জ জেলায় বদলী করা হয়েছে। ভোলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনকে ঝিনাইদহে পদায়ন করা হয়েছে। বুধবার এ সংক্রান্ত বদলী আদেশ ঝিনাইদহ সওজে এসে পৌছালে কর্মকর্তা কর্মচারীরা একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। এ ছাড়া শোকরানা জানিয়ে স্থানীয় মসজিদে দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর অফিস আদেশে বলা হয়েছে আগামী ১২ সেপ্টম্বরের মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানকে হবিগঞ্জ জেলায় যোগদান করতে হবে। অন্যথায় ১৩ সেপ্টম্বর থেকে তাৎক্ষনিক ভাবে অবমুক্তি হিসেবে গন্য হবেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে সেলিম আজাদ খান যোগদানের পর থেকে টেন্ডারবাজী, কমিশন বাজিন্য ও ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেন। ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন সড়ক কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হলেও মানহীন কাজের কারণে অল্প দিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। এ নিয়ে তোপের মুখে পড়েন নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান।

ফেসবুক ও পত্রপত্রিকায় লেখালেখির ফলে একাধিক তদন্ত সম্পন্ন হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা হয় অভিযোগের পাহাড়। দুদকের ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত গনশুনানীতে নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ জমা হয়। কিন্তু তিনি জনরোষের ভয়ে জবাব দিতে গনশুনানীতে উপস্থিত হননি। তার দুর্ব্যবহারে কর্মকর্তা কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে সেচ্ছায় ৯ জন অন্যত্র বদলী হয়ে যান। ফলে লোকবলের অভাবে কাজকর্ম ব্যহত হয়। তার অসদাচরণের বিষয়টি প্রধান প্রকৌশলীর অফিসকে লিখিত ভাবে জানান ২৯ জন কর্মকর্তা কর্মচারী। তথ্যানুসন্ধান করে জানা গেছে সেলিম আজাদ খান ২০০৬ সালের ২৪ আগষ্ট এসিসট্যন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করেন। এই ১১ বছরে তিনি ১৬ জায়গায় বদলী হয়েছেন। অসামাজিকতা, কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যাবহার ও চরম দুর্নীতির কারণে কোন স্টেশনে তার কর্মকাল বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। অনেক স্থানে তিনি মারধরও খেয়েছেন। বদলীর বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান জানান, আমাকে হবিগঞ্জ বদলী করা হয়েছে। তিনি বলেন এখানে তো আমি ঘরবাড়ি বেধে থাকতে আসেনি। ডিপার্টমেন্ট চেয়েছে তাই আমাকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তিনি প্রত্যখান করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ

ঝিনাইদহ সওজের সেই বিতর্কিত নির্বাহী প্রকৌশলীর অবশেষে বদলী

আপডেট সময় : ০৮:১৫:২১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বিতর্কিত ও দুর্নীবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানকে হবিগঞ্জ জেলায় বদলী করা হয়েছে। ভোলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনকে ঝিনাইদহে পদায়ন করা হয়েছে। বুধবার এ সংক্রান্ত বদলী আদেশ ঝিনাইদহ সওজে এসে পৌছালে কর্মকর্তা কর্মচারীরা একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। এ ছাড়া শোকরানা জানিয়ে স্থানীয় মসজিদে দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর অফিস আদেশে বলা হয়েছে আগামী ১২ সেপ্টম্বরের মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানকে হবিগঞ্জ জেলায় যোগদান করতে হবে। অন্যথায় ১৩ সেপ্টম্বর থেকে তাৎক্ষনিক ভাবে অবমুক্তি হিসেবে গন্য হবেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে সেলিম আজাদ খান যোগদানের পর থেকে টেন্ডারবাজী, কমিশন বাজিন্য ও ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেন। ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন সড়ক কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হলেও মানহীন কাজের কারণে অল্প দিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। এ নিয়ে তোপের মুখে পড়েন নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান।

ফেসবুক ও পত্রপত্রিকায় লেখালেখির ফলে একাধিক তদন্ত সম্পন্ন হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা হয় অভিযোগের পাহাড়। দুদকের ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত গনশুনানীতে নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ জমা হয়। কিন্তু তিনি জনরোষের ভয়ে জবাব দিতে গনশুনানীতে উপস্থিত হননি। তার দুর্ব্যবহারে কর্মকর্তা কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে সেচ্ছায় ৯ জন অন্যত্র বদলী হয়ে যান। ফলে লোকবলের অভাবে কাজকর্ম ব্যহত হয়। তার অসদাচরণের বিষয়টি প্রধান প্রকৌশলীর অফিসকে লিখিত ভাবে জানান ২৯ জন কর্মকর্তা কর্মচারী। তথ্যানুসন্ধান করে জানা গেছে সেলিম আজাদ খান ২০০৬ সালের ২৪ আগষ্ট এসিসট্যন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করেন। এই ১১ বছরে তিনি ১৬ জায়গায় বদলী হয়েছেন। অসামাজিকতা, কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যাবহার ও চরম দুর্নীতির কারণে কোন স্টেশনে তার কর্মকাল বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। অনেক স্থানে তিনি মারধরও খেয়েছেন। বদলীর বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান জানান, আমাকে হবিগঞ্জ বদলী করা হয়েছে। তিনি বলেন এখানে তো আমি ঘরবাড়ি বেধে থাকতে আসেনি। ডিপার্টমেন্ট চেয়েছে তাই আমাকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তিনি প্রত্যখান করেন।