মায়ের সন্তান প্রসব করিয়ে চমক ১০ বছরের বালকের !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:২৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বাস্তব থেকেই সিনেমা অনুপ্রেরণা পায়। আবার এই বাস্তবই কখনও কখনও সিনেমার কল্পনাকেও হার মানিয়ে দেয়।

এমনই এক ঘটনা সম্প্রতি ঘটে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা এলাকায়। মায়ের সন্তান প্রসবে এগিয়ে এল দশ বছরের এক বালক।

ঘটনাটি ঘটেছে ১১ আগস্ট। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রসব বেদনা শুরু হয়ে যায় অ্যাশলি মরিউর। বাথরুমে ছিলেন তিনি। সেখানেই গর্ভস্থ সন্তানের একটি পা বেরিয়ে আসে। বাড়িতে জেডেন ছাড়া আর কেউই ছিল না। ১০ বছরের ছেলেকেই বাইরে গিয়ে তার দাদিকে ডেকে আনতে বলেন অ্যাশলি। কিন্তু মা’কে ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি কিশোর। নিজেই প্রসব করাবে বলে স্থির করে সে। মা’কে কেবল নির্দেশ দিতে বলে। বাকি কাজ ঠিক করে নিতে পারবে বলে জানায় জেডেন। শান্ত জেডেনকে দেখে সাহস পান অ্যাশলিও। ছেলেকে বলতে থাকেন কী কী করতে হবে।

প্রসবের এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না। ব্রিচ কন্ডিশনে ছিল অ্যাশলির গর্ভস্থ সন্তান। অর্থাৎ মাথার বদলে তার পা যোনি থেকে বেরিয়ে এসেছিল। এমন অবস্থা বেশ বিপজ্জনক। যে কোনও কিছু ঘটে যেতে পারত। কিন্তু মা’র কথামতোই প্রসবক্রিয়া সম্পন্ন করে জেডেন।  তবে আচমকা সে খেয়াল করে সদ্যোজাত শিশুটি শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে না।

এমনাবস্থায় অ্যাশলি তাকে বলেন বাইরে থেকে অক্সিজেন জোগাতে হবে শিশুকে। কিছু একটা ভেবে দৌড়ে রান্নাঘরে যায় জেডেন। নিজের এগারো বছরে বোনের নাজাল অ্যাসপিরেটর যন্ত্র নিয়ে আসে সে। তা দিয়েই অক্সিজেন জোগায় সদ্য জন্ম নেওয়া সেই শিশুটিকে। অক্সিজেন পেয়ে বেঁচে ওঠে শিশুটি। ততক্ষণে অ্যাম্বুল্যান্সও এসে পৌঁছায়। অ্যাশলি ও তার সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ রয়েছে। তবে দশ বছরের জেডেনের কীর্তিতে হতবাক ডাক্তাররাও।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মায়ের সন্তান প্রসব করিয়ে চমক ১০ বছরের বালকের !

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:২৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বাস্তব থেকেই সিনেমা অনুপ্রেরণা পায়। আবার এই বাস্তবই কখনও কখনও সিনেমার কল্পনাকেও হার মানিয়ে দেয়।

এমনই এক ঘটনা সম্প্রতি ঘটে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা এলাকায়। মায়ের সন্তান প্রসবে এগিয়ে এল দশ বছরের এক বালক।

ঘটনাটি ঘটেছে ১১ আগস্ট। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রসব বেদনা শুরু হয়ে যায় অ্যাশলি মরিউর। বাথরুমে ছিলেন তিনি। সেখানেই গর্ভস্থ সন্তানের একটি পা বেরিয়ে আসে। বাড়িতে জেডেন ছাড়া আর কেউই ছিল না। ১০ বছরের ছেলেকেই বাইরে গিয়ে তার দাদিকে ডেকে আনতে বলেন অ্যাশলি। কিন্তু মা’কে ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি কিশোর। নিজেই প্রসব করাবে বলে স্থির করে সে। মা’কে কেবল নির্দেশ দিতে বলে। বাকি কাজ ঠিক করে নিতে পারবে বলে জানায় জেডেন। শান্ত জেডেনকে দেখে সাহস পান অ্যাশলিও। ছেলেকে বলতে থাকেন কী কী করতে হবে।

প্রসবের এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না। ব্রিচ কন্ডিশনে ছিল অ্যাশলির গর্ভস্থ সন্তান। অর্থাৎ মাথার বদলে তার পা যোনি থেকে বেরিয়ে এসেছিল। এমন অবস্থা বেশ বিপজ্জনক। যে কোনও কিছু ঘটে যেতে পারত। কিন্তু মা’র কথামতোই প্রসবক্রিয়া সম্পন্ন করে জেডেন।  তবে আচমকা সে খেয়াল করে সদ্যোজাত শিশুটি শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে না।

এমনাবস্থায় অ্যাশলি তাকে বলেন বাইরে থেকে অক্সিজেন জোগাতে হবে শিশুকে। কিছু একটা ভেবে দৌড়ে রান্নাঘরে যায় জেডেন। নিজের এগারো বছরে বোনের নাজাল অ্যাসপিরেটর যন্ত্র নিয়ে আসে সে। তা দিয়েই অক্সিজেন জোগায় সদ্য জন্ম নেওয়া সেই শিশুটিকে। অক্সিজেন পেয়ে বেঁচে ওঠে শিশুটি। ততক্ষণে অ্যাম্বুল্যান্সও এসে পৌঁছায়। অ্যাশলি ও তার সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ রয়েছে। তবে দশ বছরের জেডেনের কীর্তিতে হতবাক ডাক্তাররাও।