বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল

২০২১ সালের পর একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থাকবে না: অর্থমন্ত্রী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:৫২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাধ্যমে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর ফলে ২০২১ সালের পর একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প আর থাকবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার।

২০১৪ সালের ২ জুলাই জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন-২০১৪ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করলে তা পাস হয়। এই আইনের বিধান অনুযায়ী এ ব্যাংকের মালিকানা থাকবে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুবিধাভোগী সমিতিগুলোর হাতে। এদের হাতে ৪৯ শতাংশ এবং সরকারের হাতে থাকবে ৫১ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের মানুষকে ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’-এর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনো সবাই এর আওতাভুক্ত হয়নি। আশা করছি সবাই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তখন এ প্রকল্পের আর প্রয়োজন থাকবে না। অর্থাৎ ২০২০-২০২১ সালে প্রকল্পটি আর চালু রাখার প্রয়োজন হবে না।

তিনি বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশের মানুষের মধ্যে সঞ্চয়মুখী মনোভাব গড়ে উঠেছে। এটা দেশের অর্থনীতিতে একটা বড় পরিবর্তন। ক্ষুদ্র ঋণ বলতে এখন আর কিছু নেই। এখন মানুষ গ্রুপভিত্তিক ঋণ নেয়। এসব ঋণ নিয়ে যৌথভাবে কৃষি ব্যবসা করে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ৪৮৫টি শাখাকে অনলাইনে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এটা খুবই ভালো খবর। বাংলাদেশে আর কোনো ব্যাংক এত বড় কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেনি।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার বলেন, ‘কোনো ব্যাংক ৮ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে পারে না। কিন্তু পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ৮ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। এ ব্যাংকটি মৌসুমী ঋণও দিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ভবিষ্যতে ইউনিয়ন পর্যায়েও শাখা নিয়ে যেতে চায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

২০২১ সালের পর একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থাকবে না: অর্থমন্ত্রী !

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৫২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাধ্যমে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর ফলে ২০২১ সালের পর একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প আর থাকবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার।

২০১৪ সালের ২ জুলাই জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন-২০১৪ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করলে তা পাস হয়। এই আইনের বিধান অনুযায়ী এ ব্যাংকের মালিকানা থাকবে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুবিধাভোগী সমিতিগুলোর হাতে। এদের হাতে ৪৯ শতাংশ এবং সরকারের হাতে থাকবে ৫১ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের মানুষকে ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’-এর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনো সবাই এর আওতাভুক্ত হয়নি। আশা করছি সবাই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তখন এ প্রকল্পের আর প্রয়োজন থাকবে না। অর্থাৎ ২০২০-২০২১ সালে প্রকল্পটি আর চালু রাখার প্রয়োজন হবে না।

তিনি বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশের মানুষের মধ্যে সঞ্চয়মুখী মনোভাব গড়ে উঠেছে। এটা দেশের অর্থনীতিতে একটা বড় পরিবর্তন। ক্ষুদ্র ঋণ বলতে এখন আর কিছু নেই। এখন মানুষ গ্রুপভিত্তিক ঋণ নেয়। এসব ঋণ নিয়ে যৌথভাবে কৃষি ব্যবসা করে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ৪৮৫টি শাখাকে অনলাইনে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এটা খুবই ভালো খবর। বাংলাদেশে আর কোনো ব্যাংক এত বড় কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেনি।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার বলেন, ‘কোনো ব্যাংক ৮ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে পারে না। কিন্তু পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ৮ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। এ ব্যাংকটি মৌসুমী ঋণও দিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ভবিষ্যতে ইউনিয়ন পর্যায়েও শাখা নিয়ে যেতে চায়।