যখনই ক্ষুধা লাগে, বিদ্যুৎ খাই আমি……(ভিডিও)

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমাদের যখন ক্ষিদে পায় তখন আমরা ভাত-মাছ, ফলমূল খাই। অথচ ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা নরেশ কুমার খেয়ে থাকেন বিদ্যুৎ! আর সেখান থেকেই শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করেন নরেশ।

আজব মানুষ! তার কাজও আজব। বিদ্যুৎ নিয়ে হরেক রকমের কেরামতি দেখাতে পারেন ৪২ বছরের নরেশ। এজন্য তাকে বলা হয় ‘দ্য হিউম্যান লাইট বাল্ব’ বা মানব বাতি।

নরেশ জানান, তার দেহ মূলত বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ। উচ্চ ভোল্টেজ প্রবাহিত হলেও কোনো ক্ষতি হয় না দেহের। আর এ বিষয়টির প্রমাণও দেখিয়ে দেন নরেশ। ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার মুখে নিয়ে অনায়াসে বসে থাকতে পারেন তিনি।

তবে তার বিদ্যুৎ থেকে এনার্জি পাওয়ার বিষয়টিই সবচেয়ে আশ্চর্যজনক। তিনি বলেন, ‘আমার যখনই ক্ষুধা লাগে এবং ঘরে কোনো খাবার থাকে না তখন আমি খোলা একটি বৈদ্যুতিক তার মুখে নেই। আধা ঘণ্টার মধ্যেই আমার ক্ষুধা মিটে যায়। অন্যান্য খাবারের মতোই বিদ্যুৎ খাই আমি। ’

বর্তমানে পাঁচ সন্তানের বাবা নরেশ। একটি হাসপাতালে মৃতদেহ গোসল করানোর কাজ করেন তিনি। ছয় বছর আগে আবিষ্কার করেন, তার দেহের বিদ্যুতের এই অসম্ভব ক্ষমতা। সে সময় দুর্ঘটনাক্রমে তিনি বিদ্যুতের একটি তার স্পর্শ করে বসেন। পরে দেখলেন, তাতে তার কোনো সমস্যাই হচ্ছে না।

তিনি খালি হাতে যে কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র ধরতে পারেন। তার দাবি, এতে তার কোনো ক্ষতি হয় না। বরং এতে তার শক্তি বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, আমি তখন আশ্চর্য হয়ে যাই। এর আগ পর্যন্ত আমি আমার এই দক্ষতা সম্পর্কে জানতাম না। এটা ভগবানের উপহার। আমি খুশি যে তিনি আমাকে এই গুণ দিয়েছেন।

বিদ্যুৎ দেহের ভেতর দিয়ে গেলেও তার কোনো সমস্যা হয় না। বহু মানুষের সামনেই বহুবার এ কাজটি করে দেখিয়েছেন তিনি। এমনকি তার দেহে যখন বিদ্যুৎ চলাচল করে, তখন টেস্টার ধরলে সেটিতেও আলো জ্বলতে থাকে। এতে নরেশের কোনো যন্ত্রণা হয় না বলেই দাবি তার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যখনই ক্ষুধা লাগে, বিদ্যুৎ খাই আমি……(ভিডিও)

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমাদের যখন ক্ষিদে পায় তখন আমরা ভাত-মাছ, ফলমূল খাই। অথচ ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা নরেশ কুমার খেয়ে থাকেন বিদ্যুৎ! আর সেখান থেকেই শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করেন নরেশ।

আজব মানুষ! তার কাজও আজব। বিদ্যুৎ নিয়ে হরেক রকমের কেরামতি দেখাতে পারেন ৪২ বছরের নরেশ। এজন্য তাকে বলা হয় ‘দ্য হিউম্যান লাইট বাল্ব’ বা মানব বাতি।

নরেশ জানান, তার দেহ মূলত বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ। উচ্চ ভোল্টেজ প্রবাহিত হলেও কোনো ক্ষতি হয় না দেহের। আর এ বিষয়টির প্রমাণও দেখিয়ে দেন নরেশ। ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার মুখে নিয়ে অনায়াসে বসে থাকতে পারেন তিনি।

তবে তার বিদ্যুৎ থেকে এনার্জি পাওয়ার বিষয়টিই সবচেয়ে আশ্চর্যজনক। তিনি বলেন, ‘আমার যখনই ক্ষুধা লাগে এবং ঘরে কোনো খাবার থাকে না তখন আমি খোলা একটি বৈদ্যুতিক তার মুখে নেই। আধা ঘণ্টার মধ্যেই আমার ক্ষুধা মিটে যায়। অন্যান্য খাবারের মতোই বিদ্যুৎ খাই আমি। ’

বর্তমানে পাঁচ সন্তানের বাবা নরেশ। একটি হাসপাতালে মৃতদেহ গোসল করানোর কাজ করেন তিনি। ছয় বছর আগে আবিষ্কার করেন, তার দেহের বিদ্যুতের এই অসম্ভব ক্ষমতা। সে সময় দুর্ঘটনাক্রমে তিনি বিদ্যুতের একটি তার স্পর্শ করে বসেন। পরে দেখলেন, তাতে তার কোনো সমস্যাই হচ্ছে না।

তিনি খালি হাতে যে কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র ধরতে পারেন। তার দাবি, এতে তার কোনো ক্ষতি হয় না। বরং এতে তার শক্তি বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, আমি তখন আশ্চর্য হয়ে যাই। এর আগ পর্যন্ত আমি আমার এই দক্ষতা সম্পর্কে জানতাম না। এটা ভগবানের উপহার। আমি খুশি যে তিনি আমাকে এই গুণ দিয়েছেন।

বিদ্যুৎ দেহের ভেতর দিয়ে গেলেও তার কোনো সমস্যা হয় না। বহু মানুষের সামনেই বহুবার এ কাজটি করে দেখিয়েছেন তিনি। এমনকি তার দেহে যখন বিদ্যুৎ চলাচল করে, তখন টেস্টার ধরলে সেটিতেও আলো জ্বলতে থাকে। এতে নরেশের কোনো যন্ত্রণা হয় না বলেই দাবি তার।