শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

রাজধানীতে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে অর্থমন্ত্রীর পরামর্শ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানী ঢাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রদের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘ইমপ্রুভিং ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।

পিআরআইর চেয়ারম্যান জাহিদ সাত্তারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন- আমেরিকান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জোয়েল রিফম্যান, অর্থনীতিবিদ সিদ্দিকুর রহমান ওসমানি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব জাকির আহমেদ খান, ড. মোহাম্মদ তারেক, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, প্রাক্তন বাণিজ্য সচিব সোহেল চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, পিআরআইর ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ, আইএনএমের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কে মজুরি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোর আর্থিক দৈন্য কমাতে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো উচিত। বহুদিন আগে অর্থাৎ ১৯৬১ অথবা ১৯৬২ সালে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছিল। সাদেক হোসেন খোকা যখন সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন তখন এটি বাড়ানোর একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং প্রত্যেককে নোটিশও দেন। এটা ছিল বার্ডেন। কারণ, এটি আগের তুলনায় প্রায় ১১ গুণ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়। সে সময় বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি তার ওপর বিরক্তি প্রকাশ করি। আমি এটি বাস্তবায়ন করতে দেইনি। তিনি নোটিশটি প্রত্যাহার করে নেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৬০ বছর হয়ে গেছে হোল্ডিং ট্যাক্স পুনঃনির্ধারণ করা হয়নি। বনানীতে আমার ১৪ কাঠার একটি বাড়ি আছে। এর আয়তন ৫ হাজার ৮০০ স্কয়ার ফিট। অথচ হোল্ডিং ট্যাক্স মাত্র ১১ হাজার টাকা। ট্যাক্স রিবেট পাওয়ায় আমি পরিশোধ করি মাত্র ৬ হাজার টাকা।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমি মনে করি নির্বাচিত দুই মেয়রের এ বিষয়ে অবশ্যই কিছু করা উচিত এবং তারা করবেন। ঢাকা সিটিতে নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স বাস্তবায়ন করা হবে।

২০২০ সালের আগে আর্থিক খাতে নতুন সংস্কার আনা সম্ভব না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের এটি শেষ বছর। আগামী বছর নির্বাচনের বছর। সুতরাং আগামী বছর নতুন কোনো সংস্কারের জন্য উপযুক্ত সময় নয়।

তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে আমাদের ধারাবাহিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে আত্মতুষ্টিতে থাকার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের আরো অনেকটা পথ সামনে যেতে হবে।

আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচকরা সরকারের বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে আরো স্বচ্ছতা আনার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের আগে একটি স্টেটমেন্ট দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করা হবে। যাতে সাধারণ মানুষ সরকারের আয়-ব্যয় সম্পর্কে একটি ধারণা পেতে পারেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

রাজধানীতে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে অর্থমন্ত্রীর পরামর্শ !

আপডেট সময় : ০২:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানী ঢাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রদের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘ইমপ্রুভিং ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।

পিআরআইর চেয়ারম্যান জাহিদ সাত্তারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন- আমেরিকান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জোয়েল রিফম্যান, অর্থনীতিবিদ সিদ্দিকুর রহমান ওসমানি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব জাকির আহমেদ খান, ড. মোহাম্মদ তারেক, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, প্রাক্তন বাণিজ্য সচিব সোহেল চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, পিআরআইর ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ, আইএনএমের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কে মজুরি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোর আর্থিক দৈন্য কমাতে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো উচিত। বহুদিন আগে অর্থাৎ ১৯৬১ অথবা ১৯৬২ সালে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছিল। সাদেক হোসেন খোকা যখন সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন তখন এটি বাড়ানোর একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং প্রত্যেককে নোটিশও দেন। এটা ছিল বার্ডেন। কারণ, এটি আগের তুলনায় প্রায় ১১ গুণ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়। সে সময় বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি তার ওপর বিরক্তি প্রকাশ করি। আমি এটি বাস্তবায়ন করতে দেইনি। তিনি নোটিশটি প্রত্যাহার করে নেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৬০ বছর হয়ে গেছে হোল্ডিং ট্যাক্স পুনঃনির্ধারণ করা হয়নি। বনানীতে আমার ১৪ কাঠার একটি বাড়ি আছে। এর আয়তন ৫ হাজার ৮০০ স্কয়ার ফিট। অথচ হোল্ডিং ট্যাক্স মাত্র ১১ হাজার টাকা। ট্যাক্স রিবেট পাওয়ায় আমি পরিশোধ করি মাত্র ৬ হাজার টাকা।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমি মনে করি নির্বাচিত দুই মেয়রের এ বিষয়ে অবশ্যই কিছু করা উচিত এবং তারা করবেন। ঢাকা সিটিতে নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স বাস্তবায়ন করা হবে।

২০২০ সালের আগে আর্থিক খাতে নতুন সংস্কার আনা সম্ভব না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের এটি শেষ বছর। আগামী বছর নির্বাচনের বছর। সুতরাং আগামী বছর নতুন কোনো সংস্কারের জন্য উপযুক্ত সময় নয়।

তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে আমাদের ধারাবাহিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে আত্মতুষ্টিতে থাকার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের আরো অনেকটা পথ সামনে যেতে হবে।

আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচকরা সরকারের বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে আরো স্বচ্ছতা আনার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের আগে একটি স্টেটমেন্ট দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করা হবে। যাতে সাধারণ মানুষ সরকারের আয়-ব্যয় সম্পর্কে একটি ধারণা পেতে পারেন।