বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল

রাজধানীতে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে অর্থমন্ত্রীর পরামর্শ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৭১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানী ঢাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রদের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘ইমপ্রুভিং ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।

পিআরআইর চেয়ারম্যান জাহিদ সাত্তারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন- আমেরিকান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জোয়েল রিফম্যান, অর্থনীতিবিদ সিদ্দিকুর রহমান ওসমানি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব জাকির আহমেদ খান, ড. মোহাম্মদ তারেক, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, প্রাক্তন বাণিজ্য সচিব সোহেল চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, পিআরআইর ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ, আইএনএমের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কে মজুরি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোর আর্থিক দৈন্য কমাতে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো উচিত। বহুদিন আগে অর্থাৎ ১৯৬১ অথবা ১৯৬২ সালে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছিল। সাদেক হোসেন খোকা যখন সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন তখন এটি বাড়ানোর একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং প্রত্যেককে নোটিশও দেন। এটা ছিল বার্ডেন। কারণ, এটি আগের তুলনায় প্রায় ১১ গুণ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়। সে সময় বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি তার ওপর বিরক্তি প্রকাশ করি। আমি এটি বাস্তবায়ন করতে দেইনি। তিনি নোটিশটি প্রত্যাহার করে নেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৬০ বছর হয়ে গেছে হোল্ডিং ট্যাক্স পুনঃনির্ধারণ করা হয়নি। বনানীতে আমার ১৪ কাঠার একটি বাড়ি আছে। এর আয়তন ৫ হাজার ৮০০ স্কয়ার ফিট। অথচ হোল্ডিং ট্যাক্স মাত্র ১১ হাজার টাকা। ট্যাক্স রিবেট পাওয়ায় আমি পরিশোধ করি মাত্র ৬ হাজার টাকা।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমি মনে করি নির্বাচিত দুই মেয়রের এ বিষয়ে অবশ্যই কিছু করা উচিত এবং তারা করবেন। ঢাকা সিটিতে নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স বাস্তবায়ন করা হবে।

২০২০ সালের আগে আর্থিক খাতে নতুন সংস্কার আনা সম্ভব না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের এটি শেষ বছর। আগামী বছর নির্বাচনের বছর। সুতরাং আগামী বছর নতুন কোনো সংস্কারের জন্য উপযুক্ত সময় নয়।

তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে আমাদের ধারাবাহিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে আত্মতুষ্টিতে থাকার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের আরো অনেকটা পথ সামনে যেতে হবে।

আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচকরা সরকারের বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে আরো স্বচ্ছতা আনার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের আগে একটি স্টেটমেন্ট দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করা হবে। যাতে সাধারণ মানুষ সরকারের আয়-ব্যয় সম্পর্কে একটি ধারণা পেতে পারেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

রাজধানীতে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে অর্থমন্ত্রীর পরামর্শ !

আপডেট সময় : ০২:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানী ঢাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রদের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘ইমপ্রুভিং ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।

পিআরআইর চেয়ারম্যান জাহিদ সাত্তারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন- আমেরিকান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জোয়েল রিফম্যান, অর্থনীতিবিদ সিদ্দিকুর রহমান ওসমানি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব জাকির আহমেদ খান, ড. মোহাম্মদ তারেক, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, প্রাক্তন বাণিজ্য সচিব সোহেল চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, পিআরআইর ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ, আইএনএমের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কে মজুরি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোর আর্থিক দৈন্য কমাতে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো উচিত। বহুদিন আগে অর্থাৎ ১৯৬১ অথবা ১৯৬২ সালে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছিল। সাদেক হোসেন খোকা যখন সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন তখন এটি বাড়ানোর একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং প্রত্যেককে নোটিশও দেন। এটা ছিল বার্ডেন। কারণ, এটি আগের তুলনায় প্রায় ১১ গুণ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়। সে সময় বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি তার ওপর বিরক্তি প্রকাশ করি। আমি এটি বাস্তবায়ন করতে দেইনি। তিনি নোটিশটি প্রত্যাহার করে নেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৬০ বছর হয়ে গেছে হোল্ডিং ট্যাক্স পুনঃনির্ধারণ করা হয়নি। বনানীতে আমার ১৪ কাঠার একটি বাড়ি আছে। এর আয়তন ৫ হাজার ৮০০ স্কয়ার ফিট। অথচ হোল্ডিং ট্যাক্স মাত্র ১১ হাজার টাকা। ট্যাক্স রিবেট পাওয়ায় আমি পরিশোধ করি মাত্র ৬ হাজার টাকা।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমি মনে করি নির্বাচিত দুই মেয়রের এ বিষয়ে অবশ্যই কিছু করা উচিত এবং তারা করবেন। ঢাকা সিটিতে নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স বাস্তবায়ন করা হবে।

২০২০ সালের আগে আর্থিক খাতে নতুন সংস্কার আনা সম্ভব না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের এটি শেষ বছর। আগামী বছর নির্বাচনের বছর। সুতরাং আগামী বছর নতুন কোনো সংস্কারের জন্য উপযুক্ত সময় নয়।

তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে আমাদের ধারাবাহিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে আত্মতুষ্টিতে থাকার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের আরো অনেকটা পথ সামনে যেতে হবে।

আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচকরা সরকারের বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে আরো স্বচ্ছতা আনার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের আগে একটি স্টেটমেন্ট দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করা হবে। যাতে সাধারণ মানুষ সরকারের আয়-ব্যয় সম্পর্কে একটি ধারণা পেতে পারেন।