শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

প্রতি রাতেই স্বামীর রক্তপান করত ‘পিশাচ’ স্ত্রী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:১৮:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভারতকে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এখনও যে ভারতের প্রত্যন্ত প্রান্তে আম জনতার বাড়িতে পিশাচ, তন্ত্রসাধনার মতো সাধানা চলে, সেখানে মোদির সেই স্বপ্ন কি আদৌ সফল হবে।

আসলে ভারতের একটি নৃশংস ঘটনা এমন প্রশ্ন তুলে দিল। ঘটনাস্থল ভারতের বীরভূমের সদাইপুর থানা এলাকা। এক নারীর বিরুদ্ধে স্বামীর রক্তপানের অভিযোগকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো গ্রামে।

অভিযোগ, অভিজিৎ বাগদির(২২) স্ত্রী সাবিত্রী বাগদি(১৮) সাধনার নামে নিয়মিত স্বামীর বুকের ওপর উঠে বসে রক্তপান করত। তাদের ঘরে নাকি এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে মড়ার খুলি, হাড়গোড় পড়ে থাকতে দেখা যেত। এমনকী, সাবিত্রীকে প্রতিবেশীরা নগ্ন অবস্থায় বাড়ির চারপাশে ঘুরে বেড়াতে দেখেছে গভীর রাতে। ভয়ে, অন্ধবিশ্বাসে স্থানীয়রা খুব একটা ওই অভিশপ্ত বাড়ির ছায়া মাড়াতেন না।

অভিজিৎ সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে বর্ধমান হাসপাতালে ভরতি হন। তার মা ছবি বাগদির অভিযোগ, পুত্রবধূর তন্ত্রসাধনার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিৎ। নিয়মিত তার রক্তপান করত অভিযুক্ত সাবিত্রী।

শেষপর্যন্ত রবিবার রাতে হাসপাতাল থেকে খবর আসে, অভিজিৎ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। এই খবর গ্রামে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। দলবল বেঁধে তারা মূল অভিযুক্ত ও তার বাবা-মা ও দুই ভাইয়ের  উপর চড়াও হয়। স্থানীয় কয়েকজনের তৎপরতায় কোনওমতে প্রাণে বাঁচেন অভিযুক্ত।
পুলিশ অভিযুক্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিজিতের মৃতদেহ গ্রামে এসে পৌঁছালেও শোকপ্রকাশ করতে দেখা যায়নি তার স্ত্রীকে। বরং সেই সময় নাকি ঘরের ভিতর থেকে মড়ার খুলি, কাটা আঙুল নিয়ে এসেও কিছু মন্ত্র পড়তে শুরু করে মৃতের সহধর্মিণী।

অথচ মাত্র দু’বছর আগেই অভিজিৎ ও সাবিত্রীর বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম থেকেই বাপের বাড়ির সদস্যদের কথায় পৈশাচিক সাধনায় মেতে থাকত সাবিত্রী। অস্বাভাবিক আচরণ করত। স্বামীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পিশাচসিদ্ধ কোনও তান্ত্রিক বা কাপালিকের কথায় অভিযুক্ত এমনটা করত বলে জানাচ্ছেন গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দারা। ‘নরখাদক’ স্ত্রীকে জনতাই শাস্তি দেবে, এই দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে। আপাতত অভিযুক্ত ও তার আত্মীয়দের পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে। ‌‌

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

প্রতি রাতেই স্বামীর রক্তপান করত ‘পিশাচ’ স্ত্রী !

আপডেট সময় : ০১:১৮:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভারতকে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এখনও যে ভারতের প্রত্যন্ত প্রান্তে আম জনতার বাড়িতে পিশাচ, তন্ত্রসাধনার মতো সাধানা চলে, সেখানে মোদির সেই স্বপ্ন কি আদৌ সফল হবে।

আসলে ভারতের একটি নৃশংস ঘটনা এমন প্রশ্ন তুলে দিল। ঘটনাস্থল ভারতের বীরভূমের সদাইপুর থানা এলাকা। এক নারীর বিরুদ্ধে স্বামীর রক্তপানের অভিযোগকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো গ্রামে।

অভিযোগ, অভিজিৎ বাগদির(২২) স্ত্রী সাবিত্রী বাগদি(১৮) সাধনার নামে নিয়মিত স্বামীর বুকের ওপর উঠে বসে রক্তপান করত। তাদের ঘরে নাকি এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে মড়ার খুলি, হাড়গোড় পড়ে থাকতে দেখা যেত। এমনকী, সাবিত্রীকে প্রতিবেশীরা নগ্ন অবস্থায় বাড়ির চারপাশে ঘুরে বেড়াতে দেখেছে গভীর রাতে। ভয়ে, অন্ধবিশ্বাসে স্থানীয়রা খুব একটা ওই অভিশপ্ত বাড়ির ছায়া মাড়াতেন না।

অভিজিৎ সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে বর্ধমান হাসপাতালে ভরতি হন। তার মা ছবি বাগদির অভিযোগ, পুত্রবধূর তন্ত্রসাধনার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিৎ। নিয়মিত তার রক্তপান করত অভিযুক্ত সাবিত্রী।

শেষপর্যন্ত রবিবার রাতে হাসপাতাল থেকে খবর আসে, অভিজিৎ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। এই খবর গ্রামে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। দলবল বেঁধে তারা মূল অভিযুক্ত ও তার বাবা-মা ও দুই ভাইয়ের  উপর চড়াও হয়। স্থানীয় কয়েকজনের তৎপরতায় কোনওমতে প্রাণে বাঁচেন অভিযুক্ত।
পুলিশ অভিযুক্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিজিতের মৃতদেহ গ্রামে এসে পৌঁছালেও শোকপ্রকাশ করতে দেখা যায়নি তার স্ত্রীকে। বরং সেই সময় নাকি ঘরের ভিতর থেকে মড়ার খুলি, কাটা আঙুল নিয়ে এসেও কিছু মন্ত্র পড়তে শুরু করে মৃতের সহধর্মিণী।

অথচ মাত্র দু’বছর আগেই অভিজিৎ ও সাবিত্রীর বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম থেকেই বাপের বাড়ির সদস্যদের কথায় পৈশাচিক সাধনায় মেতে থাকত সাবিত্রী। অস্বাভাবিক আচরণ করত। স্বামীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পিশাচসিদ্ধ কোনও তান্ত্রিক বা কাপালিকের কথায় অভিযুক্ত এমনটা করত বলে জানাচ্ছেন গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দারা। ‘নরখাদক’ স্ত্রীকে জনতাই শাস্তি দেবে, এই দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে। আপাতত অভিযুক্ত ও তার আত্মীয়দের পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে। ‌‌