শিরোনাম :
Logo বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত Logo জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে ধানমন্ডি থানা যুবদল Logo চুয়াডাঙ্গায় দ্রুতগতির আলমসাধুর ধাক্কায় প্রাণ গেল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারির Logo বোদা গরুর হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায় অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo বিএনসিসি স্কোয়াড্রনে সিইউও পদে পদোন্নতি পেলেন রাবির নাছিম উদ্দিন Logo জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন চাঁসক শাখা Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আইনি প্রক্রিয়ায় আটকে আছে বৃদ্ধের ময়নাতদন্ত, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন Logo ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন জনগণের দাবি: সালাহউদ্দিন Logo আগে বিচার এরপর সংস্কার ও নির্বাচন: মুজিবুর রহমান Logo নির্বাচন নিয়ে একটি মহল জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: মির্জা আব্বাস

বহু মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু রুখে দিয়েছেন যিনি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৮১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চীনের নাগরিক চেন সি (৪৮ ) যে ভাবে তার উইকেন্ডগুলো কাটান, তা জানার পর আমাদের অবাক লাগতে পারে! জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে নিয়মকানুনের কড়াকড়ির ব্যাপারে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চীন। দিনের পর দিন কঠোর নিয়মের বেড়াজালে বন্দি থাকার ফলে মানসিক অবসাদে ভোগেন, এমন মানুষের সংখ্যাও চীনে কম নয়। স্বাভাবিকভাবেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অনেকেই। এজন্য সেখানকার বহুতল অফিসগুলির বাইরে অনেক সময় নেট’র জাল বিছানো থাকে, যাতে ছাদ থেকে কেউ নীচে ঝাঁপ দিলেও বেঁচে যায়। শুধু অফিস বিল্ডিংগুলি নয়, ইয়াংসি নদীর উপর অবস্থিত নানকিং ইয়াংসি ব্রিজটি থেকেও অনেকে আত্মহত্যা করেছে। এটি তৈরি হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০০০-এর বেশি মানুষ আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে এই ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে নদীর পানিতে।

চীনের নাগরিক চেন সি অনবরত চেষ্টা করে চলেছেন এই সংখ্যাটা যাতে ভবিষ্যতে আর না বাড়ে। তিনি প্রতি সপ্তাহে ছুটি পেলেই চলে আসেন এই ব্রিজে। যাঁরা আত্মহত্যা করতে এখানে আসেন, তাদের বাঁচান। মৃত্যুর দরজা থেকে আবার ফিরিয়ে দেন জীবনের পথে। গত ১৩ বছর ধরে এই করেই তিনি অতিবাহিত করছেন তার উইকেন্ডগুলি। এ যাবত ৩০০ এর বেশি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। প্রত্যেকবার যখনই তিনি দেখেন কেউ লাফ দিতে যাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে গিয়ে জাপটে ধরেন তাকে। এমনকি প্রাণ বাঁচানোর পরে অনেক সময়ে তাঁদের থাকার বন্দোবস্তও করে দিতে হয় চেন-কে। যেহেতু পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, যারা এই পর্যন্ত ব্রিজে গেছে আত্মহত্যা করতে, তাদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। অভাবগ্রস্ত জীবন নিয়ে তারা হতাশ। চেন চেষ্টা করেন সেই সমস্ত মানুষের জীবনের অভাবজনিত হতাশা দূর করতে।

সম্প্রতি  একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চেন জানিয়েছেন, তিনি নিজেও একসময় অবসাদে ভুগতেন নিজের পেশা নিয়ে। জীবন নিয়েও হতাশ থাকতেন অধিকাংশ সময়ে। সে সময় এক সহৃদয় ব্যক্তি তাকে সাহায্য করেন। তার থেকে উৎসাহ পেয়েই চেন ঘুরে দাঁড়ান। পরবর্তীকালে একটি ব্যবসা শুরু করেন এবং বিয়েও করেন। বর্তমানে তার একটি মেয়ে রয়েছে। তার কথায়, একা থাকতে থাকতে এমন কিছু সময় আসে, যখন জীবনটা দুর্বিষহ লাগে। ঠিক ওই সময়ে অন্যদের থেকে একটু উৎসাহ দরকার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত

বহু মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু রুখে দিয়েছেন যিনি !

আপডেট সময় : ১০:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চীনের নাগরিক চেন সি (৪৮ ) যে ভাবে তার উইকেন্ডগুলো কাটান, তা জানার পর আমাদের অবাক লাগতে পারে! জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে নিয়মকানুনের কড়াকড়ির ব্যাপারে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চীন। দিনের পর দিন কঠোর নিয়মের বেড়াজালে বন্দি থাকার ফলে মানসিক অবসাদে ভোগেন, এমন মানুষের সংখ্যাও চীনে কম নয়। স্বাভাবিকভাবেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অনেকেই। এজন্য সেখানকার বহুতল অফিসগুলির বাইরে অনেক সময় নেট’র জাল বিছানো থাকে, যাতে ছাদ থেকে কেউ নীচে ঝাঁপ দিলেও বেঁচে যায়। শুধু অফিস বিল্ডিংগুলি নয়, ইয়াংসি নদীর উপর অবস্থিত নানকিং ইয়াংসি ব্রিজটি থেকেও অনেকে আত্মহত্যা করেছে। এটি তৈরি হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০০০-এর বেশি মানুষ আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে এই ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে নদীর পানিতে।

চীনের নাগরিক চেন সি অনবরত চেষ্টা করে চলেছেন এই সংখ্যাটা যাতে ভবিষ্যতে আর না বাড়ে। তিনি প্রতি সপ্তাহে ছুটি পেলেই চলে আসেন এই ব্রিজে। যাঁরা আত্মহত্যা করতে এখানে আসেন, তাদের বাঁচান। মৃত্যুর দরজা থেকে আবার ফিরিয়ে দেন জীবনের পথে। গত ১৩ বছর ধরে এই করেই তিনি অতিবাহিত করছেন তার উইকেন্ডগুলি। এ যাবত ৩০০ এর বেশি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। প্রত্যেকবার যখনই তিনি দেখেন কেউ লাফ দিতে যাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে গিয়ে জাপটে ধরেন তাকে। এমনকি প্রাণ বাঁচানোর পরে অনেক সময়ে তাঁদের থাকার বন্দোবস্তও করে দিতে হয় চেন-কে। যেহেতু পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, যারা এই পর্যন্ত ব্রিজে গেছে আত্মহত্যা করতে, তাদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। অভাবগ্রস্ত জীবন নিয়ে তারা হতাশ। চেন চেষ্টা করেন সেই সমস্ত মানুষের জীবনের অভাবজনিত হতাশা দূর করতে।

সম্প্রতি  একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চেন জানিয়েছেন, তিনি নিজেও একসময় অবসাদে ভুগতেন নিজের পেশা নিয়ে। জীবন নিয়েও হতাশ থাকতেন অধিকাংশ সময়ে। সে সময় এক সহৃদয় ব্যক্তি তাকে সাহায্য করেন। তার থেকে উৎসাহ পেয়েই চেন ঘুরে দাঁড়ান। পরবর্তীকালে একটি ব্যবসা শুরু করেন এবং বিয়েও করেন। বর্তমানে তার একটি মেয়ে রয়েছে। তার কথায়, একা থাকতে থাকতে এমন কিছু সময় আসে, যখন জীবনটা দুর্বিষহ লাগে। ঠিক ওই সময়ে অন্যদের থেকে একটু উৎসাহ দরকার।