শিরোনাম :
Logo শেরপুরে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো ৬ বছরের শিশু জিদান Logo কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ। Logo ড. ইউনূসের নামে দুদকের মামলা বাতিল Logo কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনে ৫ দফা দাবি প্রদান রাবি শিক্ষার্থীদের Logo বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি Logo শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পরও অনশনে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা Logo জাল ভিসা নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দূতাবাসের Logo জাল ভিসা নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দূতাবাসের Logo ইন্টারনেটের খরচ কমানোর ঘোষণা, জানা গেল কোন স্তরে কমছে কত

খুলছে বিশ্বের অর্ধেক শিশুকে অসুস্থ করা ভাইরাস ঠেকানোর রাস্তা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:২৬:২১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

যুগ যুগ ধরে যে ভাইরাসের কারণে কাবু হতে হয়েছে ও হচ্ছে শিশুদের, তার হাত থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ বা টিকা তৈরির সম্ভাবনার দরজাটা অনেকটাই খুলে গেল। এমনটাই মনে করছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা।

শিশুদের জ্বালাতন করা, অসম্ভব ভোগান্তির মূল চক্রী সেই ভাইরাসের নাম- ‘রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস’ বা, ‘আরএসভি’। গবেষণায় এই প্রথম জানা গেছে, ওই ভাইরাসের শরীরে থাকা একটি প্রোটিনের একটি অংশই জন্মের পর শিশুদের যাবতীয় ভোগান্তির প্রধান কারণ।

ওই ভাইরাসের হানায় শিশুদের যে রোগটি হয়, তার নাম- ব্রঙ্কিওলাইটিস। বিশ্বে বছরে গড়ে যত শিশুর (১৩ কোটি) জন্ম হয়, তার অর্ধেকই (সাড়ে ৬ কোটি) আক্রান্ত হয় এই ভাইরাসের হামলায়।

মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসার ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে হয় শিশুদের। কখনো বা তা জন্মের ১ মাসের মধ্যেই আক্রান্ত হয় শিশুরা। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা থাকে শিশুদের।

দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) তেমন জোরদার না হলে বা পুষ্টির অভাব থাকলে বা হার্ট, ফুসফুসের গঠনে জন্মগত ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলে এ ভাইরাসের হামলায় মৃত্যুও হতে পারে শিশুদের।

‘হু’র পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, শুধু আমেরিকাতেই ৫ বছরের নীচে থাকা শিশুদের মধ্যে গড়ে ৫৭ হাজার শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় এই ভাইরাসের হামলার মুখে পড়ায়। ৬০/৬৫ বছর বয়স পেরনোর পর সেই সংখ্যাটা গড়ে ১৪ হাজারের মতো।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘‘অন্তত আরো তিনটি ফেজ ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে এই গবেষণাকে। দেখতে হবে, সেই ওষুধ বা টিকা দামে সস্তা হয় কি না, বাজারে সহজলভ্য হয় কি না। একই সঙ্গে তার ক্ষমতা, কার্যকারিতা বার বার পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। তাই বাজারে আসতে সেই ওষুধ বা টিকার আরো ১৫ বছর লেগে যাবে বলেই মনে হয়। ’’

সূত্র : আনন্দবাজার

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান

খুলছে বিশ্বের অর্ধেক শিশুকে অসুস্থ করা ভাইরাস ঠেকানোর রাস্তা !

আপডেট সময় : ০২:২৬:২১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

যুগ যুগ ধরে যে ভাইরাসের কারণে কাবু হতে হয়েছে ও হচ্ছে শিশুদের, তার হাত থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ বা টিকা তৈরির সম্ভাবনার দরজাটা অনেকটাই খুলে গেল। এমনটাই মনে করছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা।

শিশুদের জ্বালাতন করা, অসম্ভব ভোগান্তির মূল চক্রী সেই ভাইরাসের নাম- ‘রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস’ বা, ‘আরএসভি’। গবেষণায় এই প্রথম জানা গেছে, ওই ভাইরাসের শরীরে থাকা একটি প্রোটিনের একটি অংশই জন্মের পর শিশুদের যাবতীয় ভোগান্তির প্রধান কারণ।

ওই ভাইরাসের হানায় শিশুদের যে রোগটি হয়, তার নাম- ব্রঙ্কিওলাইটিস। বিশ্বে বছরে গড়ে যত শিশুর (১৩ কোটি) জন্ম হয়, তার অর্ধেকই (সাড়ে ৬ কোটি) আক্রান্ত হয় এই ভাইরাসের হামলায়।

মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসার ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে হয় শিশুদের। কখনো বা তা জন্মের ১ মাসের মধ্যেই আক্রান্ত হয় শিশুরা। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা থাকে শিশুদের।

দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) তেমন জোরদার না হলে বা পুষ্টির অভাব থাকলে বা হার্ট, ফুসফুসের গঠনে জন্মগত ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলে এ ভাইরাসের হামলায় মৃত্যুও হতে পারে শিশুদের।

‘হু’র পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, শুধু আমেরিকাতেই ৫ বছরের নীচে থাকা শিশুদের মধ্যে গড়ে ৫৭ হাজার শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় এই ভাইরাসের হামলার মুখে পড়ায়। ৬০/৬৫ বছর বয়স পেরনোর পর সেই সংখ্যাটা গড়ে ১৪ হাজারের মতো।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘‘অন্তত আরো তিনটি ফেজ ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে এই গবেষণাকে। দেখতে হবে, সেই ওষুধ বা টিকা দামে সস্তা হয় কি না, বাজারে সহজলভ্য হয় কি না। একই সঙ্গে তার ক্ষমতা, কার্যকারিতা বার বার পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। তাই বাজারে আসতে সেই ওষুধ বা টিকার আরো ১৫ বছর লেগে যাবে বলেই মনে হয়। ’’

সূত্র : আনন্দবাজার