যে দেশে যে কারণে বাল্যবিয়েতে তার বাধা নেই !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:২৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পাঁচ বছর বয়সি এক শিশু কন্যার বিয়েতে রাজি হয়েছেন অভিভাবক। কিন্তু কেন? জানলে সমালোচনার পরিবর্তে ভালোবাসা জন্মাবে তার প্রতি। চোখের পানি ধরে রাখাটা তখন হয়তো কষ্টকরই হবে।

ঘটনাটি ঘটেছে স্কটল্যান্ডের ফোরেস শহরের মোরে এলাকায়। এই এলাকার বাসিন্দা গেইল প্যাটারসনের পাঁচ বছর বয়সি কন্যা জীবন কী জানার আগেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। দুরারোগ্য নিউরোব্লাস্টোমা ক্যানসারে আক্রান্ত সে। নাম এইলেড। একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে।

এইলেডের জীবনের শেষের দিনগুলো ভালো কাটুক, আরো আনন্দ-ভালোবাসা, ভালোলাগায় কাটুক সে চেষ্টায় কমতি রাখছেন না তার বাবা-মা। এমনকি এইলেডের ইচ্ছাপূরণের তালিকায় ‘বিয়ে’ থাকায় কষ্টের পাথর বুকে চেপে সেটাও হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। তারা মনস্থির করেছেন কন্যার ইচ্ছা পূরণ করবেন।

 


প্রিয় বন্ধু ছয় বছর বয়সি হ্যারিসন গ্রিয়ারকে বিয়ে করতে চেয়েছে এইলেড। তার এই চাওয়া মিলে গেল সবার চাওয়াতে। দুই পরিবারের সম্মতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে হ্যারিসনের কনে হয় এইলেড। বিয়ের অনুষ্ঠানে এইলেডের জন্য ছিল অনেক ধরনের চমক। বিয়ের দিন গোলাপি ফ্রকে ছোট্ট পরীর মতো এইলেডের জীবনের গল্প পড়ে শোনান তার মা গেইল প্যাটারসন। সে গল্পে ছিল একটা অদম্য লড়াইয়ের কাহিনি। একটা হার না মানা জীবনের আখ্যান যেখানে বলা হয়েছে শুরু হয়েই শেষ হতে চলা পথের কথা।

এইলেডের ইচ্ছাপূরণের তালিকায় আরো রয়েছে জলপরীর সঙ্গে সাঁতার, ডলফিনের সঙ্গে সাঁতার, সৈকতে খেলা, ওয়াটার পার্কে যাওয়া ও তুষারপাত দেখা। গোফান্ডমি ডটকম-এর মাধ্যমে ক্যানসার আক্রান্ত পাঁচ বছর বয়সি এইলেডের ইচ্ছাপূরণে ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আ. লীগের ২ নেতাসহ টঙ্গীতে গ্রেপ্তার ৭

যে দেশে যে কারণে বাল্যবিয়েতে তার বাধা নেই !

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:২৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পাঁচ বছর বয়সি এক শিশু কন্যার বিয়েতে রাজি হয়েছেন অভিভাবক। কিন্তু কেন? জানলে সমালোচনার পরিবর্তে ভালোবাসা জন্মাবে তার প্রতি। চোখের পানি ধরে রাখাটা তখন হয়তো কষ্টকরই হবে।

ঘটনাটি ঘটেছে স্কটল্যান্ডের ফোরেস শহরের মোরে এলাকায়। এই এলাকার বাসিন্দা গেইল প্যাটারসনের পাঁচ বছর বয়সি কন্যা জীবন কী জানার আগেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। দুরারোগ্য নিউরোব্লাস্টোমা ক্যানসারে আক্রান্ত সে। নাম এইলেড। একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে।

এইলেডের জীবনের শেষের দিনগুলো ভালো কাটুক, আরো আনন্দ-ভালোবাসা, ভালোলাগায় কাটুক সে চেষ্টায় কমতি রাখছেন না তার বাবা-মা। এমনকি এইলেডের ইচ্ছাপূরণের তালিকায় ‘বিয়ে’ থাকায় কষ্টের পাথর বুকে চেপে সেটাও হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। তারা মনস্থির করেছেন কন্যার ইচ্ছা পূরণ করবেন।

 


প্রিয় বন্ধু ছয় বছর বয়সি হ্যারিসন গ্রিয়ারকে বিয়ে করতে চেয়েছে এইলেড। তার এই চাওয়া মিলে গেল সবার চাওয়াতে। দুই পরিবারের সম্মতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে হ্যারিসনের কনে হয় এইলেড। বিয়ের অনুষ্ঠানে এইলেডের জন্য ছিল অনেক ধরনের চমক। বিয়ের দিন গোলাপি ফ্রকে ছোট্ট পরীর মতো এইলেডের জীবনের গল্প পড়ে শোনান তার মা গেইল প্যাটারসন। সে গল্পে ছিল একটা অদম্য লড়াইয়ের কাহিনি। একটা হার না মানা জীবনের আখ্যান যেখানে বলা হয়েছে শুরু হয়েই শেষ হতে চলা পথের কথা।

এইলেডের ইচ্ছাপূরণের তালিকায় আরো রয়েছে জলপরীর সঙ্গে সাঁতার, ডলফিনের সঙ্গে সাঁতার, সৈকতে খেলা, ওয়াটার পার্কে যাওয়া ও তুষারপাত দেখা। গোফান্ডমি ডটকম-এর মাধ্যমে ক্যানসার আক্রান্ত পাঁচ বছর বয়সি এইলেডের ইচ্ছাপূরণে ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে।