শিরোনাম :
Logo প্যাপিরাস পাঠাগারের নির্বাহী পরিষদের পরিচিতি সভা Logo সাংবাদিকতায় দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ শেষে সনদ গ্রহণ করলেন সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী চাঁদপুর প্রতিনিধি Logo সাকুরা সায়েন্স এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে জাপান যাচ্ছেন খুবির ৭ কৃতী শিক্ষার্থী Logo বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় কয়রায় দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ Logo সিরাজগঞ্জে এইচএসসি ও আলিমে সাত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শতভাগ ফেল Logo পরিবারে ন্যায়বিচার ও সন্তানের অধিকার ইসলাম, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব — তৌফিক সুলতান Logo শ্যামনগরে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস ও ১২টি পা জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড Logo খুবিতে জুলাই বিপ্লব বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহে তদন্ত কমিটি গঠন Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত  পিআর নিয়ে কোনোপ্রকার টালবাহানা দেশের মানুষ বরদাশত করবে না -মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম Logo বাবুরহাটে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির “জনসভা ও র‍্যালী”

আইভি আবারও নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে ১৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রাপ্ত সব ক’টি কেন্দ্রে আইভী পেয়েছেন এক লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট। ফলে ৭৯ হাজার ৫৬৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন ডা: আইভী।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জ কাবের দ্বিতীয় তলায় ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ ক থেকে দুই কেন্দ্রের বেসরকারি ফল জানানোর মধ্য দিয়ে ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামান তালুকদার। সর্বশেষ রাত সাড়ে ৯টার পর সব ক’টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা শেষ হয়।
এর আগে একজন মেয়রসহ ২৭ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৯ জন সংরতি নারী কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়। একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মেয়র পদে সাতজন, সংরতি নারী কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৫৬ জন।
নারায়ণগঞ্জ সিটিতে মোট ভোটার ছিলেন চার লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ ও নারী ভোটার দুই লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন।
এর আগে ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর এই সিটির প্রথম নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী পান এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট। অন্য দিকে ৭৮ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে তার নিকটতম অবস্থানে ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান। ওই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার ভোটের মাত্র ৮ ঘণ্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তার পরও তিনি পান সাত হাজার ৫০০ ভোট।
এর আগে ফলাফল ঘোষণার সাথে সাথে নৌকা ও ধানের শীষের ভোটের ব্যবধান বাড়তে থাকে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও নৌকা সমর্থকরা ধীরে ধীরে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন। একপর্যায়ে আইভীর বিজয় নিশ্চিত হয়ে গেলে তারা খ খ মিছিল ও সেøাগানে পুরো শহর মুখরিত করে তোলেন। দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত ডা: আইভীও এ সময় আপামর জনগণের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
এ দিকে, ১৭৪টির মধ্যে সবগুলোর কেন্দ্র ঘোষিত ফলাফল অনুসারে ২৭ সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্য আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা জয় পেয়েছেন ১৫টিতে। আর বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৯ ওয়ার্ডে। এ ছাড়া দুইটি ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টি ও একটিতে বাসদ সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নগরের চাষাঢ়া মোড় থেকে নারায়ণগঞ্জ কাবের নিয়ন্ত্রণ ক পর্যন্ত এলাকায় যান চলাচল সীমিত করে দেয়া হয়। নিয়ন্ত্রণ করে বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য অবস্থান নেন।
এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সাখাওয়াত হোসেন খান সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সাথে জনরায় মেনে নেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্যাপিরাস পাঠাগারের নির্বাহী পরিষদের পরিচিতি সভা

আইভি আবারও নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত!

আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে ১৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রাপ্ত সব ক’টি কেন্দ্রে আইভী পেয়েছেন এক লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট। ফলে ৭৯ হাজার ৫৬৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন ডা: আইভী।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জ কাবের দ্বিতীয় তলায় ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ ক থেকে দুই কেন্দ্রের বেসরকারি ফল জানানোর মধ্য দিয়ে ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামান তালুকদার। সর্বশেষ রাত সাড়ে ৯টার পর সব ক’টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা শেষ হয়।
এর আগে একজন মেয়রসহ ২৭ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৯ জন সংরতি নারী কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়। একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মেয়র পদে সাতজন, সংরতি নারী কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৫৬ জন।
নারায়ণগঞ্জ সিটিতে মোট ভোটার ছিলেন চার লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ ও নারী ভোটার দুই লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন।
এর আগে ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর এই সিটির প্রথম নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী পান এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট। অন্য দিকে ৭৮ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে তার নিকটতম অবস্থানে ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান। ওই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার ভোটের মাত্র ৮ ঘণ্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তার পরও তিনি পান সাত হাজার ৫০০ ভোট।
এর আগে ফলাফল ঘোষণার সাথে সাথে নৌকা ও ধানের শীষের ভোটের ব্যবধান বাড়তে থাকে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও নৌকা সমর্থকরা ধীরে ধীরে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন। একপর্যায়ে আইভীর বিজয় নিশ্চিত হয়ে গেলে তারা খ খ মিছিল ও সেøাগানে পুরো শহর মুখরিত করে তোলেন। দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত ডা: আইভীও এ সময় আপামর জনগণের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
এ দিকে, ১৭৪টির মধ্যে সবগুলোর কেন্দ্র ঘোষিত ফলাফল অনুসারে ২৭ সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্য আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা জয় পেয়েছেন ১৫টিতে। আর বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৯ ওয়ার্ডে। এ ছাড়া দুইটি ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টি ও একটিতে বাসদ সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নগরের চাষাঢ়া মোড় থেকে নারায়ণগঞ্জ কাবের নিয়ন্ত্রণ ক পর্যন্ত এলাকায় যান চলাচল সীমিত করে দেয়া হয়। নিয়ন্ত্রণ করে বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য অবস্থান নেন।
এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সাখাওয়াত হোসেন খান সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সাথে জনরায় মেনে নেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী।