শিরোনাম :
Logo জীবননগরে ডিবির অভিযান, গাঁজাসহ আটক ২ Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রকল্যাণের নবীনবরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুরে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাবের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল Logo ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo যে ভিটামিনের অভাবে স্মৃতিশক্তি কমে যায় Logo রোজায় সুস্থ থাকতে বিভিন্ন শরবত ও পানীয়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা Logo কুবিতে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ; প্রমাণ বিনষ্টসহ ৫ দাবি শিক্ষার্থীদের Logo হাবিপ্রবি শস্যবৃত্ত সংগঠনের নেতৃত্বে সৌরভ ও আকাশ Logo মুন্সিগঞ্জে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। Logo কানাডায় টপ টোয়েন্টি অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তারিফ মাহমুদ

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: ভিকটিমের বক্তব্য পায়নি পিবিআই!

  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:১৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে শ্লীলতাহানির ঘটনায় কোনও ভিকটিমের বক্তব্যই পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরই মধ্যে মঙ্গলবার এক আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর পরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় আমাদের শুধু ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত চালাতে হয়েছে। একজন ভিকটিমকেও পাওয়া যায়নি। ফুটেজ দেখে এটা নিশ্চিত যে অনেকে সেখানে অ্যাসল্ট হয়েছেন। কিন্তু লোকলজ্জা বা সামাজিকতার ভয়ে কেউ পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। সেটা পাওয়া গেলে তদন্তের কাজটা আমাদের জন্য আরও সহজ হতো। ভিকটিম না পাওয়া গেলেও প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দীসহ অন্যান্যদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাই ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি কামাল ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ  দেখে ওই ঘটনার জন্য ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে একজন কামাল। বাকিদের পরিচয় খুঁজে না পাওয়ায় কামালকেই আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়েছে। কামাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসামিনিজে স্বীকার করেছে সে তখন ঘটনাস্থলে ছিল। তবে শ্লীনতাহানি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ কাজ করেছে কেউ একথা স্বীকার করে নাকি? ফুটেজে অবশ্য স্পষ্ট দেখা গেছে, সে নারীদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি বলেন, এই মূহুর্তে একজন গ্রেপ্তার থাকায় শুধু তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭ জনকে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হবে জানান।

বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পিবিআই-এর কর্মকর্তা বলেন, লাখ-লাখ মানুষের মাঝে এই সাতজনকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছি। এছাড়া সোর্সদের কাছে প্রকাশিত ছবিগুলো পাঠানো হয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমেরও সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

 

 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জীবননগরে ডিবির অভিযান, গাঁজাসহ আটক ২

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: ভিকটিমের বক্তব্য পায়নি পিবিআই!

আপডেট সময় : ০৪:৩১:১৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে শ্লীলতাহানির ঘটনায় কোনও ভিকটিমের বক্তব্যই পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরই মধ্যে মঙ্গলবার এক আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর পরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় আমাদের শুধু ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত চালাতে হয়েছে। একজন ভিকটিমকেও পাওয়া যায়নি। ফুটেজ দেখে এটা নিশ্চিত যে অনেকে সেখানে অ্যাসল্ট হয়েছেন। কিন্তু লোকলজ্জা বা সামাজিকতার ভয়ে কেউ পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। সেটা পাওয়া গেলে তদন্তের কাজটা আমাদের জন্য আরও সহজ হতো। ভিকটিম না পাওয়া গেলেও প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দীসহ অন্যান্যদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাই ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি কামাল ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ  দেখে ওই ঘটনার জন্য ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে একজন কামাল। বাকিদের পরিচয় খুঁজে না পাওয়ায় কামালকেই আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়েছে। কামাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসামিনিজে স্বীকার করেছে সে তখন ঘটনাস্থলে ছিল। তবে শ্লীনতাহানি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ কাজ করেছে কেউ একথা স্বীকার করে নাকি? ফুটেজে অবশ্য স্পষ্ট দেখা গেছে, সে নারীদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি বলেন, এই মূহুর্তে একজন গ্রেপ্তার থাকায় শুধু তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭ জনকে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হবে জানান।

বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পিবিআই-এর কর্মকর্তা বলেন, লাখ-লাখ মানুষের মাঝে এই সাতজনকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছি। এছাড়া সোর্সদের কাছে প্রকাশিত ছবিগুলো পাঠানো হয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমেরও সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।