শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: ভিকটিমের বক্তব্য পায়নি পিবিআই!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:১৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮১৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে শ্লীলতাহানির ঘটনায় কোনও ভিকটিমের বক্তব্যই পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরই মধ্যে মঙ্গলবার এক আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর পরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় আমাদের শুধু ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত চালাতে হয়েছে। একজন ভিকটিমকেও পাওয়া যায়নি। ফুটেজ দেখে এটা নিশ্চিত যে অনেকে সেখানে অ্যাসল্ট হয়েছেন। কিন্তু লোকলজ্জা বা সামাজিকতার ভয়ে কেউ পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। সেটা পাওয়া গেলে তদন্তের কাজটা আমাদের জন্য আরও সহজ হতো। ভিকটিম না পাওয়া গেলেও প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দীসহ অন্যান্যদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাই ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি কামাল ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ  দেখে ওই ঘটনার জন্য ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে একজন কামাল। বাকিদের পরিচয় খুঁজে না পাওয়ায় কামালকেই আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়েছে। কামাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসামিনিজে স্বীকার করেছে সে তখন ঘটনাস্থলে ছিল। তবে শ্লীনতাহানি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ কাজ করেছে কেউ একথা স্বীকার করে নাকি? ফুটেজে অবশ্য স্পষ্ট দেখা গেছে, সে নারীদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি বলেন, এই মূহুর্তে একজন গ্রেপ্তার থাকায় শুধু তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭ জনকে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হবে জানান।

বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পিবিআই-এর কর্মকর্তা বলেন, লাখ-লাখ মানুষের মাঝে এই সাতজনকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছি। এছাড়া সোর্সদের কাছে প্রকাশিত ছবিগুলো পাঠানো হয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমেরও সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

 

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: ভিকটিমের বক্তব্য পায়নি পিবিআই!

আপডেট সময় : ০৪:৩১:১৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে শ্লীলতাহানির ঘটনায় কোনও ভিকটিমের বক্তব্যই পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরই মধ্যে মঙ্গলবার এক আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর পরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় আমাদের শুধু ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত চালাতে হয়েছে। একজন ভিকটিমকেও পাওয়া যায়নি। ফুটেজ দেখে এটা নিশ্চিত যে অনেকে সেখানে অ্যাসল্ট হয়েছেন। কিন্তু লোকলজ্জা বা সামাজিকতার ভয়ে কেউ পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। সেটা পাওয়া গেলে তদন্তের কাজটা আমাদের জন্য আরও সহজ হতো। ভিকটিম না পাওয়া গেলেও প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দীসহ অন্যান্যদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাই ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি কামাল ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ  দেখে ওই ঘটনার জন্য ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে একজন কামাল। বাকিদের পরিচয় খুঁজে না পাওয়ায় কামালকেই আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়েছে। কামাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসামিনিজে স্বীকার করেছে সে তখন ঘটনাস্থলে ছিল। তবে শ্লীনতাহানি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ কাজ করেছে কেউ একথা স্বীকার করে নাকি? ফুটেজে অবশ্য স্পষ্ট দেখা গেছে, সে নারীদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি বলেন, এই মূহুর্তে একজন গ্রেপ্তার থাকায় শুধু তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭ জনকে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হবে জানান।

বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পিবিআই-এর কর্মকর্তা বলেন, লাখ-লাখ মানুষের মাঝে এই সাতজনকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছি। এছাড়া সোর্সদের কাছে প্রকাশিত ছবিগুলো পাঠানো হয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমেরও সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।