শিরোনাম :
Logo আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের নেতৃত্বেই প্রয়োজন : খুবি উপাচার্য Logo বিশ্বের বড় কমেডি উৎসব সৌদি আরবে Logo রাবিতে ভর্তিতে জালিয়াতির অভিযোগে ১ শিক্ষার্থী আটক Logo মতলবে হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র পক্ষে লিফলেট বিতরণ Logo ব্যান্ডশিল্পী রাতুল মারা গেছেন Logo গাজায় বোমা হামলা ও অনাহারে আরও ৭১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু Logo যবিপ্রবিতে শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষা যাত্রায় শুভেচ্ছা ও প্রত্যাবর্তনে সংবর্ধনা- ২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo প্রধানমন্ত্রী পদে একজন ১০ বছরের বেশি নয়, একমত সব দল Logo থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বললেন ট্রাম্প Logo চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কর্মসূচি শুরু জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ, পুরো পৌর এলাকায় চলবে স্প্রে কার্যক্রম

স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি জনগণ মানবে না

  • আপডেট সময় : ০১:২৩:১৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে ঝুলে থাকা তিস্তার পানির হিস্যাসহ ন্যায্য দাবিতে এবং দেশের স্বার্থবিরোধী ‘প্রতিরক্ষা চুক্তি’ করার উদ্যোগের প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সমাবেশের আয়োজন করে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্তে হত্যা, টিপাইমুখ বাঁধ, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাণিজ্য ঘাটতিসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার অমীংমাসিত অনেক বিরোধ দীর্ঘদিন ঝুলে আছে। জনগণ আশা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে এসব বিষয়ে সমাধান হবে। বিশেষ করে বহু আকাঙ্খিত ‘তিস্তা চুক্তি’ স্বাক্ষর হবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে বাদ দিয়ে ভারতের স্বার্থে ‘প্রতিরক্ষা চুক্তি’ স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না।

কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, সকল নিয়ম-কানুন ভেঙে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি ভারত এক তরফাভাবে প্রত্যাহার করায় বাংলাদেশ মরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মরুকরণের হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে তিস্তাসহ সকল অভিন্ন নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, আন্তরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করতে হলে, বাংলাদেশের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, সিপিবির ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সাজেদুল হক রুবেল। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের নেতৃত্বেই প্রয়োজন : খুবি উপাচার্য

স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি জনগণ মানবে না

আপডেট সময় : ০১:২৩:১৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে ঝুলে থাকা তিস্তার পানির হিস্যাসহ ন্যায্য দাবিতে এবং দেশের স্বার্থবিরোধী ‘প্রতিরক্ষা চুক্তি’ করার উদ্যোগের প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সমাবেশের আয়োজন করে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্তে হত্যা, টিপাইমুখ বাঁধ, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাণিজ্য ঘাটতিসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার অমীংমাসিত অনেক বিরোধ দীর্ঘদিন ঝুলে আছে। জনগণ আশা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে এসব বিষয়ে সমাধান হবে। বিশেষ করে বহু আকাঙ্খিত ‘তিস্তা চুক্তি’ স্বাক্ষর হবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে বাদ দিয়ে ভারতের স্বার্থে ‘প্রতিরক্ষা চুক্তি’ স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না।

কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, সকল নিয়ম-কানুন ভেঙে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি ভারত এক তরফাভাবে প্রত্যাহার করায় বাংলাদেশ মরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মরুকরণের হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে তিস্তাসহ সকল অভিন্ন নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, আন্তরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করতে হলে, বাংলাদেশের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, সিপিবির ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সাজেদুল হক রুবেল। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।