শিরোনাম :
Logo টেফনাফে অপার সম্ভাবনাময় সৌন্দর্য ও সীমান্ত বানিজ্য বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র Logo ছাত্রদলসহ অধিকাংশ সংগঠন ঢাবির হলে রাজনীতির পক্ষে, গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধের প্রস্তাব Logo ‘কাজ শেষ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই’, গাজা দখল পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহু Logo রিজার্ভ বেড়ে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলারে Logo যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ায় বিদেশ থেকে ফোনে তালাক Logo জাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ১৬ আগস্টের মধ্যে অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ Logo চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা স্ক্র্যাপের কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় বস্তু শনাক্ত Logo দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল Logo কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সেকেন্ড এ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ জারি Logo অগ্নিকাণ্ডের পর পুনরায় খুলে দেওয়া হল স্পেনের ঐতিহাসিক মসজিদ ক্যাথেড্রাল

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা স্ক্র্যাপের কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় বস্তু শনাক্ত

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:২৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫
  • ৭০৯ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিল থেকে আনা লোহার স্ক্র্যাপ (ভাঙ্গারি) বোঝাই একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় বস্তু থাকার সন্দেহে তা বিশেষ এলাকায় পৃথক করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পরমাণু শক্তি কমিশনকে জানিয়েছে বন্দর কতৃপক্ষ।

রোববার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ঢাকার ডেমরার এক আমদানিকারক ব্রাজিল থেকে ১৩৫ টন ওজনের ৫টি স্ক্র্যাপবাহী কনটেইনার আনে। গত ৩ আগস্ট বন্দরের জিসিবি টার্মিনালের ৯ নম্বর জেটিতে এমভি মাউন্ট ক্যামেরুন নামের জাহাজ থেকে কনটেইনারগুলো নামিয়ে রাখা হয়।

পরে গত বুধবার বন্দর ৪ নম্বর ফটক দিয়ে কনটেইনার খালাস নেয়ার সময় ‘মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকটিভ’ সিস্টেম যন্ত্রে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়। এরপর কনটেইনার খালাস স্থগিত করা হয়।

কনটেইনারটি ব্রাজিল থেকে নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা, কলম্বোসহ চারটি বন্দর ঘুরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। বর্তমানে আলাদা করে রাখা হয়েছে। পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তারা এসে পরিক্ষা-নিরীক্ষার পর তেজস্ক্রিয়তার প্রকৃত মাত্রা জানা যাবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত তথ্য জানাননি।

কাস্টমস নথি অনুযায়ী, ঢাকাভিত্তিক আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড এই চালানটি আমদানি করেছে। এটি গত ৩ আগস্ট এমভি মাউন্ট ক্যামেরুন জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। চালানে মোট ১৩৫ টন স্ক্র্যাপের পাঁচটি কনটেইনার ছিল, যা কোম্পানিটির ডেমরা কারখানার জন্য আনা হয়েছে।

প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ের স্ক্রিনিংয়ে কনটেইনারের ভেতরে থোরিয়াম-২৩২, রেডিয়াম-২২৬ এবং ইরিডিয়াম-১৯২ আইসোটোপ শনাক্ত হয়। প্রাথমিকভাবে এক মাইক্রোসিভার্ট মাত্রা রেকর্ড হলেও, কাস্টমস কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন স্ক্র্যাপ ও কনটেইনারের দেয়ালের কারণে প্রকৃত মাত্রা আরো বেশি হতে পারে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মো: সাইদুল ইসলাম জানান, কনটেইনারটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। তারা বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেফনাফে অপার সম্ভাবনাময় সৌন্দর্য ও সীমান্ত বানিজ্য বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা স্ক্র্যাপের কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় বস্তু শনাক্ত

আপডেট সময় : ১১:০৯:২৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিল থেকে আনা লোহার স্ক্র্যাপ (ভাঙ্গারি) বোঝাই একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় বস্তু থাকার সন্দেহে তা বিশেষ এলাকায় পৃথক করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পরমাণু শক্তি কমিশনকে জানিয়েছে বন্দর কতৃপক্ষ।

রোববার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ঢাকার ডেমরার এক আমদানিকারক ব্রাজিল থেকে ১৩৫ টন ওজনের ৫টি স্ক্র্যাপবাহী কনটেইনার আনে। গত ৩ আগস্ট বন্দরের জিসিবি টার্মিনালের ৯ নম্বর জেটিতে এমভি মাউন্ট ক্যামেরুন নামের জাহাজ থেকে কনটেইনারগুলো নামিয়ে রাখা হয়।

পরে গত বুধবার বন্দর ৪ নম্বর ফটক দিয়ে কনটেইনার খালাস নেয়ার সময় ‘মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকটিভ’ সিস্টেম যন্ত্রে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়। এরপর কনটেইনার খালাস স্থগিত করা হয়।

কনটেইনারটি ব্রাজিল থেকে নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা, কলম্বোসহ চারটি বন্দর ঘুরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। বর্তমানে আলাদা করে রাখা হয়েছে। পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তারা এসে পরিক্ষা-নিরীক্ষার পর তেজস্ক্রিয়তার প্রকৃত মাত্রা জানা যাবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত তথ্য জানাননি।

কাস্টমস নথি অনুযায়ী, ঢাকাভিত্তিক আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড এই চালানটি আমদানি করেছে। এটি গত ৩ আগস্ট এমভি মাউন্ট ক্যামেরুন জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। চালানে মোট ১৩৫ টন স্ক্র্যাপের পাঁচটি কনটেইনার ছিল, যা কোম্পানিটির ডেমরা কারখানার জন্য আনা হয়েছে।

প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ের স্ক্রিনিংয়ে কনটেইনারের ভেতরে থোরিয়াম-২৩২, রেডিয়াম-২২৬ এবং ইরিডিয়াম-১৯২ আইসোটোপ শনাক্ত হয়। প্রাথমিকভাবে এক মাইক্রোসিভার্ট মাত্রা রেকর্ড হলেও, কাস্টমস কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন স্ক্র্যাপ ও কনটেইনারের দেয়ালের কারণে প্রকৃত মাত্রা আরো বেশি হতে পারে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মো: সাইদুল ইসলাম জানান, কনটেইনারটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। তারা বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।