শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী  Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে

সরকারী কর্মকর্তা কতৃক খাস জমি দখল করে পাকা বিল্ডিং নির্মাণে সহযোগীতা প্রদান !

  • আপডেট সময় : ১২:২৭:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০১৭
  • ৭৮৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলাধীন মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের পুড়াপাড়া বাজারের সরকারী খাস জমিতে মান্দারবাড়ীয়া (জোঁকা) ভূমি অফিসের তহশীলদার আতিয়ার রহমানের সহযোগীতায় রাতারাতি পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে। খোদ সরকারী কর্মকর্তা পাকা বিল্ডিং নির্মাণে সহযোগীতা করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানাগেছে পুড়াপাড়া বাজারে সরকারী খাস জমি আছে ৭ একর ২২ শতক। কিন্তু বিভিন্ন সময় মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদের সহযোগীতায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বাজারের খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করতে শুরু করেন।

পরবর্তীতে দেখা গেছে ঐ দোকান ঘর গুলো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দোকানের মালিকানা অন্যের কাছে বিক্রি করে নতুন করে খাস জমি দখল করে। এ ভাবে তারা একের পর এক খাস জমি দখল করে আর দোকান তৈরী করে বিক্রি করে দেয়। দখলবাজদের কারণে বর্তমান পুড়াপাড়া বাজারে ১ শতক জমিও পড়ে নেই। গত ২৩ মার্চ পুড়াপাড়া বাজারের চুরি পট্টিতে মোঃ নূরুল ইসলাম ও মোন্তাজ আলী নামে ২জন দোকানদার এবং কাটগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ডাঃ মুজিবর রহমান সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তহশীলদার আতিয়ার রহমানের সাথে চুক্তি করে বিনা বাধায় পাকা বিল্ডিং করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশাফুর রহমানকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক তহশীলদার আতিয়ার রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠান। কিন্তু তহশীলদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জানায়, সেখানে শুধু মাত্র টিনের ছাউনি ঠিক করছে। ২৪ মার্চ ঘটনাস্থলে গেলে দেখা গেছে ঘর ২টি রাতারাতি ১০ ইঞ্চি গাথুনি দিয়ে ছাদের প্লান করে লিন্টন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৩ মার্চ রাত আনুমানিক ১২টার সময় ঐ ২টি দোকানে রাজ মিস্ত্রিরা কাজ করছিল।

এ ব্যাপারে তহশীলদার আতিয়ার রহমানের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার কাছে টিন পাল্টানোর কথা বলেছে। যদি ১০ ইঞ্চি গাথুনি ও লিন্টন দিয়ে থাকে তাহলে ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এছাড়াও সরকারী জমিতে অনুমোদন ছাড়া ঘর নির্মাণ ও টিনের ছাউনি কি ভাবে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো জানতে চাইলে তহশীলদার কোন উত্তর না দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী

সরকারী কর্মকর্তা কতৃক খাস জমি দখল করে পাকা বিল্ডিং নির্মাণে সহযোগীতা প্রদান !

আপডেট সময় : ১২:২৭:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলাধীন মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের পুড়াপাড়া বাজারের সরকারী খাস জমিতে মান্দারবাড়ীয়া (জোঁকা) ভূমি অফিসের তহশীলদার আতিয়ার রহমানের সহযোগীতায় রাতারাতি পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে। খোদ সরকারী কর্মকর্তা পাকা বিল্ডিং নির্মাণে সহযোগীতা করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানাগেছে পুড়াপাড়া বাজারে সরকারী খাস জমি আছে ৭ একর ২২ শতক। কিন্তু বিভিন্ন সময় মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদের সহযোগীতায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বাজারের খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করতে শুরু করেন।

পরবর্তীতে দেখা গেছে ঐ দোকান ঘর গুলো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দোকানের মালিকানা অন্যের কাছে বিক্রি করে নতুন করে খাস জমি দখল করে। এ ভাবে তারা একের পর এক খাস জমি দখল করে আর দোকান তৈরী করে বিক্রি করে দেয়। দখলবাজদের কারণে বর্তমান পুড়াপাড়া বাজারে ১ শতক জমিও পড়ে নেই। গত ২৩ মার্চ পুড়াপাড়া বাজারের চুরি পট্টিতে মোঃ নূরুল ইসলাম ও মোন্তাজ আলী নামে ২জন দোকানদার এবং কাটগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ডাঃ মুজিবর রহমান সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তহশীলদার আতিয়ার রহমানের সাথে চুক্তি করে বিনা বাধায় পাকা বিল্ডিং করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশাফুর রহমানকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক তহশীলদার আতিয়ার রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠান। কিন্তু তহশীলদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জানায়, সেখানে শুধু মাত্র টিনের ছাউনি ঠিক করছে। ২৪ মার্চ ঘটনাস্থলে গেলে দেখা গেছে ঘর ২টি রাতারাতি ১০ ইঞ্চি গাথুনি দিয়ে ছাদের প্লান করে লিন্টন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৩ মার্চ রাত আনুমানিক ১২টার সময় ঐ ২টি দোকানে রাজ মিস্ত্রিরা কাজ করছিল।

এ ব্যাপারে তহশীলদার আতিয়ার রহমানের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার কাছে টিন পাল্টানোর কথা বলেছে। যদি ১০ ইঞ্চি গাথুনি ও লিন্টন দিয়ে থাকে তাহলে ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এছাড়াও সরকারী জমিতে অনুমোদন ছাড়া ঘর নির্মাণ ও টিনের ছাউনি কি ভাবে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো জানতে চাইলে তহশীলদার কোন উত্তর না দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেন।