শিরোনাম :
Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। Logo পাইকোশায় ধানের চাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিথ্যা মামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ Logo ইবিতে দুর্গাপূজার মধ্যে পরীক্ষা না নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি Logo চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo কয়রা হরিণের মাংস উদ্ধার Logo শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ইবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজে নবগঠিত গভর্নিংবডি পরিচিতি ও মতবিনিময়ে ভরপুর ছিলো প্রাণের উচ্ছ্বাস

সরকারী কর্মকর্তা কতৃক খাস জমি দখল করে পাকা বিল্ডিং নির্মাণে সহযোগীতা প্রদান !

  • আপডেট সময় : ১২:২৭:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০১৭
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলাধীন মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের পুড়াপাড়া বাজারের সরকারী খাস জমিতে মান্দারবাড়ীয়া (জোঁকা) ভূমি অফিসের তহশীলদার আতিয়ার রহমানের সহযোগীতায় রাতারাতি পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে। খোদ সরকারী কর্মকর্তা পাকা বিল্ডিং নির্মাণে সহযোগীতা করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানাগেছে পুড়াপাড়া বাজারে সরকারী খাস জমি আছে ৭ একর ২২ শতক। কিন্তু বিভিন্ন সময় মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদের সহযোগীতায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বাজারের খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করতে শুরু করেন।

পরবর্তীতে দেখা গেছে ঐ দোকান ঘর গুলো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দোকানের মালিকানা অন্যের কাছে বিক্রি করে নতুন করে খাস জমি দখল করে। এ ভাবে তারা একের পর এক খাস জমি দখল করে আর দোকান তৈরী করে বিক্রি করে দেয়। দখলবাজদের কারণে বর্তমান পুড়াপাড়া বাজারে ১ শতক জমিও পড়ে নেই। গত ২৩ মার্চ পুড়াপাড়া বাজারের চুরি পট্টিতে মোঃ নূরুল ইসলাম ও মোন্তাজ আলী নামে ২জন দোকানদার এবং কাটগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ডাঃ মুজিবর রহমান সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তহশীলদার আতিয়ার রহমানের সাথে চুক্তি করে বিনা বাধায় পাকা বিল্ডিং করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশাফুর রহমানকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক তহশীলদার আতিয়ার রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠান। কিন্তু তহশীলদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জানায়, সেখানে শুধু মাত্র টিনের ছাউনি ঠিক করছে। ২৪ মার্চ ঘটনাস্থলে গেলে দেখা গেছে ঘর ২টি রাতারাতি ১০ ইঞ্চি গাথুনি দিয়ে ছাদের প্লান করে লিন্টন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৩ মার্চ রাত আনুমানিক ১২টার সময় ঐ ২টি দোকানে রাজ মিস্ত্রিরা কাজ করছিল।

এ ব্যাপারে তহশীলদার আতিয়ার রহমানের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার কাছে টিন পাল্টানোর কথা বলেছে। যদি ১০ ইঞ্চি গাথুনি ও লিন্টন দিয়ে থাকে তাহলে ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এছাড়াও সরকারী জমিতে অনুমোদন ছাড়া ঘর নির্মাণ ও টিনের ছাউনি কি ভাবে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো জানতে চাইলে তহশীলদার কোন উত্তর না দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক

সরকারী কর্মকর্তা কতৃক খাস জমি দখল করে পাকা বিল্ডিং নির্মাণে সহযোগীতা প্রদান !

আপডেট সময় : ১২:২৭:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলাধীন মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের পুড়াপাড়া বাজারের সরকারী খাস জমিতে মান্দারবাড়ীয়া (জোঁকা) ভূমি অফিসের তহশীলদার আতিয়ার রহমানের সহযোগীতায় রাতারাতি পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে। খোদ সরকারী কর্মকর্তা পাকা বিল্ডিং নির্মাণে সহযোগীতা করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানাগেছে পুড়াপাড়া বাজারে সরকারী খাস জমি আছে ৭ একর ২২ শতক। কিন্তু বিভিন্ন সময় মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদের সহযোগীতায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বাজারের খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করতে শুরু করেন।

পরবর্তীতে দেখা গেছে ঐ দোকান ঘর গুলো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দোকানের মালিকানা অন্যের কাছে বিক্রি করে নতুন করে খাস জমি দখল করে। এ ভাবে তারা একের পর এক খাস জমি দখল করে আর দোকান তৈরী করে বিক্রি করে দেয়। দখলবাজদের কারণে বর্তমান পুড়াপাড়া বাজারে ১ শতক জমিও পড়ে নেই। গত ২৩ মার্চ পুড়াপাড়া বাজারের চুরি পট্টিতে মোঃ নূরুল ইসলাম ও মোন্তাজ আলী নামে ২জন দোকানদার এবং কাটগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ডাঃ মুজিবর রহমান সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তহশীলদার আতিয়ার রহমানের সাথে চুক্তি করে বিনা বাধায় পাকা বিল্ডিং করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশাফুর রহমানকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক তহশীলদার আতিয়ার রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠান। কিন্তু তহশীলদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জানায়, সেখানে শুধু মাত্র টিনের ছাউনি ঠিক করছে। ২৪ মার্চ ঘটনাস্থলে গেলে দেখা গেছে ঘর ২টি রাতারাতি ১০ ইঞ্চি গাথুনি দিয়ে ছাদের প্লান করে লিন্টন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৩ মার্চ রাত আনুমানিক ১২টার সময় ঐ ২টি দোকানে রাজ মিস্ত্রিরা কাজ করছিল।

এ ব্যাপারে তহশীলদার আতিয়ার রহমানের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার কাছে টিন পাল্টানোর কথা বলেছে। যদি ১০ ইঞ্চি গাথুনি ও লিন্টন দিয়ে থাকে তাহলে ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এছাড়াও সরকারী জমিতে অনুমোদন ছাড়া ঘর নির্মাণ ও টিনের ছাউনি কি ভাবে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো জানতে চাইলে তহশীলদার কোন উত্তর না দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেন।