ইসরাইলি সেনাবাহিনী তারা মঙ্গলবার ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছে।
জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হুথিরা ইসরাইলে ড্রোন হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলি বিমানবাহিনী সাইরেন বাজানোর পর, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে।’
হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেলিগ্রামে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ফিলিস্তিন ২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইয়াফা দখলকৃত এলাকার লদ বিমান বন্দরকে লক্ষ্য করে একটি সামরিক হামলা পরিচালনা করেছে।’
তিনি বলেন, অভিযানটি তার লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং ‘লাখ লাখ দখলদার ইহুদিবাদীদের আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। এই হামলার কারণে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
এই হামলাটি প্রতিহতের পর, ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেন, ‘ইয়েমেনের সঙ্গেও তেহরানের মতো আচরণ করা হবে’, যা স্পষ্টতই ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করে। ওই যুদ্ধের সময়ে ইসরাইল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনার পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।
কাটজের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,‘তেহরানে সাপের মাথায় আঘাত করার পর, আমরা ইয়েমেনের হুথিদের ওপরও হামলা করব। যে কেউ ইসরাইলের বিরুদ্ধে হাত তুলবে তার হাত কেটে ফেলা হবে।’
হামাসের ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে হামলার ফলে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথিরা তাদের ফিলিস্তিনি মিত্রকে সহায়তার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
সারির টেলিগ্রাম এক পোস্টে ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনের ইয়াফা, আশকেলন এবং উম্ম আল-রাশ অঞ্চলে ইসরাইলি শত্রুর সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে’ ড্রোন হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
শনিবার হুথিরা জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা ২৪ জুন ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধের অবসান ঘটানোর পর হুথি কর্তৃক ঘোষিত ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ।
হুথিরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কাজ করছে বলে দাবি করে।
তারা মার্চ মাসে শেষ হওয়া গাজায় দুই মাসের যুদ্ধ বিরতির সময় তাদের হামলা স্থগিত করেছিল। কিন্তু ইসরাইল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর, হামলা শুরু করে।
ইয়েমেনে হুথি-অধিষ্ঠিত বন্দর ও বিদ্রোহী-অধিষ্ঠিত রাজধানী সানার বিমানবন্দর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।