নিউজ ডেস্ক:
দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে ভবনের ভিতর আটকে পড়া সবাইকে নিরপাদে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। অপারেশন টোয়ালাইট নামের এ অভিযানে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডোরা অংশ নিচ্ছেন। অভিযান এখনো চলছে।
সকাল পৌনে ৯টার দিকে শুরু হওয়া অপারেশন টোয়ালাইট নামের এ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন। অভিযানকালে আতিয়া মহল থেকে দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে কোন পক্ষ থেকে গুলি করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, সকাল ৯ টা ৫০ মিনিট থেকে সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এর মধ্যেই চলতে থাকে অভিযান। সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ অপরেশন ‘স্প্রিং রেইন’ নামে অভিযান শুরুর কথা বলা হয়েছিল। তবে সেনাবাহিনী এ নাম পরিবর্তন করে অপারেশন ‘টোয়ালাইট’ রেখেছে।
এর আগে সকাল ৮টায় ঘটনাস্থলের আশপাশে উপস্থিত সাংবাদিকসহ উৎসুক জনতাকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, জঙ্গি আস্তানার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গত রাতে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি পাঠানপাড়ায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ‘আতিয়া মহল’ নামের পাঁচতলা একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এর আগে ওই এলাকায় ব্লক রেইড করে আস্তানাটি চিহ্নিত করা হয়। এসময় পুলিশ ভবনে জঙ্গিদের কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। সকালে ঘটনাস্থলের পাশের ভবন থেকে কমপক্ষে ৭০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয় পুলিশ।
ঘিরে ফেলার পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। তবে ওইদিক থেকে কোন সাড়া মেলেনি। পরে সোয়াট সদস্যদের সঙ্গে অভিযানে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যদের তলব করা হয়। প্যারা কমান্ডো ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা বাসার ভেতরে ও চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন।







































