শ্যামনগর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাকির হোসেনর বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • ৭১৩ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্তৃক কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরন, অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রক্তিম ইসলাম বলেন, আমার বেতন ভাতাদী পরিশোধ না করে কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। কর্মচারীদের ভ্রমন খাতের বরাদ্দ থেকে কৌশলে কয়েকজন কর্মচারীদের ব্যবহার করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিজে গ্রহণ করেন।

তিনি আরো বলেন, মেডিকেল অফিসার (এম ও এম সি এইচ এফ পি) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপপরিচালক কে না জানিয়ে নিয়মনীতি না মেনে কর্মচারীদের হয়রানীর উদ্দেশ্যে একই দিনে ১০ জন কর্মচারীকে আন্তঃ উপজেলা বদলী করেন।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, এফ এস ডি পি পরিবার পরিকল্পনা সেচ্ছাসেবী নিয়োগে তৎকালীন সময়ের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে আতাঁত করে টাকার
বিনিময়ে ১৫ জন মহিলা সেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেন।

পরবর্তীতে পুনরায় এফ এসডি পি প্রকল্পের মেয়াদ সরকারিভাবে বৃদ্ধির পরেও সরকারি অফিসের ইমেইল গোপন করে সেচ্ছাসেবীদের বলে যে, আপনদের প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য প্রত্যেক্যের কাছ থেকে মাথাপিছু ১৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।

পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এস কে নূরুন্নবী বলেন, শ্যামনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের অধীনে বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের মেরামত, সংস্কার কাজ ও উপজেলা কার্যালয়ে বিভিন্ন ফার্নিচার ক্রয়ের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ নিজ নিকটাত্মীয় শাহ আলমের নামে ঠিকাদারী লাইসেন্স করে নিম্ন মানের পণ্য সামগ্রী ক্রয় করে ভূয়া বিল ভাউচার বানিয়ে টাকা উত্তলোন করে আত্মসাৎ করেন।

ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্যামনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে মাতৃস্বাস্থ্য গতর্ভবতী মায়েদের ভাতা বিষয়ক প্রশিক্ষনে পরিবার কল্যান সহকারীদের স্বাক্ষর জাল করে ৮ জনের সম্মানী ভাতা ১৪ হাজার ৪০০ শত টাকা আত্মসাৎ করেন।

উল্লেখ থাকে যে, অনীতা বালা সাবেক পরিবার কল্যান সহকারী (বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষিকা পদে কর্মরত) শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের নামে ১৭/০২/২০২৫ তারিখে অন্য একজনকে অনীতা বালা সাজিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। এবং অফিস সহায়ক দিয়ে প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণ করান।

এবিষয়ে শ্যামনগর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাকির হোসেনর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার অফিসে আসেন বলে ফোনটি কেটে দেন।

ট্যাগস :

দলের ফান্ডের জন্য টি-শার্ট, মগ, বই বিক্রি করবে এনসিপি

শ্যামনগর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাকির হোসেনর বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্তৃক কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরন, অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রক্তিম ইসলাম বলেন, আমার বেতন ভাতাদী পরিশোধ না করে কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। কর্মচারীদের ভ্রমন খাতের বরাদ্দ থেকে কৌশলে কয়েকজন কর্মচারীদের ব্যবহার করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিজে গ্রহণ করেন।

তিনি আরো বলেন, মেডিকেল অফিসার (এম ও এম সি এইচ এফ পি) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপপরিচালক কে না জানিয়ে নিয়মনীতি না মেনে কর্মচারীদের হয়রানীর উদ্দেশ্যে একই দিনে ১০ জন কর্মচারীকে আন্তঃ উপজেলা বদলী করেন।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, এফ এস ডি পি পরিবার পরিকল্পনা সেচ্ছাসেবী নিয়োগে তৎকালীন সময়ের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে আতাঁত করে টাকার
বিনিময়ে ১৫ জন মহিলা সেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেন।

পরবর্তীতে পুনরায় এফ এসডি পি প্রকল্পের মেয়াদ সরকারিভাবে বৃদ্ধির পরেও সরকারি অফিসের ইমেইল গোপন করে সেচ্ছাসেবীদের বলে যে, আপনদের প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য প্রত্যেক্যের কাছ থেকে মাথাপিছু ১৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।

পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এস কে নূরুন্নবী বলেন, শ্যামনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের অধীনে বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের মেরামত, সংস্কার কাজ ও উপজেলা কার্যালয়ে বিভিন্ন ফার্নিচার ক্রয়ের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ নিজ নিকটাত্মীয় শাহ আলমের নামে ঠিকাদারী লাইসেন্স করে নিম্ন মানের পণ্য সামগ্রী ক্রয় করে ভূয়া বিল ভাউচার বানিয়ে টাকা উত্তলোন করে আত্মসাৎ করেন।

ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্যামনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে মাতৃস্বাস্থ্য গতর্ভবতী মায়েদের ভাতা বিষয়ক প্রশিক্ষনে পরিবার কল্যান সহকারীদের স্বাক্ষর জাল করে ৮ জনের সম্মানী ভাতা ১৪ হাজার ৪০০ শত টাকা আত্মসাৎ করেন।

উল্লেখ থাকে যে, অনীতা বালা সাবেক পরিবার কল্যান সহকারী (বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষিকা পদে কর্মরত) শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের নামে ১৭/০২/২০২৫ তারিখে অন্য একজনকে অনীতা বালা সাজিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। এবং অফিস সহায়ক দিয়ে প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণ করান।

এবিষয়ে শ্যামনগর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাকির হোসেনর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার অফিসে আসেন বলে ফোনটি কেটে দেন।