ইন্দোনেশিয়ায় মাঝসমুদ্রে কেএম বার্সেলোনা ভিএ নামের যাত্রীবাহী জাহাজে ঘটল এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। জাহাজটিতে প্রায় ২৮৪ জন যাত্রী ছিল। আগুনের আতঙ্কে অনেকে জাহাজ থেকে সমুদ্রের পানিতে লাফিয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক বিবৃতিতে উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, ছোট জাহাজটি উত্তর সুলায়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাডোর দিকে যাচ্ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থা ‘বাকামলা’ জানিয়েছে, ‘দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বাকিদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় সময় অনুসারে রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। উপরের ডেকগুলি দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশাপাশ। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবি ও ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আতঙ্কিত যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট পরে সমুদ্রে ঝাঁপ দিচ্ছেন।
আব্দুল রহমাদ আগু নামের এক যাত্রী জাহাজে দুর্ঘটনার দৃশ্য ফেসবুকে লাইভস্ট্রিমিং করেন। তিনি নিজেও তখন লাইফ জ্যাকেট পরে সমুদ্রে ভাসছিলেন। একটি শিশুকে কোলে নিয়ে ভাসতে দেখা গিয়েছে আগুকে। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের একজন পুলিশকর্মীর স্ত্রী। ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তারা পানির মধ্যে ভাসছিলেন। তার পরে তাদের উদ্ধার করতে পৌঁছায় নৌসেনা।
বিপদের বার্তা পেয়ে বিপদগ্রস্ত কেএম বার্সেলোনা ভিএ-এর কাছে পাঠানো হয় আরো তিনটি জাহাজকে। ক্রুজটির আগুন নিভিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে জাহাজগুলো। আশপাশে থাকা মাছ ধরার নৌকাগুলোও যাত্রীদের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন।
এর আগে, গত শনিবার ভিয়েতনামের হালং উপসাগরে সামুদ্রিক ঝড়ের কারণে জাহাজডুবি হয়। সেই সময় ক্রু মেম্বারসহ মোট ৫৩ জন ছিলেন জাহাজটিতে। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।