শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা Logo নারী শিক্ষার্থীদের কটুক্তির প্রতিবাদে ইবি ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন  Logo তারেক রহমান ও টুকুর খালাসে শিয়ালকোলে মিষ্টি বিতরণ Logo জাবির হল সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মানহানি, ছাত্রদলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত কয়রার জনগণ, নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান  Logo জবির দু’টি হলের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর Logo সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে আমাদের নিয়োগের কাজ হচ্ছে: রাবি উপাচার্য Logo পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবি তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ। Logo সাতক্ষীরায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী কোপা মাসুদসহ গ্রেপ্তার-৩ Logo সিরাজগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় কলেজ ছাত্র কারাগারে

চাঁদপুরে আলোচিত রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, স্বামী গ্রেফতার

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আলোচিত ফাতেমা বেগম রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামী স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিং করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম।

পুলিশ সুপার জানায়, ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালীর সাথে আসামী মোঃ জামাল গাজীর ১১ মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক এ পরিচয় হয় এবং আসামী নিজেকে চাঁদপুর কোর্টের পি.পি সহকারী হিসেবে নিয়োজিত আছে পরিচয় দেয়। প্রকৃত পক্ষে আসামী একজন গার্মেন্টস কর্মী। টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালী ও আসামী জামাল হোসেন কক্সবাজার এবং সিলেট এলাকায় মনোরঞ্জনের জন্য ভ্রমন করেছে।

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ৩ লক্ষ টাকা কাবিনে আসামী ও ভিকটিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ইতিপূর্বে আসামী জামাল গাজী আরো দুইটি বিবাহ করেছে, এটি তার তৃতীয় বিয়ে। ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালীর ইতিপূর্বে চারটি বিয়ে হয়েছে, এটি তার পঞ্চম বিয়ে। বিয়ের পর আসামি ভিকটিমের বাড়িতে ঘর সংসার করে। বিবাহের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন কারণে ও টাকা পয়সা নিয়ে উভয়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি দুইজনের বহুবিবাহের তথ্য উম্মোচন হওয়ায় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি হয়।

পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ১১ জুলাই চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৬নং উপাদী ইউনিয়নের ঘোড়াধারি গ্রামের গৃহবধূ ফাতেমা বেগম রুপালীকে পরিকল্পিতভাবে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে মরদেহ সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্স ব্যবহার করে টানা ১৩ দিন
প্রথমে নারায়নগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর টুয়াখালী, ঝিনাইদহ জেলায় অনুসরণ করে একাধিক গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে সর্বশেষ কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার বৃত্তিপাড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এর আগে গত ১১ জুলাই নিহতের ছেলে টিপু পাটোয়ারী বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রেস বিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির, মতলব দক্ষিণ থানার ওসি সালেহ আহাম্মদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) জীবন চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে পুলিশ হত্যাকান্ডের তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করেন।

ছবির ক্যাপশন: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আলোচিত ফাতেমা বেগম রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামী স্বামীকে গ্রেফতারের পর প্রেস ব্রিফিং বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মুহমদ আব্দুর রকিব পিপিএম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা

চাঁদপুরে আলোচিত রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, স্বামী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৫:০১:৪২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আলোচিত ফাতেমা বেগম রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামী স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিং করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম।

পুলিশ সুপার জানায়, ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালীর সাথে আসামী মোঃ জামাল গাজীর ১১ মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক এ পরিচয় হয় এবং আসামী নিজেকে চাঁদপুর কোর্টের পি.পি সহকারী হিসেবে নিয়োজিত আছে পরিচয় দেয়। প্রকৃত পক্ষে আসামী একজন গার্মেন্টস কর্মী। টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালী ও আসামী জামাল হোসেন কক্সবাজার এবং সিলেট এলাকায় মনোরঞ্জনের জন্য ভ্রমন করেছে।

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ৩ লক্ষ টাকা কাবিনে আসামী ও ভিকটিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ইতিপূর্বে আসামী জামাল গাজী আরো দুইটি বিবাহ করেছে, এটি তার তৃতীয় বিয়ে। ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালীর ইতিপূর্বে চারটি বিয়ে হয়েছে, এটি তার পঞ্চম বিয়ে। বিয়ের পর আসামি ভিকটিমের বাড়িতে ঘর সংসার করে। বিবাহের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন কারণে ও টাকা পয়সা নিয়ে উভয়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি দুইজনের বহুবিবাহের তথ্য উম্মোচন হওয়ায় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি হয়।

পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ১১ জুলাই চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৬নং উপাদী ইউনিয়নের ঘোড়াধারি গ্রামের গৃহবধূ ফাতেমা বেগম রুপালীকে পরিকল্পিতভাবে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে মরদেহ সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্স ব্যবহার করে টানা ১৩ দিন
প্রথমে নারায়নগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর টুয়াখালী, ঝিনাইদহ জেলায় অনুসরণ করে একাধিক গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে সর্বশেষ কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার বৃত্তিপাড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এর আগে গত ১১ জুলাই নিহতের ছেলে টিপু পাটোয়ারী বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রেস বিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির, মতলব দক্ষিণ থানার ওসি সালেহ আহাম্মদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) জীবন চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে পুলিশ হত্যাকান্ডের তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করেন।

ছবির ক্যাপশন: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আলোচিত ফাতেমা বেগম রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামী স্বামীকে গ্রেফতারের পর প্রেস ব্রিফিং বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মুহমদ আব্দুর রকিব পিপিএম।