শনিবার | ২৯ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসী আটক Logo মহেশখালীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারিগর আটক: Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা

চাঁদপুরে আলোচিত রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, স্বামী গ্রেফতার

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আলোচিত ফাতেমা বেগম রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামী স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিং করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম।

পুলিশ সুপার জানায়, ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালীর সাথে আসামী মোঃ জামাল গাজীর ১১ মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক এ পরিচয় হয় এবং আসামী নিজেকে চাঁদপুর কোর্টের পি.পি সহকারী হিসেবে নিয়োজিত আছে পরিচয় দেয়। প্রকৃত পক্ষে আসামী একজন গার্মেন্টস কর্মী। টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালী ও আসামী জামাল হোসেন কক্সবাজার এবং সিলেট এলাকায় মনোরঞ্জনের জন্য ভ্রমন করেছে।

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ৩ লক্ষ টাকা কাবিনে আসামী ও ভিকটিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ইতিপূর্বে আসামী জামাল গাজী আরো দুইটি বিবাহ করেছে, এটি তার তৃতীয় বিয়ে। ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালীর ইতিপূর্বে চারটি বিয়ে হয়েছে, এটি তার পঞ্চম বিয়ে। বিয়ের পর আসামি ভিকটিমের বাড়িতে ঘর সংসার করে। বিবাহের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন কারণে ও টাকা পয়সা নিয়ে উভয়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি দুইজনের বহুবিবাহের তথ্য উম্মোচন হওয়ায় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি হয়।

পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ১১ জুলাই চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৬নং উপাদী ইউনিয়নের ঘোড়াধারি গ্রামের গৃহবধূ ফাতেমা বেগম রুপালীকে পরিকল্পিতভাবে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে মরদেহ সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্স ব্যবহার করে টানা ১৩ দিন
প্রথমে নারায়নগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর টুয়াখালী, ঝিনাইদহ জেলায় অনুসরণ করে একাধিক গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে সর্বশেষ কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার বৃত্তিপাড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এর আগে গত ১১ জুলাই নিহতের ছেলে টিপু পাটোয়ারী বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রেস বিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির, মতলব দক্ষিণ থানার ওসি সালেহ আহাম্মদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) জীবন চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে পুলিশ হত্যাকান্ডের তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করেন।

ছবির ক্যাপশন: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আলোচিত ফাতেমা বেগম রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামী স্বামীকে গ্রেফতারের পর প্রেস ব্রিফিং বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মুহমদ আব্দুর রকিব পিপিএম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

চাঁদপুরে আলোচিত রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, স্বামী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৫:০১:৪২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আলোচিত ফাতেমা বেগম রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামী স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিং করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম।

পুলিশ সুপার জানায়, ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালীর সাথে আসামী মোঃ জামাল গাজীর ১১ মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক এ পরিচয় হয় এবং আসামী নিজেকে চাঁদপুর কোর্টের পি.পি সহকারী হিসেবে নিয়োজিত আছে পরিচয় দেয়। প্রকৃত পক্ষে আসামী একজন গার্মেন্টস কর্মী। টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালী ও আসামী জামাল হোসেন কক্সবাজার এবং সিলেট এলাকায় মনোরঞ্জনের জন্য ভ্রমন করেছে।

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ৩ লক্ষ টাকা কাবিনে আসামী ও ভিকটিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ইতিপূর্বে আসামী জামাল গাজী আরো দুইটি বিবাহ করেছে, এটি তার তৃতীয় বিয়ে। ভিকটিম ফাতেমা বেগম রূপালীর ইতিপূর্বে চারটি বিয়ে হয়েছে, এটি তার পঞ্চম বিয়ে। বিয়ের পর আসামি ভিকটিমের বাড়িতে ঘর সংসার করে। বিবাহের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন কারণে ও টাকা পয়সা নিয়ে উভয়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি দুইজনের বহুবিবাহের তথ্য উম্মোচন হওয়ায় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি হয়।

পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ১১ জুলাই চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৬নং উপাদী ইউনিয়নের ঘোড়াধারি গ্রামের গৃহবধূ ফাতেমা বেগম রুপালীকে পরিকল্পিতভাবে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে মরদেহ সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্স ব্যবহার করে টানা ১৩ দিন
প্রথমে নারায়নগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর টুয়াখালী, ঝিনাইদহ জেলায় অনুসরণ করে একাধিক গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে সর্বশেষ কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার বৃত্তিপাড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এর আগে গত ১১ জুলাই নিহতের ছেলে টিপু পাটোয়ারী বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রেস বিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির, মতলব দক্ষিণ থানার ওসি সালেহ আহাম্মদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) জীবন চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে পুলিশ হত্যাকান্ডের তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করেন।

ছবির ক্যাপশন: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আলোচিত ফাতেমা বেগম রুপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামী স্বামীকে গ্রেফতারের পর প্রেস ব্রিফিং বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মুহমদ আব্দুর রকিব পিপিএম।