গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার মরদেহ কবর থেকে তুলে করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, ‘নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আজ আদালতে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করেন। পরবর্তীতে আদালত একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থানে গিয়ে নিহত রমজানের মরদেহ আগে উত্তোলন করব।’
উল্লেখ্য, সংঘর্ষের ঘটনায় গত শনিবার রাতে সদর থানার চার জন এসআই বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় চারটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনটি মামলার প্রতিটিতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ জন করে। পাশাপাশি রমজান কাজী হত্যা মামলার বাদী অজ্ঞাতনামা ৯০০ জনকে আসামি করেছে।