‘মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯’ সংশোধন করে গত ২৪ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, ‘বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন ম্যানুয়ালির পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতিতেও সম্পাদন করা যাবে।’ এর মাধ্যমে অনলাইন পদ্ধতিতে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধনের আইনি অনুমতি পাওয়া যায়। কিন্তু তা এখনই চালু হচ্ছে না।
জানা গেছে, অনলাইন পদ্ধতিতে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন সংক্রান্ত ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার এখনো তৈরি হয়নি। সফটওয়্যার তৈরির পর এই কার্যক্রম চালু হবে। এটি হলে দেশে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নতুন এক যুগের সূচনা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিধিমালা সংশোধন করে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন ম্যানুয়ালির পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতিতে সম্পন্নের সুযোগ রাখলেও তা এখনই চালু হচ্ছে না। কারণ এখনো সফটওয়্যার তৈরি হয়নি। সফটওয়্যার তৈরির বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কাজ করছে। এটি তৈরি হলে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
তারা আরও বলছেন, অনলাইনে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন চালু হলে রেজিস্ট্রারদের অনিয়ম বা ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা কমবে। জাতীয়ভাবে বিয়ে ও তালাক-সংক্রান্ত একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেইজ তৈরি হবে, যা ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারণেও কাজে আসবে। তালাক-সংক্রান্ত জটিলতা ও প্রতারণাও কমবে।
এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সফটওয়্যার তৈরির বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কাজ করছে। এটি তৈরি হয়ে গেলে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন ম্যানুয়ালির পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতিতে চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইন পদ্ধতিতে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন কার্যক্রম চালু হলে এসংক্রান্ত নানা অনিয়ম বন্ধ হবে। এ ছাড়া আরও নানা দিক থেকে এর সুফল পাওয়া যাবে।
‘মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯’-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সরকার মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯-এর অধিকতর সংশোধন করল। অনলাইন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যমে বা সরকার থেকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফি পরিশোধ করা যাবে।
বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন পদ্ধতি প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন ম্যানুয়ালি বা অনলাইন পদ্ধতিতে সম্পাদন করা যাবে।
এতে বলা হয়, অনলাইন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ফরম ‘ঘ’ তে যেসব ব্যক্তির স্বাক্ষর প্রয়োজন তারা সরকার থেকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ডিজিটাল মাধ্যমে বা সরাসরি স্বাক্ষর এবং নিরক্ষর ব্যক্তির ক্ষেত্রে টিপসই দেবেন।