চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামে শিকারি পাখি ব্যবহার করে পাখি শিকারের দায়ে মো. আব্দুস ছালাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল ২০১২) বিকেল ৩টায় পরিচালিত এই অভিযানে তার বাড়ি থেকে দেশীয় তিলা ঘুঘু ও পাখি শিকারের ফাঁদ জব্দ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে শিকারি পাখি দিয়ে পাখি শিকারের অভিযোগ উঠে আসছিল। চুয়াডাঙ্গার পরিবেশবাদী সংগঠন ‘মানবতার জন্য’ ও বন বিভাগ তাকে একাধিকবার সতর্ক করেও ব্যর্থ হয়।
অবশেষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এবং পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেন। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী অভিযুক্তকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং লিখিত মুচলেকা নেওয়া হয়।
অভিযান শেষে চিৎলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
পাখিপ্রেমী ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘মানবতার জন্য’-এর সাধারণ সম্পাদক শাহিন সরকার বলেন,
“পাখি আমাদের প্রকৃতির অমূল্য রত্ন। কিছু মানুষের অজ্ঞতা ও লোভের কারণে এই জীবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই, সবাই সচেতন হোক। শুধু আইন দিয়ে নয়, ভালবাসা দিয়েই প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে।”
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এমন উদ্যোগের ফলে গ্রামাঞ্চলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে পড়বে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ কমবে বলে তারা আশাবাদী।



































