ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:২২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাস্টিস ফর জুলাই আয়োজিত ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আমাদের করনীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের ভেতরে ইনসাফের বীজ নিহীত আছে। একজন মূর্খ মানুষের মধ্যেও ইনসাফের ধারণা আছে। ইনসাফ যদি কায়েম না হয় তবে সেখানে সুনামি হয়, চিন্তার সুনামি, লড়াইয়ের সুনামি হয়। রক্ত দিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। চব্বিশের লড়াইও সেই আকাঙ্ক্ষা থেকে হয়েছে।

ব্যারিষ্টার ফুয়াদ আরো বলেন, বিচারহীনতা সংস্কৃতি ও এর বয়ান ভেঙে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করতে লড়াই করতে হবে। আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হেজেমনি, ইন্ডিয়ান হেজেমনি ভেঙ্গে দিতে হবে। বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে শুধু চব্বিশের বিচার চাইলে হবে না, দশকের পর দশকের চলা মামলার বিচারও চাইতে হবে, কৃষক মজুরের জমির মামালার বিচারও চাইতে হবে। আমার কৃষক শ্রমিক দিনমজুর যখন রাষ্ট্রের কাছে তার প্রাপ্য বিচার বাপে তখনই ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক স্টাডিজ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রইছ উদ্দীন বলেন, গ্রাম থেকে শহর রাজধানী থেকে জেলা প্রতিটি স্তরে বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে সয়লাব ছিলো। আর এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমরা ধারন করে চলছি। কারণ বিপ্লবের ১০ মাসেও আমরা ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করতে পারিনি। জাতীয় স্বার্থে, নিরাপত্তার আমাদের ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিচার করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে ইতিহাস অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে পারিনি, কলোনিয়াল মাইন্ডসেটের কারনেই মূলত আমরা এটা করতে পারিনি। ফলে আমরা অপরাধী না দেখে ধর্ম বর্ণ ও দলীয় ব্যাকগ্রাউন্ড দেকে বিচার করি। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে জাস্টিস ফর জুলাই জবি শাখার সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্যে দেন জাস্টিস ফর জুলাই জবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক সজীবুর রহমান এবং সমাপনী মুখপাত্র মাঈন আল মুবাশ্বির।

এসময় আলোচনা সভায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আপডেট সময় : ০৮:৫২:২২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাস্টিস ফর জুলাই আয়োজিত ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আমাদের করনীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের ভেতরে ইনসাফের বীজ নিহীত আছে। একজন মূর্খ মানুষের মধ্যেও ইনসাফের ধারণা আছে। ইনসাফ যদি কায়েম না হয় তবে সেখানে সুনামি হয়, চিন্তার সুনামি, লড়াইয়ের সুনামি হয়। রক্ত দিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। চব্বিশের লড়াইও সেই আকাঙ্ক্ষা থেকে হয়েছে।

ব্যারিষ্টার ফুয়াদ আরো বলেন, বিচারহীনতা সংস্কৃতি ও এর বয়ান ভেঙে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করতে লড়াই করতে হবে। আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হেজেমনি, ইন্ডিয়ান হেজেমনি ভেঙ্গে দিতে হবে। বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে শুধু চব্বিশের বিচার চাইলে হবে না, দশকের পর দশকের চলা মামলার বিচারও চাইতে হবে, কৃষক মজুরের জমির মামালার বিচারও চাইতে হবে। আমার কৃষক শ্রমিক দিনমজুর যখন রাষ্ট্রের কাছে তার প্রাপ্য বিচার বাপে তখনই ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক স্টাডিজ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রইছ উদ্দীন বলেন, গ্রাম থেকে শহর রাজধানী থেকে জেলা প্রতিটি স্তরে বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে সয়লাব ছিলো। আর এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমরা ধারন করে চলছি। কারণ বিপ্লবের ১০ মাসেও আমরা ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করতে পারিনি। জাতীয় স্বার্থে, নিরাপত্তার আমাদের ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিচার করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে ইতিহাস অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে পারিনি, কলোনিয়াল মাইন্ডসেটের কারনেই মূলত আমরা এটা করতে পারিনি। ফলে আমরা অপরাধী না দেখে ধর্ম বর্ণ ও দলীয় ব্যাকগ্রাউন্ড দেকে বিচার করি। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে জাস্টিস ফর জুলাই জবি শাখার সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্যে দেন জাস্টিস ফর জুলাই জবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক সজীবুর রহমান এবং সমাপনী মুখপাত্র মাঈন আল মুবাশ্বির।

এসময় আলোচনা সভায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।