শিরোনাম :
Logo বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড Logo সিরাজদিখানে ঢাবির নবীন শিক্ষার্থীদের ঝিকুটের সংবর্ধনা ২৫ জুলাই Logo মব সন্ত্রাস নিয়ে সমাজের আতঙ্ক ও রাষ্ট্রের নীরবতা Logo ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ Logo ইবিতে খুলনা জেলা সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ সম্মাননা Logo চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ইমাম পরিষদের মানববন্ধন Logo চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ক্লু-লেস হাবিব হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না : নাহিদ ইসলাম Logo নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ঘোষণা এনসিপির Logo ভারতের শুল্ক ২০ শতাংশের কম হতে পারে,যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তি

রাতে বেশি খাওয়া কেন ক্ষতিকর?

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে
হুরে মানুষের মধ্যে একটু বেশি রাতে খাওয়ার চলই বেশি। তবে রাতের খাবার নিয়ে একটু সচেতন না হলে শরীর কিন্তু চুপচাপ বদলা নেয়। রাতে বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে ঘটতে পারে বিপদ। আর ঘুমানোর আগে বেশি কিছু খেয়ে ফেললেও হজমের সমস্যা বাড়ে।

রাতে বেশি খাওয়া কেন ক্ষতিকর চলুন দেখে নেই নিম্নে-

হজমের সমস্যা: রাতে মেটাবলিজম কম থাকে। বেশি খেলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। গ্যাস, বুকজ্বালা, অ্যাসিডিটি হয়।

ওজন বৃদ্ধি: রাতে বাড়তি ক্যালোরি শরীরে জমে ফ্যাটে পরিণত হয়। পেটের চর্বি বাড়ে

ঘুমের সমস্যা: অনেক খেলে ঘুম নষ্ট হয়। শরীর বিশ্রাম নিতে পারে না

ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি: রাতে শরীর ইনসুলিন কম উৎপন্ন করে। অতিরিক্ত খাবার রক্তে চিনি বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘমেয়াদে হার্টের সমস্যা হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং গবেষকদের আন্তর্জাতিক গ্রুপগুলোর গত বছরের তথ্য বলছে, বিশ্বে প্রায় ১০০ কোটির বেশি মানুষ স্থূলতায় ভুগছে। যাদের মধ্যে আছে শিশু-কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষও। স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করতে পরিমিত আহার আর শরীরচর্চার পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া। রাতে পরিশ্রম না থাকায় এমনিতেই বিপাকক্রিয়া মন্থর হয়ে যায়। তাই ভরপেট খেয়ে শুয়ে পড়লে হজমের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। এ ছাড়া দেরি করে খেলে খাবারে থাকা শর্করা পুরোপুরি হজম হতে পারে না। ফলে দেখা যায়, সকালে খালি পেটে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গেছে। অন্য দিকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার বেশ আগে খাবার সেরে ফেললে খুব সহজেই হজম হয়ে যায়।

ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেন্স হাসপাতালের গবেষণায় দেখা গেছে, দেরিতে রাতের খাবার খাওয়ার ফলে কীভাবে স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, যারা তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খায়, তাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম, ক্যালরি পোড়ানোর ক্ষমতা বেশি ও তাদের প্রত্যেকেরই রাতে ভালো ঘুম হয়। অন্য দিকে যারা দেরিতে রাতের খাবার খায়, তাদের ক্ষুধা বেড়ে যায় এবং দেহে চর্বি সঞ্চয় বৃদ্ধি পায়, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড

রাতে বেশি খাওয়া কেন ক্ষতিকর?

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
হুরে মানুষের মধ্যে একটু বেশি রাতে খাওয়ার চলই বেশি। তবে রাতের খাবার নিয়ে একটু সচেতন না হলে শরীর কিন্তু চুপচাপ বদলা নেয়। রাতে বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে ঘটতে পারে বিপদ। আর ঘুমানোর আগে বেশি কিছু খেয়ে ফেললেও হজমের সমস্যা বাড়ে।

রাতে বেশি খাওয়া কেন ক্ষতিকর চলুন দেখে নেই নিম্নে-

হজমের সমস্যা: রাতে মেটাবলিজম কম থাকে। বেশি খেলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। গ্যাস, বুকজ্বালা, অ্যাসিডিটি হয়।

ওজন বৃদ্ধি: রাতে বাড়তি ক্যালোরি শরীরে জমে ফ্যাটে পরিণত হয়। পেটের চর্বি বাড়ে

ঘুমের সমস্যা: অনেক খেলে ঘুম নষ্ট হয়। শরীর বিশ্রাম নিতে পারে না

ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি: রাতে শরীর ইনসুলিন কম উৎপন্ন করে। অতিরিক্ত খাবার রক্তে চিনি বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘমেয়াদে হার্টের সমস্যা হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং গবেষকদের আন্তর্জাতিক গ্রুপগুলোর গত বছরের তথ্য বলছে, বিশ্বে প্রায় ১০০ কোটির বেশি মানুষ স্থূলতায় ভুগছে। যাদের মধ্যে আছে শিশু-কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষও। স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করতে পরিমিত আহার আর শরীরচর্চার পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া। রাতে পরিশ্রম না থাকায় এমনিতেই বিপাকক্রিয়া মন্থর হয়ে যায়। তাই ভরপেট খেয়ে শুয়ে পড়লে হজমের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। এ ছাড়া দেরি করে খেলে খাবারে থাকা শর্করা পুরোপুরি হজম হতে পারে না। ফলে দেখা যায়, সকালে খালি পেটে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গেছে। অন্য দিকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার বেশ আগে খাবার সেরে ফেললে খুব সহজেই হজম হয়ে যায়।

ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেন্স হাসপাতালের গবেষণায় দেখা গেছে, দেরিতে রাতের খাবার খাওয়ার ফলে কীভাবে স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, যারা তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খায়, তাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম, ক্যালরি পোড়ানোর ক্ষমতা বেশি ও তাদের প্রত্যেকেরই রাতে ভালো ঘুম হয়। অন্য দিকে যারা দেরিতে রাতের খাবার খায়, তাদের ক্ষুধা বেড়ে যায় এবং দেহে চর্বি সঞ্চয় বৃদ্ধি পায়, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।