গাজায় যুদ্ধ বিরতি ভঙ্গ করে ফিলিস্তিনি দের উপরে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেক শুরু হয়ে ছেলে ও মেয়েদের ১২টি হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনার এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা,”ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, ইন্তিফাদা জিন্দাবাদ” ইত্যাদী স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সোয়াইব হাসান।
সমাবেশে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন,”পবিত্র রমজান মাসেও শান্তিতে ঘুমাতে পারছেনা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই ও বোনেরা। যাকে যেখানে পাচ্ছে ইজরাইলি বাহিনী নির্মম ভাবে হত্যা করছে। আর কবে বিশ্ব মুসলিমদের বিবেক জাগ্রত হবে? মুসলিম বিশ্ব একত্রিত হয়ে হুংকার দিলে ইসলামবিরোধীদের মসনদ ভেঙ্গে যাবে। মুসলিম বিশ্বের নেতাদের বলতে চাই ভাঙ্গন ও আধিপত্যের রাজনীতি বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন। আমাদের জীবনের শেষ রাজনীতি ফিলিস্তিনের জন্য রাজনীতি, আমাদের শেষ যুদ্ধ ফিলিস্তিনের জন্য যুদ্ধ। আমরা ফিলিস্তিনের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছি”
আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন,”যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদের ওপর ইসরায়েল যে নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, আমরা বাংলাদেশ থেকে তার তীব্র নিন্দা জানাই।মুসলিম বিশ্বের বিভক্তির কারণেই ইসরায়েলের মতো অপশক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারা বারবার মুসলিম বিশ্বের ওপর হামলা চালাচ্ছে ও হত্যাযজ্ঞ ঘটাচ্ছে।আমরা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, মুসলিম বিশ্বকে একতাবদ্ধ হয়ে ইসরায়েলের মতো এই ধরনের অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এছাড়াও গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন,” আমরা যখন দেখি শিশুরা কোনো ধরনের অপরাধ না করেও সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বোমার আঘাতে প্রাণ হারায়, তখন আমাদের হৃদয় ভেঙে যায়। আমরা আগেও এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছি, এখনো জানাচ্ছি, এবং যতদিন পর্যন্ত এসব অপরাধ চলতে থাকবে, ততদিন আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। জাতিসংঘ নামের যে নিষ্ক্রিয় সংগঠন মানবতার বুলি আওড়ায়, অথচ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয় না—তাদের এই নির্লিপ্ততাকে আমরা তীব্র ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি।”
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা শেষে ফিলিস্তিনের নিহতদের প্রতি মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম আকাশ এবং এর মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।